পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সাইবার নিরাপত্তায় সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি বলেন, সাইবার নিরাপত্তায় বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। এটি দূর করতে এবং সকল সংস্থার কাজের মধ্যে সমন্বয় করার জন্য আইন করে একটি সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করা হবে। গতকাল (বুধবার) বিটিআরসি কার্যালয়ের সামনে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে কার র্যালি ও রোড শো উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। তারানা হালিম বলেন, সাইবার সিকিউরিটির বিষয়টি বিগত দু’বছর ধরে হয়তো জোর দেওয়া হচ্ছে এবং আইন প্রণয়নের অপেক্ষায় আছে। আইন প্রণয়ন হলে সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি হবে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অধীনে থাকবে সেই এজেন্সি। সাইবার নিরাপত্তায় বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন বিক্ষিপ্তভাবে কাজ করছে বিটিআরসি, এনটিএমসি, নতুন করে আইসিটি বিভাগও করছে। এই সমন্বয়হীন কাজগুলোকে সমন্বয় হবে তখন। ওই এজেন্সি যখন স্থাপিত হবে, আমি মনে করি তখন কাজের বিভাজনও হবে। সাইবার নিরাপত্তায় দেশে সক্ষমতা কতটুকু রয়েছে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তারানা হালিম বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ যত দ্রুত এগিয়েছে, সেই সমানতালে সাইবার সিকিউরিটির বিষয়টিতে শুরু থেকে ততটা গুরুত্ব আরোপ করা হয়নি। মূল কারণ হচ্ছে, তখন ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণকেই অগ্রাধিকার হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। গত শুক্রবার বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া এই কম্পিউটার ম্যালওয়্যারে বাংলাদেশের কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান আক্রান্ত হয়। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে বিভিন্ন সংস্থা বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে, সমন্বয়হীনতাটা আছে। কিন্তু আমাদের সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট পাশ হয়ে গেলে যখন সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি হবে, তখন অসমন্বিত প্রচেষ্টাগুলো সমন্বয় হবে। সাইবার হামলা থেকে আসলে শতভাগ নিরাপত্তা কোনো দেশই কখনও নিশ্চিত করতে পারেনি। আমরা সর্বোচ্চ কতটুকু নিশ্চিত করতে পারব এবং এর প্রতিকার করতে পারব বা তৈরি থাকব। সাইবার নিরাপত্তায় ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংস্থার সাথে আলোচনা হয়েছে এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ নানা উদ্যেগে নেওয়া হবে বলেও জানান তারানা হালিম। বাংলাদেশ কম্পিটার কাউন্সিলের (বিসিসি) সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে একটি অডিট টিম রয়েছে জানিয়ে তারানা বলেন, একটি অডিট টিম বিসিসির আছে, আমরা এটির আইনগত ভিত্তি তৈরি করতে চাচ্ছি- যেন ক্রিটিক্যাল ইনফ্রাকটাকচার যেগুলো আছে, তারা যেন অডিট টিমকে ব্যবহার করে; তারা যেন দেখতে পারে কী কী সমস্যা আছে এবং সমাধানের চেষ্টা করে। সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কী কী করণীয় সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের চিঠি দেওয়া হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেই অনুসারে নিরাপত্তা সংক্রান্ত অডিট করে যেখানে যেখানে দুর্বলতা পাওয়া যাবে সেখানে দৃষ্টি দিয়ে নিজেদের নিরাপত্তা নিজেদের নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় কার র্যালি ও রোড শোর উদ্বোধনীতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব খান, মোবাইল ফোন অপারেটর রবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।