পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে মঙ্গলবার ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের সিএসসিআর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেশের শীর্ষ ও প্রবীণ আলেমের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত অ্যাম্বুলেন্স হেলিকপ্টার যোগে বিকেল ৪টায় ঢাকায় আনা হয়েছে। তাকে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করে বর্তমানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
আজগর আলী হাসপাতালে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. সরওয়ারে আলম এবং নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. নূরল হুদার তত্ত্বাবধানেই শাহ আহমদ শফীকে ভর্তি করা হয়েছে বলে হেফাজত আমীরের প্রেসসচিব মাওলানা মুনির আহমদ টেলিফোনে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, চিকিৎসকরা দর্শনার্থীদের হাসপাতালে ভিড় না করতে বার বার অনুরোধ করেছেন। কারণ, এতে চিকিৎসা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। হেফাজত আমীরের শয্যাপাশে তার বড় পুত্র মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ এবং একান্ত সচিব মাওলানা শফিউল আলমসহ নিকটাত্মীয়রা রয়েছেন।
হেফাজত আমীরের প্রেসসচিব মাওলানা মুনির আহমদ দেশবাসীর কাছে হেফাজত আমীরের রোগমুক্তি ও দীর্ঘ হায়াতের জন্য বিশেষ দোয়া কামনা করেছেন।
চট্টগ্রাম মহানগরীর সিএসসিআর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করায় শাহ আহমদ শফীকে গত ১৮ মে হাসপাতালটিতে ভর্তি করা হয়। এই হাসপাতালে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. গোফরানুল হক, নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. হাসানুজ্জামান এবং হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ইবরাহীম চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে হেফাজত আমীরকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সিএসসিআর হাসপাতালে হেফাজত আমীরের রক্তচাপ বার বার কমে যাওয়ায় এবং ফুসফুসে পানি দেখা যাওয়ায় ২১ মে থেকে তাকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে চট্টগ্রামের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে তার শরীরে পেসমেকার স্থাপন করা হয়। এতে রক্ত চাপ স্বাভাবিক ও ফুসফুসের পানি সরে গেলেও শারীরিক দুর্বলতা স্বাভাবিক হচ্ছিল না।
গত ১ জুন হেফাজত আমীরকে আইসিইউ থেকে সাধারণ কেবিনে আনার তিন দিনের মাথায় শারীরিক অবস্থার অবনতি ও পুনরায় ফুসফুসে পানি জমে শ্বাস কষ্ট দেখা গেলে আবারো তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। এরপরই আরো উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে তাকে ঢাকায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সিএসসিআর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২১ মে থেকে আল্লামা শাহ আহমদ শফী মুখে খাবার নিতে পারছেন না। তাকে রাইস টিউবের মাধ্যমে তরল খাবার দেওয়া হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।