Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

একই সময়ে দুই হানাফী ইমামের ইন্তেকাল স্মরণে

| প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম


কে.এস. সিদ্দিকী
২২শাবান-
আজ আমরা ফেকা ও নাহুকে রায়ে দাফন করেছি। এটি আব্বাসীয় খলিফা হারুনুর রশীদের মাতামি বাক্য। তাঁর সফর সঙ্গী হানাফী মাজহাবের দুই মহান ইমাম একই সময় রায় নামক স্থানে ইন্তেকাল করেন। তাদের একজনের নাম ইমাম মোহাম্মদ (রহ.) এবং অপরজনের নাম কিসায়ী (রহ.)। হিজরী ১৮৯ সালের ২২ শে শাবান তারিখের এ দুটি অত্যন্ত শোকাবহ ঘটনা। মতান্তরে ইমাম কিসায়ী এর দুইদিন পর ইন্তেকাল করেন। দুই ইমামের একই দিন ইন্তেকাল হয় বলেও একটি বর্ণনা রয়েছে। ইমাম মোহাম্মদ (রহ.) কে দাফন করা হয় রায় নামক স্থানের দুর্গ সংলগ্ন জাবালে তবারক নামক স্থানে, যা হিশাম ইবনে উবায়দুল্লাহ রাজীর গৃহের একেবারে সন্নিকটে। যেখানে ইমাম সাহেব তার মেহমান হিসেবে অবস্থান করছিলেন এবং ইমাম কিসায়ী (রহ.) কে দাফন করা হয় আম্বুয়া নামক একটি পল্লীতে। জাবলে তবরক ও আম্বুয়ার মধ্যে দূরত্ব দুই কোশ বা দুই মাইলের মতো। আশ্চর্যের বিষয়! একই দূরত্বে অবস্থিত ছিল খলিফার সামরিক ছাউনি।
ইমামদ্বয় কেন খলিফার সহযাত্রী হয়েছিলেন এ সম্পর্কে বলা হয় যে, খলিফা হারুনুর রশিদ রাফে ইবনুল লাইস ইবনে নসর ইবনে সাইয়ার মোকাবিলা করার জন্য সমরখন্দে উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন এবং ইমামদ্বয়কে সফর সঙ্গী করেছিলেন। এ মর্মান্তিক শোকাহত ঘটনার পর খলিফার অভিযানের আর কোনো বিবরণ জানা যায় না। তবে ইমাম দ্বয়ের ইন্তেকালে খলিফা দারুণভাবে ব্যথিত হন এবং তাদের মৃত্যুকে তিনি ইসলামের দুটি গুরুত্বপূর্ণ শাস্ত্রের মৃত্যুর সাথে তুলনা করে বলেন, যেন এদুটি শাস্ত্রকেই দাফন করেছেন।
দু’জনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় নিম্নে প্রদত্ত হল :
ইমাম মোহাম্মদ (রহঃ)
মাজহাবের দিক থেকে বিশ্বের মুসলমানদের মধ্যে অধিকাংশই হানাফী মাজহাবের অনুসারী এবং এ মাজহাবের চারটি প্রধান স্তম্ভের মধ্যে ইমাম মোহাম্মদ (রহ.) কে বলা হয় তৃতীয়। আরো একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ফেকা শাস্ত্রের ইতিহাসে তারই রচনাবলী মৌলিক সূত্র, উৎস হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। তিনি ছিলেন, হানাফী মাজহাবের প্রবর্তক হযরত ইমাম আজম আবু হানিফা (রহ.) এর সরাসরি শীর্ষস্থানীয় ছাত্রদের অন্যতম। বিশ্বময় হানাফী মাজহাবের প্রচার-প্রসারে ইমাম মোহাম্মদ (রহ.) এর রচনাবলীর ভূমিকা ব্যাপক ও সুদূর প্রসারী। তিনি খলিফা হারুনুর রশীদের দরবারে অতি সম্মানিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে শেষ জীবনেও খলিফার জীবন সঙ্গী ছিলেন।
ইমাম সাহেবের পূর্ণ নাম আবু আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ ইবনে হাসান ইবনে ফারকাদ শাইবানী। ইমাম মোহাম্মদ ইবনে হাসানের নিবাস সম্পর্কে বলা হয় যে, তিনি ফিলিস্তিনের নিকটবর্তী রমলার পাশের একটি স্থানের অধিবাসী ছিলেন। পরে তার খান্দান কুফায় স্থানান্তরিত হয়ে যায়। ভিন্নমতে মোহাম্মদ ইবনে হাসান জাজিরার অধিবাসী ছিলেন। তার পিতা সিরিয়ার সেনা বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। অতঃপর তিনি সিরিয়া হতে অয়াসেতে ওয়াসেতে চলে আসেন। হিজরী ১৩২ সালে সেখানে মোহাম্মদ ইবনে হাসান জন্মগ্রহণ করেন। আরো বর্ণিত আছে, মোহাম্মদ ইবনে হাসান দামেস্কের বাসিন্দা ছিলেন। তার গ্রামের নাম ছিল হারাস্তা। অতঃপর তার পিতা হাসান ইরাকে এসে বসবাস করতে থাকেন। এখানে ওয়াসেত নামক স্থানে মোহাম্মদ জন্ম গ্রহণ করেন এবং কুফায় তিনি লালিত পালিত হতে থাকেন।
জন্মগতভাবে ইমাম মোহাম্মদ ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী, প্রতিভাশালী, শারীরিক দৈহিকভাবে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, শক্তিশালী গঠন অবয়ব, অতি সুদর্শন এবং চারিত্রিক দিক থেকেও অতুলনীয়। আর্থিকভাবে তার পিতা ছিলেন অত্যন্ত স্বচ্ছল। খোশ হাল। ইমাম মোহাম্মদ অতিসুখে স্বাচ্ছন্দ্যে লালিত পালিত হতে থাকেন। তাঁর কোন প্রকার চিন্তা-ভাবনা ছিল না। সুখী জীবনে বড় হয়ে উঠার সাথে সাথে তিনি কোরআন করিমের শিক্ষা লাভ আরম্ভ করেন এবং তার উল্লেখযোগ্য অংশ মুখস্থ’ করে ফেলেন। অতঃপর আরবী ভাষা সাহিত্য ও আনুষঙ্গিক সকল বিষয়ের পাশাপাশি আলোচনা, বক্তৃতা, বিতর্কের প্রতিও মনোনিবেশ করেন। এ সময় কুফা ছিল আরবী জ্ঞান বিজ্ঞানের কেন্দ্রস্থল এবং বিশেষভাবে ফেকাহ ও হাদীস শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু। কারণ হযরত আলী (রাঃ) খলিফা হিসেবে কূফাকে যখন রাজধানী করেন তখন থেকে মক্কা ও মদীনা হতে বিশিষ্ট সাহাবায়ে কেরামের এক বিরাটদল কূফায় এসে বসবাস করতে থাকেন।
ইমাম মোহাম্মদ চৌদ্দ বছর বয়সের সময় কূফা বসবাসরত হযরত ইমাম আবু হানিফা (রহ.) এর মজলিসে উপস্থিত হয়ে তাকে একটি মাসআলা জিজ্ঞাসা করেন এবং জবাব শুনার পর তৎক্ষণাৎ সে মতে আমল করেন। ইমাম আবু হানিফা (রহ.) তা প্রত্যক্ষ করে মন্তব্য করেন। এ ছেলে ভবিষ্যতে ইনশাল্লাহ উন্নতি করবে। এভাবে তিনি সর্ব প্রথম ইমাম আজমের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন। অতঃপর তিনি ফেকা শিক্ষা করার বায়না নিয়ে ইমাম সাহেবের মজলিসে উপস্থিত হন এবং তাকে মনের সব ইচ্ছা-আকাক্সক্ষার কথা ব্যক্ত করে। ইমাম আবু হানিফা (রহ) বললেন, যদি ফেকা শিক্ষা করার আগ্রহ থাকে তাহলে সর্বপ্রথম কোরআন করীমের ওপর পারদর্শিতা অর্জন করতে হবে। কথাটি তিনি এ জন্যই বলেন, ইমাম আবু হানিফা রহ. এর মাজহাবের অনুসারীকে কোরআন করিমের উপর গভীর জ্ঞানও ব্যাপক পারদর্শিতা লাভ করতে হবে। যে ব্যক্তি কোরআনের ওপর অগাধ পাÐিত্য লাভ করবে তার অপর কোনো দলিল প্রমাণ প্রয়োজন হবে না। কেননা ইমাম আবু হানিফা (রহ) এর নিকট একটি হুজ্জত ও দলিল বাবদ সর্বপ্রথম উক্তম একমাত্র কোরআনুল করিম।
কোরআনের ওপর পারদর্শিতা লাভের জন্য ইমাম সাহেব যখন মোহাম্মদ ইবনে হাসানকে উপদেশ দান করেন তখন কোরআন সম্পর্কে তার গভীর কোনো ধারণা ছিল না। তাই তখন নীরবে মজলিস ত্যাগ করেছিলেন। কিছুদিন পর তিনি পিতার সঙ্গে আবার ইমাম সাহেবের মজলিসে উপস্থিত হয়ে বলেন, আমি কোরআন করিম হিফজ (মুখস্থ) করেছি এবং ভালোভাবে পাঠ করেছি। এর পর ইমাম আবু হানিফা (রহ) এর নিকট তিনি একটি প্রশ্ন রাখেন, ইমাম সাহেব জানতে চান প্রশ্নটি তোমার নিজের মধ্যে উদিত হয়েছে অথবা কারো কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করে এসেছ? মোহাম্মদ বললেন, কারো কাছে জিজ্ঞাসা করিনি, আমার নিজের মনেই উদিত হয়েছে, ইমাম সাহেব বললেন, কিন্তু এ প্রশ্ন তো একজন উঠতি বয়সের যুবকের পরিবর্তে কেনো সচেতন ব্যক্তির মনে হওয়ার কথা।
এ প্রশ্নের উত্তরের পর ইমাম সাহেব তাকে নিজের মজলিসের দরসে অন্তর্ভুক্ত করে নেন। এরপর মোহাম্মদ পূর্ণ একাগ্রতা ব্যস্ততা এবং গভীর মনোযোগের সাথে ফেকাহ অধ্যয়নে আত্মনিয়োগ করেন। চার বছর যাবত তিনি ইমাম সাহেবের দরস হতে উপকৃত হতে থাকেন। ইমাম সাহেবের ইন্তেকালের পর হতে তাঁর  প্রধান শিষ্য ও প্রতিনিধি ইমাম আবু ইউসুফের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন মোহাম্মদ। অতঃপর তিনি হাদীস শাস্ত্রের প্রতি মনোনিবেশ করেন। কেননা ইলমে ফেকার জন্য ইলমে কোরআন যেমন জরুরী, তেমনি ফকীহের জন্য ইলমে হাদীসের ওপর ও পারদর্শিতা অনুরুপ জরুরী।
তিনি হাদীসের সেমাআত (শুনানি) করেন ইমাম আবু হানিফা (রহ) ও ইমাম আবু ইউসুফ (রহ) এর নিকট। এরপর কূফা, বসরা, মদীনা, মক্কা, সিরিয়া এবং ইরাকের মাশায়েখ কেরামের কাছ থেকে হাদীস শাস্ত্রের ইলম হাসেল করেন। তিনি ইমাম আওজায়ী, সওরী এবং ইমাম মালেকের কাছ থেকে ও হাদীসের ইলম লাভ করেন। অনুরুপভাবে তিনি ফেকার ন্যায় হাদীসের ও ইমাম হিসেবে গণ্য হন। এতদ্বতীত তফসীর, আরবী ভাষা, লোগাত এবং আরবী সাহিত্যে তিনি অগাধ পাÐিত্যের অধিকারী হন। বিশ বছর বয়সে দরস দিতে আরম্ভ করেন। ইতিমধ্যেই সকল বিষয়ে শিক্ষা লাভ করেন এবং সর্বত্র তার সুনাম সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল এবং ইমাম হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। অনেকের মতে তিনি ছিলেন হানাফী ফেকার দ্বিতীয় স্তম্ভ। ফেকা শাস্ত্রের ওপর তার রচনাবলির সংখ্যা সর্বাধিক। যেগুলোর ওপর হানাফী ফেকার ভিত্তি নির্মিত।
ইমাম আল-কিসায়ী
বিখ্যাত সপ্তক্বারীর অন্যতম ইমাম আল কিসায়ী। তার পূর্ণ-আমল নাম আবুল হাসান আলী ইবনে হামজ। নাহু বা আরবী ব্যাকরণ শাস্ত্রে কূফা ও বসরা ছিল দুইটি প্রধান কেন্দ্র ও এ শাস্ত্রে বিশারদ হিসেবে কিসায়ী কূফী নামেও অভিহিত ছিলেন। তার জন্ম কূফায় এবং মৃত্যু রায়ে (৮০ খৃঃ) যেমন পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি কূফায় শিক্ষা লাভ করেন। সেখানে তার ওস্তাদ ছিলেন ব্যাকরণবিদ রুয়াসী এবং বসরায় শিক্ষা লাভ করেন। ব্যাকরণ বিশারদ খলিলের নিকট তিনি কাবায়েলদের মধ্যে শিক্ষা দান করেন। তাদের ভাষায় তিনি কয়েকটি পুস্তিকা রচনা করেন। খলিফা হারুনুর রশীদের দরবারে ইমাম কিসায়ী উচ্চ মর্যাদা লাভ করেন এবং তার প্রতি খলিফা ও অত্যন্ত ভক্তি প্রদর্শন করতেন এবং তার দুই যুবরাজ আমীন ও মামুনের শিক্ষার জন্য ইমাম কিসায়ী নিযুক্ত ছিলেন এবং শিক্ষা দিক্ষার জন্য নিয়মিত দরবারে যাতায়াত করতেন। এ প্রসঙ্গে ঐতিহাসিকগণ একটি চমৎকার ঘটনা উল্লেখ করেছেন। ঘটনাটি হচ্ছেঃ হছে
ইমাম আজম আবু হানিফা (রহ) বলেন, নাহু শাস্ত্রের ইমাম কিসায়ী বলতেন, আমাকে খলিফা হারুনুর রশীদ তার পুত্রদ্বয় আমীন ও মামুনের শিক্ষা দীক্ষার জন্য নিয়োগ করেছিলেন। তাই আমি তাদের উভয়কে আদব কায়দার ব্যাপারে কড়াকড়ি করতাম। কৈফিয়ত ও তলব করতাম। বিশেষভাবে আমীন কে অধিক নিয়ন্ত্রণ করতাম। কিছুদিন পর বেগম জুবায়দা (খলিফা হারুনের স্ত্রী) খালেছা নামের দাসী (কানিজ)কে প্রেরণ করেন। সে এসে বলল, সৈয়দা জুবায়দা আপনাকে সালাম জানিয়েছেন এবং এই কথা বলেছেন যে, আপনি যেন আমার পুত্র আমীনের সাথে কোমল ব্যবহার করেন। কেননা সে আমার কলিজার টুকরা এবং আমার নয়নমণি। আমিও তাকে ভালোবাসি এবং দয়া প্রদর্শন করি। তখন ইমাম কিসায়ী বললেন, মোহাম্মদ আমীন তো তার পিতার স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন। বিশেষ করে তার প্রতি দুর্বলতা প্রদর্শন করা উচিত হবে না। খালেছা বলল, মোহাতারামা সৈয়দ জুবায়দা মামুনের প্রতি এজন্যই অনুগ্রহ করে থাকেন যে, মামুন যে রাতে জন্ম গ্রহণ করনে সে রাতেই জুবায়দা স্বপ্নে দেখেন যে, চারজন মহিলা আসেন এবং জুবায়দাকে তারা চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলেন। অগ্রভাগের মহিলা বলেন, এ ছেলে বাদশাহর স্থলাভিষিক্ত, কম বয়স, অহংকারী, সংকীর্ণ দৃষ্টি সম্পন্ন, বেপরোয়া এবং বেওয়াফা হবে এবং খেলাফতের দায়িত্ব বহন করতে পারবে না।
পেছনের, ডানের এবং বামের এ তিন মহিলা ও নবজাতকের বহু চারিত্রিক দুর্নামের বর্ণনা প্রদান করেন। স্বপ্নের এ কাহিনী শুনানোর পর খালেছা কাঁদতে আরম্ভ করে এবং বলে, ইমাম কিসায়ী, তকদীর অপেক্ষা আদব শেখানো এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন কি উপকারী? ইমাম কিসায়ীকে খালেছা উক্তিটি শুনিয়ে চলে যায়। পরবর্তীকালে আমীন ও মামুনের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই এবং পরবর্তীতে মামুনের হাতে আমীনের নিহত হওয়ার ঘটনার মধ্যে দিয়ে মামুনের খেলাফত নিষ্কণ্টক ও নিরাপদ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি ইতিহাসের স্বতন্ত্র অধ্যায়।
শাবান মাসের ঐতিহাসিক ঘটনাবলির মধ্যে ইসলামের দুই মহান ইমামের একই সময়ে ইন্তেকালে খলিফা হারুনুর রশিদ তার গভীর শোক বার্তায় ইসলামের গুরুত্ব দুই শাস্ত্র ফেকা ও নাহু এর মহা ক্ষতি বলে আখ্যায়িত করেন। ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন