Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য

| প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে প্রায় দেড় মাস আগে থেকেই বাড়তে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই পণ্যের দাম দফায় দফায় বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে পণ্যের লাগামহীন দাম নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ নেই;  এ কারণে রমজান শুরুর এক সপ্তাহ আগেও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের পণ্য। শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত দুই সপ্তাহ আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল, ডাল থেকে শুরু মাছ-মাংস-ডিম সবই।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যতালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে,  মোটা স্বর্ণা চাল কেজি প্রতি ৪৫ টাকা, পারিজা চাল ৪৪-৪৫ টাকা, মিনিকেট (ভালো মানের) ৫৬ টাকা, মিনিকেট (সাধারণ) ৫২-৫৪ টাকা, সাধারণ মানের নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকা ও উন্নত মানের নাজিরশাইল ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পাইজাম চাল ৪৮-৫০ টাকা, বাসমতি ৫৬ টাকা, কাটারিভোগ ৭৬-৭৮ টাকা, হাস্কি নাজির চাল ৪১ টাকা এবং পোলাও চাল ১০০ (পুরাতন), নতুন ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুদি পণ্যের বাজারেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। বাজারে প্রতি কেজি ছোলা ৯৫ টাকা; মুগ ডাল ১৩৫ টাকা দরে; ভারতীয় মুগ ডাল ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মাসকলাই ১৩৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১২৫ টাকা ও ভারতীয় মসুর ডাল ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ৭২-৭৩ টাকা দরে চিনি; ১৩০ টাকায় দেশি রসুন; ২৩০ টাকায় ভারতীয় রসুন বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। ভোজ্য তেলও আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ৫ লিটারের বোতল ব্র্যান্ড ভেদে ৫০০ থেকে ৫১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি লিটার ভোজ্য তেলের দাম রাখা হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৬ টাকা। লবণের কেজি ৩৮ টাকা; দারুচিনি ৩৬০ টাকা; জিরা ৪৫০ টাকা; শুকনা মরিচ ২০০ টাকা; লবঙ্গ ১৫০০ টাকা; এলাচ ১৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচা পণ্যের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি টমেটো কেজি ৫০ টাকা, সাদা বেগুন ৫০-৬০ টাকা, কালো বেগুন ৬০ টাকা, শশা ৪৫-৫০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা, আলু ১৮-২০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০-৪৫ টাকা এবং লেবু হালি প্রতি ২০ থেকে ৪০ টাকা, পালং শাক আঁটি প্রতি ১৫ টাকা, লালশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা এবং লাউশাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩৫০-৪৫০ টাকা, কাতলা ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৮০ টাকা, সিলভার কার্প ২০০-২৫০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০-৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাঙ্গাস প্রতি কেজি ১৫০-২৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, মাগুর ৬০০-৮০০ টাকা, প্রকার ভেদে চিংড়ি ৪০০-৮০০ টাকা, প্রতিটি ইলিশ ১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে; প্রতি কেজি ইলিশের দাম রাখা হচ্ছে ১৬০০ টাকা।
এছাড়া গরুর মাংস প্রতি কেজি  ৫০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। এছাড়া লেয়ার মুরগি ১৮০, দেশি মুরগি ৪০০, পাকিস্থানি লাল মুরগি ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ