Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মধ্যে সর্বোচ্চ মুনাফা জনতার

| প্রকাশের সময় : ২৩ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : জনতা ব্যাংক লিমিটেডের ১০ম বার্ষিক সাধারন সভা (এজিএম) গতকাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান শেখ মোঃ ওয়াহিদ-উজ-জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জানানো হয়, ২০১৬ সালে ব্যাংকটি ১ হাজার ৪ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে যা রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।
ব্যাংকের বোর্ড রুমে অনুষ্ঠিত সভায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ ফজলুল হক এবং ব্যাংকের পরিচালক মানিক চন্দ্র দে, খন্দকার সাবেরা ইসলাম, মো. মোফাজ্জল হোসেন, মসিহ্ মালিক চৌধুরী এফসিএ, এ কে ফজলুল আহাদ, লুনা সামসুদ্দোহা, মোহাম্মদ আবুল কাশেম, সিইও এ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোঃ আবদুস সালাম, ব্যাংকের ডিএমডি মোঃ আব্দুস ছালাম আজাদ, মোঃ নাজিম উদ্দিন, মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, কোম্পানী সচিব মোঃ মোসাদ্দেক-উল-আলম, জেনারেল ম্যানেজার এন্ড সিএফও মোঃ নুরুল আলম এফসিএ-সহ মহাব্যবস্থাপকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শেখ মোঃ ওয়াহিদ-উজ-জামান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ২০১৬ সালে জনতা ব্যাংক এক হাজার চার কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে যা রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। গত বছর ব্যাংকের কর পরবর্তী মুনাফার পরিমাণ দাঁড়ায় ২৬১ কোটি টাকা।
সভায় জানানো হয়, জনতা ব্যাংক অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও কোনো ধরনের ফি বা চার্জ ছাড়াই সরকারের প্রায় ৯২টি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীসহ অধিকাংশ আর্থ-সামাজিক কর্মকান্ডে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এসব সেবা প্রদানে ব্যাংকের কোনো আয় হয়না বরং উপকরণ ও জনশক্তি খাতে বিপুল পরিমাণ ব্যয় হয়। তাছাড়া এ সময়ে নতুন পে-স্কেলের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা পরিশোধে বিপুল অংকের ব্যয় করতে হয়েছে। কাজেই ২০১৬ সালে পে-স্কেলজনিত ব্যয় বৃদ্ধি এবং সরকারের বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক কর্মসূচীতে ফি বা চার্জ ছাড়াই সেবা প্রদানে অবদান বিবেচনা করলে জনতা ব্যাংকের মুনাফার পরিমাণ প্রকৃত অর্থেই অনেক বৃদ্ধি পায়।
সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আবদুস সালাম ব্যাংকের বিভিন্ন কর্মকান্ডে আর্থিক ফলাফলের বিস্তারিত বিবরনসহ ভবিষ্যত কর্মপন্থা তুলে ধরেন। তিনি জানান, গ্রাহকদের রিয়েল টাইম অনলাইন ব্যাংকিং সেবা প্রদানের জন্য ইতিমধ্যে ব্যাংকের সকল শাখা অনলাইনের আওতায় আনা হয়েছে। ২০১৬ সালে ব্যাংকের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৭ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা, যা বিগত ২০১৫ সাল হতে ১২.৭৩% অর্থাৎ ৮,৭৯৩ কোটি টাকা বেশি। গত বছর ব্যাংকের মোট আমানতের পরিমাণ ১২.৮২% বৃদ্ধি পেয়ে ৬৪ হাজার ১৮২ কোটি টাকা এবং ঋণ ও অগ্রিমের পরিমাণ ১৫.২০% বৃদ্ধি পেয়ে ৪০ হাজার ৩০৪ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে ব্যাংকের মূলধন পর্যাপ্ততার হার ১০.৬৯%, যা ২০১৫ সালে ১০.১৬% ছিল। ২০১৬ শেষে ব্যাংকের শ্রেণীকৃত ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ১৪.৭৩% (৫,৯৩৬ কোটি টাকা)। শ্রেণীকৃত ঋণের হার কিছুটা বাড়লেও তা রাষ্ট্র মালিকানাধীন অন্যান্য ব্যাংকগুলোর তুলনায় অনেক কম।
সভায় তিনি আরও জানান, ২০১৬ সালে ব্যাংকের আমদানির পরিমাণ ১২ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা, রপ্তানির পরিমাণ ১৫ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা এবং ফরেন রেমিট্যান্সের পরিমাণ ৯ হাজার ৮ কোটি টাকা। বিশ্ব অর্থনীতির গতিধারা কিছুটা নিষ্প্রভ থাকায় উল্লেখিত সূচকসমূহে কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর তুলনায় জনতা ব্যাংকের অবস্থান সন্তোষজনক। এছাড়া ২০১৬ সালে শ্রেণীকৃত ঋণ হতে ৬৪০ কোটি টাকা এবং অবলোপনকৃত ঋণ হতে ১১১ কোটি টাকা অর্থাৎ মোট ৭৫১ কোটি টাকা নগদ আদায় করা সম্ভব হয়েছে।
সভায় বিগত বছরগুলোর ন্যায় এ বছরও সরকারকে এক কোটি টাকা নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয় পর্ষদ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ