Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

৮শ’ কোটি টাকার টেন্ডার দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : স্বপ্ননগরের ৮শ’ কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের ভবন ও অবকাঠামো নির্মাণের প্রথম শ্রেণী ও বিশেষ শ্রেণীর তালিকাভূক্ত ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে এ ব্যপারে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব ও জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও দুদকে ঠিকাদারদের পক্ষে দাখিল করা অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, স্বপ্ননগরের ১১টি গ্রুপের ৮ শ’ কোটি টাকার আহ্বানকৃত দরপত্রে সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ফজলুল কবিরের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও লাগামহীন দুর্নীতির করে যাচ্ছেন। এ নির্মাণ প্রকল্পে আহ্বানকৃত দরপত্রে কম্প্রিহেনসিভ ডেভেলপার, নূর হোসেন ট্রেডার্স এবং বিশ্বাস বিল্ডার্সসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করার পরেও তাদের কাজ দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রায় পাকাপাকি করতে যাচ্ছেন ওই কর্মকর্তা। এজন্য ভুয়া কার্যাদেশ, সনদপত্র ও টার্নওভার ইত্যাদি তৈরি করে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দাখিল করে এবং এসব ভুয়া কাগজপত্র যাচাই করার জন্য পত্র লিখে নিজেরাই সিল স্বাক্ষর দিয়ে যাচাই করা হয়েছে বলে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির কাছে উপস্থাপন করেছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ফজলুল কবির টেন্ডার নিয়ে এই ‘নয়-ছয়’ এর সঙ্গে জড়িত। এর আগে তার বিরুদ্ধে মিরপুর গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের অধীনে স্বপ্ননগর প্রকল্পে নূর হোসেন ট্রেডার্স নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে ভুয়া কাগজ দিয়ে প্রায় ৫৭ কোটি টাকার কাজ দেওয়া হয়েছে। দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী তাদের বার্ষিক কনস্ট্রাকশন টার্নওভার ছিল না। এছাড়া সিমিলার ন্যাচার ওয়ার্ক কমপ্লেকশন সার্টিফিকেটও ছিল না। সদস্য ইঞ্জিনিয়ার তাদের দরপত্রে ভুয়া সনদপত্র দিয়ে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে কাজটি পাইয়ে দিয়েছে। এছাড়া তিনি ঘুষের বিনিময়ে দুর্নীতির মাধ্যমে কমপ্রিহেনসিভ ডেভেলপারকে লালমাটিয়ায় ৫৭ কোটি টাকার তিনটি ভবন নির্মাণের কাজ দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। দুদক এসব অভিযোগ তদন্ত করছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়, সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ফজলুল কবির খাদ্য গুদাম তৈরির সময় একটি প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত থাকার সময়ও যাদের কোনও প্রকার ঠিকাদারী তালিকাভূক্তী ছিল না, তাদের নামে ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কাজ দিয়েছিলেন।
ঠিকাদারদের পক্ষে দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সুনাম, সুখ্যাতি, মর্যাদা ও ভাবমর্যাদা সমুন্নত রাখার স্বার্থে এ ধরনের অসৎ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া একান্ত জরুরী। ঠিকাদারদের অভিযোগ সঙ্গে জানতে চাইলে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ফজলুল কবির বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এই প্রকল্পের জন্য দরপত্র মূল্যায়নের কাজ চলছে। দরপত্র মূল্যায়নের আগেই অভিযোগ আনা উদ্দেশ্যমূলক। যাদের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখলইে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ