Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ঝুঁকিপূর্ণ

বিমানবন্দরে পুরো নেটওয়ার্কে বিস্ফোরক শনাক্তকরণ যন্ত্র না থাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্বেগ

| প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

উমর ফারুক আলহাদী : দেশের প্রধান বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে আবারো প্রশ্ন তোলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। নিরাপত্তা হুমকির কারণে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ থেকে কার্গো পরিবহনের ওপর তাদের  নিষেধাজ্ঞাও প্রত্যাহার করেনি। তারা বলছে, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিস্ফোরক শনাক্তকরণ যন্ত্র না থাকায় উচ্চমাত্রার ঝুঁকি রয়েছে। সম্প্রতি শাহজালাল বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে সিভিল এভিয়েশনের সাথে এক বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশনের বাংলাদেশ প্রধান পিয়ারী ম্যায়াডোন বলেছেন, বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট সকল সেক্টরে জরুরীভিত্তিতে বিস্ফোরক শনাক্তকরণ যন্ত্র বসাতে হবে। তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থেই এটি প্রয়াজন। কারণ বাংলাদেশ এখন হাই রিক্স পজিশনে আছে। ইইউ কমিশন নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ আরো জোরদার করারও তাগিদ দিয়েছেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, সাগর ও আকাশ পথে কার্গো পরিবহনে বাংলাদেশ নিষিদ্ধ না হলেও উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম ঘোষণা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে যে তিনটি শর্ত দিয়েছিল তার বেশিরভাগ শর্তই পূরণ করেছে বাংলাদেশ। বাকি শর্ত পূরণ করতে হয়তো জুলাই আগস্ট মাস লেগে যাবে। এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদ খান মেনন বলেন, কার্গো পরিবহনে বাংলাদেশ নিষিদ্ধ এমন কোনও চিঠি আমার কাছে আসেনি। তবে অন্য কারও কাছে এসেছে কিনা তা আমার জানা নাই। রাশেদ খান মেনন জানান, আমরা যদি তিনটি শর্ত পুরোপুরি পূরণ করতে না পারি তাহলে ইভিএসএর জন্য বাংলাদেশকে তৃতীয় কোনও দেশে গিয়ে অতিরিক্ত শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। তবে সে ক্ষেত্রে পণ্য পরিবহনে ব্যয় বাড়বে। মন্ত্রী বলেন,খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ এটি সংগ্রহ করবে।
সউদী আরবসহ বিশ্বের যে ৬টি দেশ কাতারকে নিষিদ্ধ করেছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে রাশেদ খান মেনন বলেন, এ বিষয়টির সঙ্গে বাংলাদেশের কোনও সম্পর্ক নেই। সউদী আরব ও কাতারের সঙ্গে বর্তমানে বাংলাদেশের সম্পর্ক চমৎকার। বর্তমানে এ সম্পর্ক অত্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে বলেই জানান তিনি। সিভিল এভিয়েশন জানিয়েছে, বর্তমানে সিভিল এভিয়েশনে ৬টি ডুয়েল ভিউ এক্সরে স্ক্যানিং মেশিনসহ  ইটিডি মেশিন বসানো হয়েছে। পাশাপাশি সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ডিএমপি, র‌্যাব, বিজিবির সহায়তায় স্বল্পপরিসরে এক্সপ্লোসিভ ডিটেনশন ডগ (ইডিডি) টিম মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধীনে নতুন একটি এক্সপ্লোসিভ ডিটেনশন ডগ স্কোয়াড গঠনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।  আগামী দুই মাসের মধ্যে ইডিএস মেশিন দুটি বসানো সম্পন্ন হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ সব দেশে কার্গো রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে।
সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানায়, কার্গো কমপ্লেক্সে দ্রæত এক্সপ্লোসিভ ডিটেনশন সিস্টেম (ইডিএস) মেশিন বসানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে সিভিল এভিয়েশনের একটি উচ্চ পর্যায়ের টিম যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে ইডিএস সিস্টেম পর্যবেক্ষণে। টিমের অনুমোদন পেলে দুই মাসের মধ্যে মেশিন দুটি ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। একই সঙ্গে স্বল্প পরিসরে বোমা শনাক্তকারী ডগ স্কোয়াড টিম (এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন ডগস-ইডিডি) মোতায়েন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। ইউরোপীয় ইনিয়নের একটি প্রতিনিধি দল শাহজালাল বিমানবন্দর পরিদর্শনের পর বলছে এ বিমানবন্দর হাইরিস্ক। তারা বলছেন, আগের করা বিধি-নিষেধের সাথে এখন বিস্ফোরক শনাক্তকরণ যন্ত্র যুক্ত করতে হবে।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এর আগে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, কিন্তু তারপরেও নতুন করে ইইউ কেন এই তল্লাশি বাড়ানোর কথা বলছে কেন, এর জবাবে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ বলছে, নিষেধাজ্ঞা এখনও প্রত্যাহার হয়নি, তবে নতুন করে আর কোন ধরনের নিষেধাজ্ঞ আরোপ করা হয়নি।
এরপর যুক্তরাজ্যের পরামর্শে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্ব পায় ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান রেড লাইন। প্রতিষ্ঠানটি সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তা কর্মীদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশিসহ বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজনের পরামর্শ দেয়।
এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন করে কার্গোর উপর তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করতে বলা হয়েছে। তারা মনে করেন এখনও নিরাপত্তার ঘাটতি রয়েছে।
২০১৬ সালে নিরাপত্তার কথা বলে বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে সরাসরি কার্গো পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাজ্য। এ নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল রয়েছে।
বাংলাদেশকে ‘হাইরিস্ক’ দেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে আকাশপথে কার্গো পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে ঢাকা বিমানবন্দরে আরো তল্লাশি বাড়ানোর কথা বলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
যুক্তরাজ্য ছাড়াও গত ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়া ও জার্মানি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ‘আন্তর্জাতিক মানদÐে’ ঘাটতির কথা বলে বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে পণ্য পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এসব কারণে বাংলাদেশ থেকে সব পণ্য পরিবহনকারী কার্গো বিমানকে তৃতীয় একটি দেশে স্ক্রিনিং-এর মধ্যে যেতে হচ্ছে। বিমান বাংলাদেশ বলছে, যুক্তরাজ্যে সরাসরি কোনো পণ্য না নিয়ে যেতে পারার কারণে বিমান আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কার্গো ভিলেজ থেকে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ টন কার্গো বিভিন্ন দেশে যায়, যার ৯০ শতাংশই তৈরি পোশাক। বাকি ১০ শতাংশের মধ্যে রয়েছে ওষুধ ও পচনশীল বিভিন্ন পণ্য। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে গত এক বছরে ৭০ কোটি টাকার মতো রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে তাদের।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলছিলেন, অতীতে আমাদের যেভাবে ইনস্ট্রাকশান দিয়েছেন আমরা সেভাবে করেছি। কার্গো ভিলেজে দুটি এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন ব্যবস্থা করা হচ্ছে যেটা অগাস্টের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে।
পণ্য পরিবহনের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ থেকে যেসব পণ্য আকাশপথে কার্গোর মাধ্যমে ইউরোপীয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে যাবে, সেসব পণ্য দ্বিতীয় দফায় স্ক্যানিং বা তল্লাশি করতে হবে এখন। তল্লাশির জন্য বিস্ফোরক শনাক্তকরণ যন্ত্র যুক্ত করার জন্য অনুরোধ করেছে তারা।
ইইউ বলছে, এই তল্লাশি বাংলাদেশে অথবা ইইউভুক্ত দেশে ঢোকার আগে ট্রানজিট দেশে হতে পারে এবং এর দায়-দায়িত্ব এয়ারলাইনসগুলোকে নিতে হবে।
প্রসঙ্গত বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবাহী বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এক বছর ধরে যুক্তরাজ্যে সরাসরি কোনো পণ্য নিয়ে যেতে পারেনি নিষেধাজ্ঞার কারণে।
এদিকে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ও বিমানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন। বৈঠকে সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গণি চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সিভিল এভিয়েশন থেকে এ পর্যন্ত কার্গো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা তুলে ধরা হয়। জানানো হয়, ইইউ কমিশন ইমপ্লিমেন্টেশন রেগুলেশন (ইইউ) ২০১৫/১৯৯৮ অনুযায়ী বাংলাদেশকে এটাচমেন্ট ৬-১-তে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই অন্তর্ভুক্তির ফলে ইউরোপীয় কমিশন ডিভিশন সি (২০১৫)৮০০৫ এর আলোকে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো সব এয়ার কার্গো ও মেইল কনসাইনমেন্ট ‘হাইরিস্ক কার্গো অ্যান্ড মেইল’ (এইচআরসিএম) হিসেবে বিবেচিত হবে। এতে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত যে কোনো দেশে আনলোড, ট্রানজিট অথবা ট্রান্সফারের উদ্দেশ্যে বহনকৃত সব এয়ার কার্গো ও মেইল কনসাইনমেন্ট ইইউ নিয়ম অনুযায়ী এক্সপ্লোসিভ ডিটেনশন সিস্টেম (ইডিএস) মেশিনে অথবা শতভাগ এক্সরে স্ক্যানিং এবং শতভাগ এক্সপ্লোসিভ ট্রেস ডিটেনশন (ইটিডি) অথবা শতভাগ এক্সরে স্ক্যানিং ও শতভাগ এক্সপ্লোসিভ ডিটেনশন ডগ স্কোয়াড (ইডিডি) মেশিনের মাধ্যমে তল্লাশি করে পাঠাতে হবে। বৈঠকে আরও বলা হয়, বর্তমানে সিভিল এভিয়েশনে ৬টি ডুয়েল ভিউ এক্সরে স্ক্যানিং মেশিনসহ পর্যাপ্ত ইটিডি মেশিন রয়েছে। পাশাপাশি সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ডিএমপি, র‌্যাব, বিজিবির সহায়তায় স্বল্পপরিসরে এক্সপ্লোসিভ ডিটেনশন ডগ (ইডিডি) টিম মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধীনে নতুন একটি এক্সপ্লোসিভ ডিটেনশন ডগ স্কোয়াড গঠনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। তারা আশা করছেন আগামী দুই মাসের মধ্যে ইডিএস মেশিন দুটি বসানো সম্পন্ন হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ সব দেশে কার্গো রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে।
সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানায়, কার্গো কমপ্লেক্সে দ্রæত এক্সপ্লোসিভ ডিটেনশন সিস্টেম (ইডিএস) মেশিন বসানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে সিভিল এভিয়েশনের একটি উচ্চ পর্যায়ের টিম যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে ইডিএস সিস্টেম পর্যবেক্ষণে। টিমের অনুমোদন পেলে দুই মাসের মধ্যে মেশিন দুটি ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। একই সঙ্গে স্বল্প পরিসরে বোমা শনাক্তকারী ডগ স্কোয়াড টিম (এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন ডগস-ইডিডি) মোতায়েন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
বিমাবন্দর সূত্র জানায়, গত ৪ দিন ধরে র‌্যাবের ২৫টি প্রশিক্ষিত কুকুর শাহজালাল বিমানবন্দরে অবস্থিত বিমানের কার্গো কমপ্লেক্সে ইডিডি কার্যক্রমের ট্রায়াল দেয় শুরু করেছে। পাশাপাশি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর ডগ স্কোয়ার্ড কাজ শুরু করার কথা রয়েছে।
সিভিল এভিয়েশন বলছে, এই স্কোয়াড এখন থেকে নিয়মিতভাবে কার্গো কমপ্লেক্সে পণ্য স্ক্যানিং করে কোনো ধরনের এক্সপ্লোসিভ বা বোমা আছে কিনা তা দেখবে। তবে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী একটি কুকুর একনাগাড়ে ২০ মিনিটের বেশি স্ক্যানিং করতে পারে না। ২০ মিনিট স্ক্যানিংয়ের পর কমপক্ষে ৪০ মিনিট বিশ্রাম দিতে হয়।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ২৫টি বোমা বিশেষজ্ঞ ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে ৩৫ টন কার্গো পণ্য স্ক্যানিং করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়েছে। তবে সরাসরি পণ্য পাঠানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় এই পণ্যগুলো আবার অন্য কোনো দেশে রি-স্ক্যানিং করে পাঠাতে হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিমানবন্দর

১৩ জানুয়ারি, ২০২৩
২৪ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ