পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন রমজান মাসে ইফতারসহ সব খাদ্যদ্রব্য ভেজাল ও বিষমুক্ত রাখতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে কয়েকটি সংগঠন। রমজান মাসে বাড়তি চাহিদার ভিড়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি মুনাফা করতে খদ্যপণ্যে ক্ষতিকর ‘বিষাক্ত রাসায়নিক’ মেশাতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে এসব সংগঠন। গতকাল (শুক্রবার) সকালে চকবাজার শাহী মসজিদের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে পরিবেশ আন্দোলন বাংলাদেশ (পবা), নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসাফ), বাংলাদেশ স্কাউট ও গাইড ফেলোশিপ সংগঠনগুলো এই আশঙ্কার কথা জানান। এতে পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, রমজানকে সামনে রেখে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য, বিশেষ করে ইফতারিতে যেসব খাদ্যপণ্য বেশি ব্যবহার হয় সেগুলোর উৎপাদন, আমদানি ও মজুতের হার বেড়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার লোভে এসব খদ্যপণ্যে ক্ষতিকর বিষাক্ত রাসায়নিক ও ভেজালের মিশ্রণ করে থাকে। দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য বিষ ও ভেজালমুক্ত এবং পুষ্টিমান সম্পন্ন খাদ্য নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব।
তিনি বলেন, অন্যান্য দেশগুলোতে ধর্মীয় উৎসেবের সময় খাদ্য সামগ্রীর মান কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করাসহ সুলভে প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হয়। সেখানে আমাদের দেশে সবসময় বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে এর বিপরীত চিত্র দেখা যায়।
পবা’র সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুস সোবহান বলেন, ইফতারিতে বিভিন্ন সামগ্রী ভাজার জন্য ট্রান্সফর্মারের তেল, ইঞ্জিনের তেল, পোড়া মোবিল ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া প্রতিদিনই একই তেল দিয়ে ইফতারি সামগ্রী ভাজা হয়। এর ফলে সে তেল বিষে রূপান্তরিত হয় যা কিনা জনস্বাথ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। ইফতারসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য খাদ্য রং ব্যবহারের পরিবর্তে মানুষের জন্য ক্ষতিকর টেক্সটাইল ডাইং ব্যবহার করা হয়। মধুমাস জৈষ্ঠ মাসে আম, জাম, লিচু, কাঁঠালসহ প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়। এক ধরনের অসাধু ব্যাবসায়ী অতি মুনাফার লোভে ইফতারিসহ বিভিন্ন ফলে বিষ মিশিয়ে থাকে। রমজানে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নি¤œমানের প্রচুর পরিমাণে সেমাই প্রস্তুত করা হয়। এই সকল বিষ ও ভেজালযুক্ত ইফতারি, ফলমূলসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর মান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশন, ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকার, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বিএসটিআই, পরিবেশ অধিদপ্তর, স্থানীয় জন প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রত্যেকেই বিভিন্ন আইনে ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এগুলোর সঠিক প্রয়োগ করতে দেখা যাচ্ছে না। আমাদের দাবী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আইনসিদ্ধভাবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি কঠোরভাবে আইন প্রয়োগসহ মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ইফতারিসহ সকল খাদ্য সামগ্রীর মান নিশ্চিত করতে হবে।
আবু নাসের খানের সভাপত্বিতে এবং পবা’র সহ-সম্পাদক এম এ ওয়াহেদ এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পবা’র সাধারণ সম্পাদক প্রোকৌশলী মো. আবদুস সোবহান, সহ-সম্পাদক মো. সেলিম, মডার্ণ ক্লাবের সভাপতি আবুল হাসানাত, পুরান ঢাকা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সুবন্ধন সমাজ কল্যাণ সংগঠনের সভাপতি হাবিবুর রহমান, পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি আমির হাসান মাসুদ, বিডিক্লিক-এর সভাপতি আমিনুল ইসলাম টুব্বুস, পবা’র সদস্য ক্যামেলিয়া চৌধুরী, বিসিএইচআরডি-এর সভাপতি মাহবুব হক, দেবীদাস ঘাট সমাজ কল্যাণ সংসদের সভাপতি মো. মুসা, ইয়ুথ সান-এর সভাপতি মাকিবুল হাসান বাপ্পি, মেনন চৌধুরী, আবদুল মার্জান, ইঞ্জি. মো. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।