পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : সারাদেশের পোশাক শ্রমিকেরা ২০ রমজানের মধ্যে ঈদ বোনাস পাবেন বলে মন্তব্য করেছেন তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি (অর্থ) মোহাম্মদ নাছির। সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের (ডিআইএফই) কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় এই মন্তব্য করেন তিনি। তৈরি পোশাক শিল্পের ‘ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট- বিষয়ক কোর কমিটি’র এই সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু।
সভায় উপস্থিত ছিলেন শ্রমসচিব মিকাইল শিপার, ডিআইএফইর মহাপরিদর্শক সামছুজ্জামান ভূঁইয়া, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহামুদ, বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি, গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি লীমা ফেরদৌস প্রমুখ।
বিজিএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ নাছির বলেন, পোশাক শিল্পের অবস্থা খুবই নাজুক। গত ১০ বছরে আমাদের গড় প্রবৃদ্ধি ১৩ শতাংশ থাকলেও গত ১০ মাসে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ২ দশমিক ২১ শতাংশ। আমরা কঠিন সময় পার করছি। তারপরও শ্রমিকরা যাতে উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদযাপন করতে পারেন, সে ব্যবস্থা আমরা নেবো। ঈদ বোনাস পরিশোধের সুনির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ না করে তিনি বলেন, প্রতিটি কারখানার মালিকরা যেন যথাসময়ে উৎসব ভাতা পরিশোধ করে- সেদিকে আমরা নজর রাখবো। এছাড়া মালিক-শ্রমিকের সম্পর্কের ভিত্তিতে ১০-১৫ দিনের মজুরি কারখানা মালিকেরা পরিশোধ করবেন। সেই প্রতিশ্রæতি আমরা দিতে পারি। শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, যে সব শ্রমিক ফেডারেশন নিবন্ধিত নয়, তাদের তালিকা করা হবে। তারপর চিঠি দিয়ে তাদের সতর্ক করা হবে। শ্রম আইন অনুযায়ী, অনিবন্ধিত কোনো সংগঠন, শ্রমিক অধিকার নিয়ে কাজ করতে পারে না। এছাড়া যেসব এনজিও শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে, তাদের অনুমতি ও সক্ষমতা আছে কি না- সেটিও খোঁজ খবর নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।