Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ নিতে না পারায় আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও নেতারা হুমকি দিচ্ছে -রিজভী

প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১:১০ পিএম, ৬ মার্চ, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার : দেশে এখন শুধু বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে না নিতে পেরে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও নেতারা হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী
তিনি বলেন, বর্তমান ম্যান্ডেট বিহীন ক্ষমতা আঁকড়ে ধরা সরকার বিরোধী দল নিধনে ক্রমাগতভাবে শাসন বিভাগকে নিজ দলের লোকজনদের দিয়ে সাজানো আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সরকার প্রধানের হীন প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে অনুগত ভাড়াটিয়া বাহিনীর মতো যেভাবে কাজ নৃশংস কাজ করেছে সেটি মধ্যযুগেরই সমতুল্য। ঠিক একইভাবে একদলীয় চেতনায় একতরফাভাবে আইন বিভাগকেও সাজানো হয়েছে।রোববার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির সরে যাওয়া উচিৎ, তিনি বিএনপি-জামায়াতের সুরে কথা বলছেন’ বলে খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল এবং মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক যে মন্তব্য করেছেন তা রাষ্ট্রের একটি স্বতন্ত্র অঙ্গ হিসেবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর নগ্ন হস্তক্ষেপ। এইসব বক্তব্যে আবারো প্রমাণিত হলো-‘৭৫ এর একদলীয় বাকশাল তার সকল আগ্রাসী শক্তি নিয়ে পুনর্জন্ম লাভ করা।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি বারবার দাবি করেছিল-বর্তমান ভোটার বিহীন ম্যান্ডেট বিহীন সরকার রাষ্ট্রের সকল অঙ্গ এবং প্রতিষ্ঠানসমূহ নিজেদের ইচ্ছামতো পরিচালিত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। রাষ্ট্রের এই সমস্ত অঙ্গের যেসমস্ত পরিচালকরা যখনই স্বাধীন সত্তা নিয়ে কাজ করেছেন বা কথা বলেছেন তখন তাদেরকেও সরকারের রোষানলে পড়তে হয়েছে। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর তার অসংখ্য প্রমাণ আছে। এরা রাষ্ট্রের অঙ্গ যথাক্রমে আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও এগুলোর স্বতন্ত্র আইডেন্টিটি মুছে ফেলে আওয়ামী ছাপ দেয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। মন্ত্রী এডভোকেট কামরুল প্রধান বিচারপতি অতিকথন করেন উল্লেখ করে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাহলে বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক কী এই আওয়ামী শাসনামলে তার বিচারক জীবনে যেভাবে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন এবং বিচারের নামে দেশের গুণী ব্যক্তিদের নির্যাতন করেছেন সেটাকে জনগণ কী হিসেবে গ্রহণ করেছেন সেটা কী তিনি কখনো উপলব্ধি করেছেন ? আইনের শাসনের পক্ষে ন্যায়সঙ্গত কথা বলা শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গেলেই তখন তারা সকল মাত্রা অতিক্রম করে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মাননীয় প্রধান বিচারপতির ওপর এই আক্রমণ আইন অমান্যকারী অপরাধী গ্যাংদের সমতুল্য। বর্তমান ম্যান্ডেট বিহীন ক্ষমতা আঁকড়ে ধরা সরকার বিরোধী দল নিধনে ক্রমাগতভাবে শাসন বিভাগকে নিজ দলের লোকজনদের দিয়ে সাজানো আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সরকার প্রধানের হীন প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে অনুগত ভাড়াটিয়া বাহিনীর মতো যেভাবে কাজ নৃশংস কাজ করেছে সেটি মধ্যযুগেরই সমতুল্য। ঠিক একইভাবে একদলীয় চেতনায় একতরফাভাবে আইন বিভাগকেও সাজানো হয়েছে। এখন শুধু বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে না নিতে পেরে আওয়ামী মন্ত্রী নেতারা হুমকি ও ধমকের আশ্রয় নিয়েছেন।
তিনি বলেন, দুই মন্ত্রীর বক্তব্য ‘ফেনীর হাজারী কালচার’ এরই বহিঃপ্রকাশ। মাননীয় প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে মন্ত্রী দ্বয়ের বক্তব্য ধৃষ্টতাপূর্ণ, উস্কানি দানকারী, দুরভিসন্ধিমূলক চক্রান্তের পথে অগ্রসর হওয়া। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ