পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করা দু’টি নদী আত্রাই ও পুনর্ভবার বাংলাদেশ অংশে বাঁধ নির্মাণ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে মমতা দাবি করেন, ওই বাঁধের কারণে এ দুই নদীর ভারত অংশে নাব্য কমে যাচ্ছে। বেশকিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে এ সময় নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া জানায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে দিল্লীতে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন মমতা। সেসময় রাজ্যের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পেশ করেন তিনি। আর ওই দাবি-দাওয়ার অংশ হিসেবে আত্রাই ও পুনর্ভবার বাঁধ নিয়ে মোদির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মমতা। মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পর মমতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে আত্রাই ও পুনর্ভবা বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছে। নদীতে ভারতকে জিজ্ঞাসা না করেই ওই নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ। ফলে শুকনো মৌসুমে আমাদের এখানে পানি আসে না। আমাদের কৃষকরা অনেক কষ্টে রয়েছে। আবার যখন ওদের ওখানে পানি বেশি হয়ে যায় তখন সেটা ছেড়ে দেওয়া হয়, এতে আমাদের এখানে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এই বিষয়টি দেখার জন্য কেন্দ্রকে জানিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু আমরা ভুক্তভোগী বলেই বিষয়টি তুলে ধরেছি।’
মমতা অভিযোগ করেন, আত্রাই নদীর ওপর বাংলাদেশ বাঁধ নির্মাণ করায় ভারত অংশে নদীর নাব্য কমে যাচ্ছে, সেকারণে দেখা দিয়েছে তীব্র পানি সঙ্কট। গত দুই-তিন বছর ধরেই পানি সঙ্কটে আক্রান্ত দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুর ঘাট এলাকার সাধারণ মানুষ রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে তাদের ভোগান্তির কথা জানিয়ে আসছে। তবে এবারই প্রথম রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে উপস্থাপন করা হলো।
এক দায়িত্বশীল সরকারি সূত্র জানিয়েছে, মমতা বাংলাদেশের বাঁধে পশ্চিমবঙ্গের জনগণের পানি সঙ্কটের কথা মোদিকে জানালেও তিনি তিস্তার পানি বাংলাদেশকে দিকে রাজি নন। ‘মমতা জানিয়েছেন, তিস্তার পানি বাংলাদেশে গেলে উত্তরবঙ্গ পানি সঙ্কটে পড়তে পারে। তাই তিনি আত্রাই ও পুনর্ভবার বিষয়টি তুলে ধরে কেন্দ্র সরকারকে চাপে রাখতে চাইছেন।’
মোদির সঙ্গে আলোচনায় আত্রাই ও পুনর্ভবা নদীর কথা ছাড়াও ফারাক্কার পানি বন্টন, বন্যা সমস্যাসহ ঋণ মওকুফের বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন মমতা। কেন্দ্রের কাছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ৮ হাজার কোটি রুপি পাওনা রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বৈঠককে বিভিন্ন মহলে সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছিল। তার জবাবে মমতা জানান, রাজ্যের দাবি-দাওয়া নিয়েই আলোচনা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে, রাজনৈতিক ঐক্য নিয়ে নয়।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রাজ্যের যে কোনও সমস্যা নিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করি। আমি এর আগে ৭-৮ বার তার সঙ্গে দেখা করেছি। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উন্নয়ন সম্পর্কিত বিষয়ে দেখা করেছি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে নয়।’
উল্লেখ্য, গতকাল বিকেলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়া নিয়ে আলোচনার জন্যই কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করতে দিল্লীতে যান মমতা। এর ফাঁকেই বৃহস্পতিবার বেশকিছু দাবি নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন এ তৃণমূল নেত্রী। সূত্র : ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।