পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সংসদীয় আসন নির্ধারণের ক্ষেত্রে এক-একারোর কুশীলব ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দীনরা যা করেছিলেন সে চিন্তা-ভাবনা যেন না আসে সেবিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করলেন পিরোজপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র এমপি রুস্তম আলী ফরাজী। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জনসংখ্যার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের আসন নির্ধারণের উদ্যেগের বিরোধীতা করে তিনি বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনের একটা বিবৃতি দেখলাম। তাতে বলা হয়েছে, নির্বাচনী সীমানা করা হবে জনসংখ্যার ভিত্তিতে। কিন্তু ঢাকা শহরের জনসংখ্যা সবারই জানা আছে। শুধুমাত্র লালবাগে এক কিলোমিটারে ২০ লাখ জনতা থাকে। ওই হিসেবে যদি আসন ঠিক করা হয় তাহলে ১০০ সিট লাগবে শুধু ঢাকা সিটিতেই। এবং আশেপাশে নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর, ধামরাই এসব অঞ্চলে দুইশ’ থেকে আড়াইশ’ সিট লাগবে জনসংখ্যায়। সারা বাংলাদেশ তখন খাঁ-খাঁ করবে, মরুভূমিতে পরিনত হবে। একেবারে দেখা যাবে বরগুনা থেকে শুরু করে বরিশাল পর্যন্ত হবে ১ সিট। কারণ জনসাধারণতো কর্মক্ষেত্রের জন্য ঢাকাতে আসে।
তিনি বলেন, আমার নিজস্ব এলাকার দুই থেকে ৩ লাখ লোক গাজীপুরে গার্মেন্টসে কাজ করেন। এখানে তারা ভোটার হয়েছেন। কিন্তু তাদের পরিবার সব এলাকায়। আজকে যদি জনসংখ্যার ভিত্তিতে হয় তাহলেতো ওই এলাকা বঞ্চিত হয়ে যাবে। শুধু জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে কোন এলাকা হয়নি। পিরোজপুর চার আসন থেকে একটা আসন এবং বরগুনা থেকে একটা আসন কাটা হয়েছে। রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, এক-একারোর সময় সামরিক শক্তি যারা ছিলেন সেই মঈনউদ্দিন এবং ফখরুদ্দিনরা যা করেছিলেন সেই ধরণের চিন্তা-ভাবনা যাতে না করা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের প্রতি আমার আস্থা আছে, বিশ্বাস আছে। তিনি এ বিষয়টি অত্যন্ত মানবিক দৃষ্টিতে, জনস্বার্থে এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা বিবেচনা করবেন।
##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।