পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মিজানুর রহমান তোতা : দেশের বৃৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল থেকে অবহেলিত যশোর, নড়াইল ও ভাটিয়াপাড়া ছুঁয়ে এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক নির্মাণ প্রকল্প বছরের পর বছর ধরে রয়েছে ফাইলবন্দী। প্রস্তাবিত সড়কটির নামকরণ করা হয়েছিল বেনাপোল-ভাটিয়াপাড়া সড়ক। এই সড়কটি নির্মাণ হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটা বড় অংশের সাথে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে নতুন এক দিগন্ত উম্মোচিত হতো। রাজধানীর সঙ্গে বেনাপোলের দুরত্ব কমে যেত ৭০কিলোমিটার। যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রকল্পটির সার্ভে ও ফিজিবিলিটি স্টাডি চলছে। যশোরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমান জানান, সার্ভে ও স্টাডিতেই যদি ৬বছর পার হয় তবে প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে কবে। যশোর, বেনাপোল, ভোমরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমের একটা বড় অংশের ব্যবসা-বাণিজ্য অর্থনীতির গতি সৃষ্টির জন্য প্রস্তাবিত সড়ক নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। তিনি জরুরি উন্নয়নের গতি ধীর উল্লেখ করে বলেন, বেনাপোল-যশোর ৩শ’২৯ কোটি টাকার ফোর লেনের নির্মাণ কাজের টেন্ডার হলেও শুরু হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট একাধিক সুত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের প্রথমদিকে এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক নির্মাণের ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। প্রস্তাবনা অনুযায়ী এডিবির অর্থায়নে সড়কটি নির্মাণের ব্যাপক তোড়জোড় চলে। কিন্তু পরবর্তীতে কেন যে ফাইলবন্দী হয়ে গেল তার জবাব জানা যায়নি। এই সড়কটি নির্মিত হলে এ অঞ্চলের গুরুত্ব বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল ছাড়াও যশোর, নড়াইল, শিল্পশহর নওয়াপাড়া সাথে রাজধানীর দুরত্ব কমে যেত অনেক। আমদানী ও রফতানী পণ্য পরিবহন খুবই সহজ হত স্থলবন্দর বেনাপোল, ভোমরা, দর্শনা, শিল্পশহর নওয়াপাড়ার। এতে সাশ্রয় হত প্রতিমাসে বিপুল পরিমাণ অর্থের জ্বালানী তেল। যশোর, খুলনা ও সাতক্ষীরাসহ এ অঞ্চলের কৃষি ও শিল্পপণ্যের অভ্যন্তরীণ চালানও হত দ্রæত।
বেনাপোল থেকে মাগুরা হয়ে রাজধানীতে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের দুরত্ব পড়ে ২শ’৮০ কিলোমিটার। আর ঝিনাইদহ হয়ে আরো বেশী অর্থাৎ ৩শ’১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে রাজধানীতে পৌছাতে হয়। সবজি উৎপাদনে রেকর্ড সৃষ্টির যশোর থেকে খুব অল্পসময়ে সবজি রাজধানীতে পৌছানো যাবে প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক নির্মিত হলে। তাতে রাজধানীর ভোক্তারা স্বাদ পেতেন টাটকা সবজির। যশোর থেকে ঢাকা হয়ে কুমিল্লা, নারায়নগঞ্জ ও নোয়াখালিসহ বিভিন্নস্থানে যায় মাছের রেণু পোনা। দুরত্ব বেশী হবার কারণে পচনশীল পণ্য অভ্যন্তরীণ আমদানী-রফতানীতে ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। ওই সড়ক কৃষি ও শিল্পপণ্যের অভ্যন্তরীণ চালানে বেশ গতি সৃষ্টি হত।
তাছাড়া সহজতর হত ভারতের সাথে বাংলাদেশের আমদানী ও রফতানী। যশোর ও বেনাপোলের পথে স্বল্পসময়ে ঢাকা ও কলিকাতার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হত। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সুত্রগুলো জানিয়েছে, প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন হয় বেশ আগেই। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কলিকাতা নিকটবর্তী হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে যশোর, নড়াইল, ভাটিয়াপাড়া ও ঢাকা রুটটি বেছে নেয়ায় গোটা এলাকার মানুষ অত্যন্ত খুশী হয়। কিন্তু খুশীর ঝিলিক ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছে।
সুত্র জানায়, বহু আগেই যশোর, বেনাপোল, নড়াইল ও ভাটিয়াপাড়া রুটে হাইওয়ে সড়ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়ার দরকার ছিল। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গুরুত্বপুর্ণ জেলা যশোর, ঝিনাইদহ, নড়াইল, মাগুরা, সাতক্ষীরা, স্থলবন্দর বেনাপোল, ভোমরা, দর্শনা ও শিল্পশহর নওয়াপাড়া কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত এবং দুরত্ব বেশী হওয়ায় অঞ্চলটি বরাবরই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। তাই সড়কটি নির্মাণ জরুরি। সড়কটি নির্মিত হলে বেনাপোল থেকে ঢাকায় যাতায়াত করতে সময় লাগবে মাত্র মাত্র ৩ ঘন্টা। প্রস্তাবিত সড়কটি বেনাপোল থেকে ঝিকরগাছা ছুঁয়ে ডাইভারশন হয়ে চাঁচড়া এবং সেখান থেকে ডাইভারশন হয়ে যশোরের রাজারহাট, সেখান থেকে নড়াইলের ভাটিয়াপাড়া তারপর মাওয়া সড়কে সংযুক্ত হয়ে রাজধানী ঢাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।