পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অনলাইন ডেস্ক : ইসলামী সংগঠনগুলোর দাবির মুখে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে সরিয়ে নেওয়া হল ‘লেডি জাস্টিস মূর্তি’।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মূর্তিটি সরানোর কাজ শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নির্দেশে এটি সরানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি রাতে জানান, এটি সুপ্রিম কোর্টের জাদুঘরে রাখা হবে।
অপসারণের সময় উপস্থিত ছিলেন এর ভাস্কর মৃণাল হক। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চাপের মুখে পড়ে এই ভাস্কর্য অপসারণ করা হচ্ছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে তার তত্ত্বাবধানেই এই মূর্তিটি স্থাপন করা হয়েছিল। এরপর থেকে হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামী সংগঠন তার বিরোধিতায় নামে। হেফাজত এই মূর্তিটি সরানোর দাবি জানিয়ে সরকারকে ৫ মে মতিঝিলে ফের সমাবেশের হুমকি দেয়। ওলামা লীগও তা অপসারণের দাবি জানায়।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে ২০ জনের বেশি শ্রমিক মূর্তি অপসারণের কাজ করছিলেন। পাশে দাঁড়ানো ছিল ছোট একটি ট্রাক। কয়েকজন শ্রমিক হাতুড়ি ও শাবল দিয়ে মূর্তির উপরের অংশ অক্ষত রেখে নিচের পিলার ভাঙছিলেন।
গত ১১ এপ্রিল হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফী নেতৃত্বাধীন এক দল ওলামার সঙ্গে গণভবনে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূর্তিটি সরাতে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। রোজা শুরুর আগে এই ভাস্কর্য অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছিল ইসলামী সংগঠনগুলো।
অপসারণের পক্ষে যুক্তি হিসেবে এর নান্দনিক ‘ত্রুটির’ পাশাপাশি জাতীয় ঈদগাহের কাছে অবস্থানের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
মূর্তি অপসারণের খবর প্রকাশের পর রাত ২টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের সামনের রাস্তায় সমবেত হয়ে বিক্ষোভ করেন গণজাগরণ মঞ্চের একদল কর্মী। পরে ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্টের নেতাকর্মীরা তাদের সঙ্গে যোগ দেন। এক পর্যায়ে তারা সুপ্রিম কোর্টের ফটকে ধাক্কাধাক্কি শুরু করলে রাত ৩টার দিকে অপসারণের কাজ কিছুক্ষণ বন্ধ রেখে আশপাশের বাতিগুলো নিভিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর ভোররাত ৪টার দিকে মূর্তিটি ক্রেনের সাহায্যে পিকআপ ভ্যানে তুলে নেওয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।