পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে ‘লেডি জাস্টিস’ মূর্তি সরানোর প্রতিবাদে আজ শুক্রবার দুপুরে বের করা বিক্ষোভ মিছিলে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রঙিন পানি ছুড়ে পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীসহ চারজনকে আটক করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বিক্ষোভকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মাজার গেটের সামনে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে রঙিন পানি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
এ ব্যাপারে পুলিশের রমনা অঞ্চলের উপকমিশনার মারুফ হোসেন বলেন, হাইকোর্টের সামনে কেউ বিক্ষোভ করতে পারেন না। নিরাপত্তার স্বার্থে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে জল কামান ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করার কথা স্বীকার করেন তিনি।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, এই চারজনের একজন ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী। পুলিশের বাধায় অন্তত পাঁচজন আহত হওয়ার দাবি জানান তারা।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিক থেকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেন বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এই বিক্ষোভ সমাবেশে আছেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, উদীচী, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট, ছাত্র ঐক্য ফোরামসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষেরা। সেখান থেকে সুপ্রিম কোর্ট অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে মাজার গেটের কাছে পুলিশ বাধার মুখে পড়েন বিক্ষোভকারীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে ভোর চারটা পর্যন্ত মূর্তি সরানোর কাজ হয়। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন প্রগতিশীল রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দল সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে ভাস্কর্যটি সরানোর দাবি জানিয়ে আসছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে মূর্তি সরানোর খবর পাওয়ার পর বিভিন্ন এলাকা থেকে সর্বোচ্চ আদালতের সামনে ছুটে আসেন বিক্ষুব্ধরা। দুইটার দিকে বেশ কিছু তরুণ সুপ্রিম কোর্টের মূল ফটকের বাইরে স্লোগান দিতে থাকেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নেতা-কর্মী ও সাধারণ ছাত্রদের একটি মিছিল আসে। রাত আড়াইটার দিকে বিক্ষুব্ধরা আদালতের ফটক ধরে ধাক্কাধাক্কি করেন। থেমে থেমে স্লোগান দিচ্ছিলেন তারা। স্লোগান ওঠে ‘ন্যায়বিচারের ভাস্কর্য অপসারণ করা যাবে না’, ‘আপস না রাজপথ?-রাজপথ, রাজপথ’, ‘হেফাজতের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘মৌলবাদের আস্তানা, ভেঙে দাও জ্বালিয়ে দাও’ ইত্যাদি। এই বিক্ষোভের মধ্যেই মূর্তিটি অপসারণের কাজ শেষ হয়। ভোর চারটার দিকে মূর্তি অপসারণের কাজ শেষ হওয়ার পর আরও ঘণ্টাখানেক অবস্থান করে বিক্ষোভকারীরা সেখান থেকে চলে যান। যাওয়ার আগে আজকের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এরই অংশ হিসেবে রাজু ভাস্কর্যের সামনে আজকের বিক্ষোভ সমাবেশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।