Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ক্ষমতাসীনরা নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায় -মির্জা ফখরুল

| প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা : ক্ষমতাসীনরা নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শুক্রবার ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির কার্যালয়ে দলের সম্মেলন উপলক্ষে এক বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে যখনই যে দল ক্ষমতায় যায়, তখনই সেই দল নির্বাচন পদ্ধতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রেই সেটি সবচেয়ে বেশি করে প্রযোজ্য।
ফখরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ সংবিধান পরিবর্তন করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ফিরিয়ে নিয়েছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি এক তরফা নির্বাচন করে ১৫৪ জনকে বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় নিবার্চিত করে ভোটবিহীন সরকার গঠন করেছে।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন চাই। সেই নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় সহায়ক সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে। স¤প্রতি যে অভিজ্ঞতা, যদি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়, সেটি অবাধ নিরপেক্ষ সরকার হবে না।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ইতিবাচক রাজনীতি করতে চায়। অতীতের সব জড়তা, গ্লানি, ধুয়ে-মুছে ফেলে আধুনিক পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজনীতি করতে চায়। সেই কারণে দেশের মানুষের কাছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০ নির্ধারণ করেছেন। এই ভিশনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। আর সব কিছুর উপর নির্ভর করছে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সকল দলের উপস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহŸায়ক তৈমুর রহমান, পৌর মেয়র মির্জা ফয়সল আমিন প্রমুখ। আগামী ২৪ মে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ২০ মে, ২০১৭, ৮:৩১ এএম says : 0
    বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বলেছেন, “দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে যখনই যে দল ক্ষমতায় যায়, তখনই সেই দল নির্বাচন পদ্ধতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়”। ওনার এই কথার সাথে আমি একমত। গণতান্ত্রিক দেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতীতে সরকার নির্বাচন দিবে এবং নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে এটাই নিয়ম। এখন এএল ক্ষমতায় তারাই নির্বাচনের আইন প্রণয়ন করবে এটাই গণতন্ত্র। সেই আইন বিপক্ষ দলের পছন্দ নাও হতে পারে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু গণতন্ত্র মানলে এই আইনের আওতায় নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসতে হবে এটাও সত্য। এখন বিএনপি তাদের ফর্মুলা দিতেই পারে কিন্তু এর মানে এই নয় যে, তাদের ফর্মুলা না মানলে তারা নির্বাচন করবে না। বর্তমানে এএল বিশ্ব দরবারে আশান্রুপ গ্রহণ যোগ্যতা অর্জন করেছে শুধু তাইনয় দেশেও তাদের দলীয় ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এমনকি জনপ্রিয়তাও পেয়েছে। তবে বেশ কিছু ক্ষত্রে তারা দূর্নামও ঘাড়ে নিয়েছে ফলে বিপক্ষের শক্তি কিছুটা মজবুত হয়েছে এতে কোন সন্দেহের কারন নেই। এখন বিএনপি দলের নেতাদের উচিৎ হবে সুযোগের স্বদব্যাবহার করে নিজের স্থান করে নেয়া। কিন্তু আমি কি দেখতে পাচ্ছি তারা আবার নিজেদের একঘোয়ামী মানে “আপসহীন” এই নীতিতে চলতে চাচ্ছে যেটা এখন কোন ভাবেই সম্ভব নয়। এই নীতিতে চলে দল আজ কোন গহ্বরে নিক্ষিপ্ত হয়েছে সেটা বুঝা দরকার। তাই নিরপেক্ষ সরকারের ভাওতা থেকে এবং জামাতের সম্পর্ক ছেড়ে ময়দানে আসতে হবে নয়ত যেখানে আছে সেখানেই থেকে যাবে এতে কোন সন্দেহ নেই। আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে বুঝার ক্ষমতা দিন। আমীন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ