পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডি ডবিøউ : যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত আরব ও কুর্দিরা ইসলামিক স্টেটের (আইএস) শক্তঘাঁটি তথা কার্যত রাজধানী রাক্কার উপর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত হামলা শুরু করেছে। এ যুদ্ধ দীর্ঘ ও রক্তক্ষয়ী হবে বলে মনে করেেছ মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট। এদিকে তুরস্ক এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বলেন, ইসলামিক স্টেটের কাছ থেকে সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসের (এসডিএফ) রাক্কা পুনর্দখলের অভিযানের ফলে কোনো হুমকি সৃষ্টি হলে তুরস্ক তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেবে।
ইলদিরিম আংকারায় প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের ক্ষমতাসীন ল’ অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির ডেপুটিদের উদ্দেশ্যে যেদিন এ মন্তব্য করেন সেদিনই এসডিএফ পূর্ব, উত্তর ও পশ্চিম দিক থেকে রাক্কার উপর হামলা শুরু করে।
যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত এসডিএফ ৫০ হাজার সদস্যের একটি জোট যাদের বিরাট অংশই আরব ও পিপলস প্রটেকশন ইউনিটের (ওয়াই পি জি) যোদ্ধা। কুর্দি মিলিশিয়া ওয়াই পি জিকে তুর্কি কর্মকর্তারা সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে গণ্য করেন। তারা ১৯৮২ সাল থেকে দক্ষিণপূর্ব তুরস্কে তুরস্কের সরকারী বাহিনীর সাথে লড়াই করে আসছে। আংকারায় তুর্কি কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে ওয়াই পি জি রাক্কা দখল করলে তা কুর্দিদের স্বায়ত্ত শাসনের লড়াইকে জোরদার করতে পারে।
জটিল কুর্দি ভূচিত্র
যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এস ডি এফকে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার মনে করে। তারা এসডিএফকে বিমান সমর্থন, প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে।
যুক্তরাষ্ট রাক্কায় ৩ থেকে ৪ হাজার আইএস যোদ্ধার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ওয়াই পি জিকে সাহায্য করতে সরাসরি তাদের অস্ত্রসজ্জিত করতে শুরু করে।
এক প্রচন্ড লড়াই
আইএস ২০১৪ সালে রাক্কা দখল করে। তারা রাক্কাকে তাদের স্বঘোষিত খিলাফতের রাজধানীতে পরিণত করে। রাক্কার অবস্থান তুরস্ক সীমান্ত থেকে ৫৫ মাইল দক্ষিণে। রাক্কা মসুলের মতই তাদের আরেকটি শক্তঘাঁটি। কয়েকমাসের লড়াই-পাল্টা লড়াইয়ের পর এস ডি এফ মঙ্গলবার রাক্কা পুনর্দখলের চূড়ান্ত অভিযান শুরু করেছে। আইএস বিরোধী বাহিনী রাক্কা যতই নিকটবর্তী হচ্ছে ততই বেসামরিক লোকদের হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে।
এস ডি এফের মুখপাত্র তালাল সাইলো সোমবার বলেন যে রাক্কা পুনর্দখলে প্রচন্ড লড়্ইা হবে, কারণ দায়েশ (আইএস) তাদের তথাকথিত রাজধানী রক্ষার জন্য মরণপণ লড়বে। তবে মার্কিন নেতৃত্বাদীন বাহিনীর সাথে সমন্বয়ে মাধ্যমে সামরিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমাদের সামরিক প্রস্তুতি সম্পন্ন। আমাদের মনোবল উঁচ।
রয়টারস জানায়, লড়াইয়ে নেতৃত্ব দানকারী মার্কিন কমান্ডার লেঃ জেনারেল স্টিফেন টাউনসেন্ড বলেন, এ লড়াই হবে দীর্ঘ ও কঠিন। তবে রাক্কা পুনর্দখল হবে আইএসের খিলাফতের বাস্তবতার প্রতি এক সিদ্ধান্তমূলক আঘাত।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার খবর অনুযায়ী মার্কিন বিমান হামলার মধ্য দিয়ে রাক্কা পুনর্দখলের অভিযানে বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ ১২ জন নিহত হয়েছে যারা ঐ শহর থেকে পালিয়ে যাচ্ছিল। ব্রিটেন বিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস নিহতের সংখা ২১ বলে জানায়। আইএসকে নির্মূল করার মার্কিন পরিকল্পনায় বেসামরিক লোকজন নিহত হওয়া ঘটনা প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।
রাক্কার প্রান্তে লড়াই
অবজারভেটরির পরিচালক রামি আবদুলরহমান মঙ্গলবার বলেন, রাক্কার শহর এলাকায় হামলা শুরু হয় আজ ভোরে। তিনি বলেন, এস ডি এফ বাহিনী শহরে পৌঁছে গেছে, তবে তারা কোনো ভবনে প্রবেশ করেনি।
অবজারভেটরি রাক্কার পূর্ব এলাকা আল-মোশেইলেবে জোট বাহিনীর উপস্থিতির কথা জানায়। শহরের উত্তরপ্রান্তে একটি সামরিক ঘাঁটিতে লড়াই চলছে।
রাক্কার সংকীর্ণ রাস্তা ও ঘন অকাঠামোর কারণে শহর এলাকার নিয়ন্ত্রণ লাভের বিষয়টি কঠিন হয়ে উঠেছে, কারণ এসব অবকাঠামো লুকিয়ে থাকার আদর্শ স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। আইএস বাহিনী শহরের সকল লোককে তাদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে যার ফলে জোট বাহিনীর পক্ষে জঙ্গি ও বেসামরিক লোকদের মধ্যে পার্থক্য করা আরো কঠিন হয়ে পড়েছে।
জোট বহিনী নভেম্বরে রাক্কা পুনর্দখলের লড়াই শুরু করে। গত সপ্তাহে এস ডি এফ বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ মানসুরা শহর দখল করে। এটি ছিল রাক্কা অভিমুখে সর্বশেষ শহর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।