পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
স্টাফ রিপোর্টার : ৬৫ শতাংশ ভ্যাট-ট্যাক্স দেয়ার পরও শিরায় স্যালাইন দেয়ার জন্য ব্যবহƒত একটি ইনফিউশন সেট আমদানিকারকরা মাত্র ১৩ টাকায় বিক্রি করছেন। অথচ দেশীয় কোম্পানী জেএমআই তা ৩৭ টাকায় বিক্রি করছে। একইভাবে ৩৭ শতাংশ ভ্যাট-ট্যাক্স দেয়ার পরও একটি ইউরিন ব্যাগ ১৩ টাকায় বিক্রি করা যায়। কিন্তু দেশীয় কোম্পানী তা ৩৮ টাকায় বিক্রি করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে আয়োজিত গণশুনানীতে মেডিকেল ডিভাইস ব্যবসায়ী জাভেদ আহমেদ এই অভিযোগ করেন।
জাভেদ আহমেদ বলেন, জেএমআই কোম্পানী ৭ টাকা মূল্যে আইভি ক্যানোলা সরবরাহ দেয়ার জন্য মিটফোর্ড এলাকার ব্যবসায়ীতের কাছ থেকে ২৬ লাখ টাকা অগ্রিম নেয়। কিন্তু পরে তা সরবরাহ দিতে গড়িমসি করে। পরে কোম্পানীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় সরবরাহের সিদ্ধান্ত হয়। তবে সেটির পাইকারী মূল্য ৭ টাকা ৫০ পয়সা হলেও মিটফোর্ডের ব্যবসায়ীতেদর কাছ থেকে ৮ টাকা নেয়া হয়। পরে দাম আবারো ১ টাকা বাড়ানো হয়। এভাবে দেশীয় কোম্পানী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে।
করোনারি স্টেন্ট আমদানিকারক সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, স্টেন্টের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দেয়ার পরও বেসরকারী হাসপাতালের মালিকরা রিটেইল কমিশন চাচ্ছে। বর্তমান মূল্য অনুযায়ী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কমিশন দেয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
ওই আমদানিকারকের কথা প্রসঙ্গে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালক রুহুল আমিন বলেন, স্টেন্টের মূল্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। কাজেই এটি থেকে বেসরকারী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কমিশন চাওয়া বা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি তিনি লিখিতভাবে ওষুধ প্রশাসনকে জানাতে অনুরোধ করেন। সার্জিক্যাল ব্যবসায়ীরা জানান, মেডিকেল ডিভাইস রেজিষ্ট্রেশন গাইডলাইন তৈরির সময় ব্যবসায়ীদের পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ওষুধ প্রশাসনে কয়েক দফা ধর্ণা দেয়া সত্তে¡ও তারা কোনো কর্ণপাত করেনি। বাধ্য হয়েই ব্যবসায়ীরা আন্দোলনে নামেন। পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে তারা ধর্মঘট স্থগিত করে আলোচনায় বসেন। মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি করার প্রস্তাব করা হয়। ওই প্রস্তাব অনুযায়ী ডিভাইস ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৭ সদস্যের নামও নেয়া হয়। কিন্তু দেখা গেলো তাদেরকে বাদ দিয়েই রেজিষ্টারবিহীন একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি পুর্নগঠনের দাবি করেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।