পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ নিয়ে সম্প্রতি ব্যাংকটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলমের দেয়া বক্তব্যকে বিভ্রান্তিকর আখ্যা দিয়েছেন চেয়ারম্যান আরাস্তু খান। গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ইসলামী ব্যাংকের ৪৫০ কোটি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্তের খবরটিও মিথ্যাÑ এমন দাবি তুলে ধরেন তিনি।
‘ইসলামী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে পরিচালনা পর্ষদ জিম্মি হয়ে গেছে; তাই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না’ বলে ভাইস চেয়ারম্যান যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটিকেও ভিত্তিহীন বলেছেন এই সাবেক আমলা।
আরাস্তু খান বলেন, ‘অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলমকে ঊর্ধ্বতন ব্যাংক কর্মকর্তারা পদত্যাগ করতে বলেছেন বলে যে বক্তব্য তিনি দিয়েছেন সেটি অসত্য। এসব অসত্য কথা বলে তিনি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবসায়িক সুনাম ক্ষুণœ করেছেন।’
তিনি বলেন, আহসানুল আলম চাইলে পদত্যাগ করতে পারেন। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে কোনো ধরনের চাপ দেয়নি।
“সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকের জাকাত ফান্ডের অর্থ প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে জমা দেয়া হচ্ছে বলে যে খবর বেরিয়েছে এসব ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।”
তার এই বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, “বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে ইসলামী ব্যাংকের জাকাত ফান্ডে সাড়ে ৪শ কোটি টাকা রয়েছে উল্লেখ করা হলেও প্রকৃতপক্ষে এর পরিমাণ মাত্র ২৮ কোটি টাকা। ব্যাংকের নিট মুনাফা যেখানে ৪৫০ কোটি টাকা সেখানে জাকাত ফান্ডে এত টাকা কিভাবে থাকবে?”
তিনি বলেন, এসব বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি আমাকে ডেকেছিলেন। তাঁর সঙ্গে ৪০ মিনিট কথা হয়েছে। তাকে জানিয়েছি, জাকাতের অর্থ প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে হস্তান্তরের কোনো সিদ্ধান্ত ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নেয়নি।
এর আগে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান আহসানুল আলম পারভেজ গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, এখন থেকে ইসলামী ব্যাংকের যাকাতের অর্থ সরাসরি বণ্টন না করে তা প্রধানমন্ত্রীর ফান্ডের মাধ্যমে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ব্যাংকটির নতুন পরিচালনা পরিষদ মনে করছে ব্যাংকটির করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর), যাকাত এবং ইফতার খাতে ব্যয়ের সিংহভাগ অর্থ যাচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিদের লালনে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটির নতুন পরিচালনা পর্ষদ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ফেসবুকে পারভেজ লিখেন, ‘অশুভ শক্তির ইশারায় আমার শত চেষ্টার পরেও রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি পুনর্বাসিত হয়েছে এবং জাতির পিতার খুনিদের সাথে সংশ্লিষ্টরা ফিরে আসছেন নেতৃত্বে। আগামী বৎসর এই ব্যাংকটিকে রাষ্ট্রবিরোধী কাজে ব্যবহার করার নীলনকশা সম্পাদন হচ্ছে।’#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।