Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

রাজনীতির যাদুকর

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

| প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টালিন সরকার : ‘হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা’ নামের বিশ্বখ্যাত গল্পের কাহিনী কে না জানে? জার্মানির হ্যামিলন শহরের নাগরিকদের ইঁদুরের যন্ত্রণায় দূর্বিসহ জীবন থেকে মুক্তির মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবন উপহার দিয়েছিলেন এক অচেনা বাঁশিওয়ালা যাদুকর। বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে তিনি পথে নামলে লক্ষ লক্ষ ইদুর তাকে অনুসরণ করে। ওই ইঁদুরের পরিণতি এবং নাগরিক জীবনে শান্তি ফিরে আসার গল্প সবার জানা। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ৮১ সালে দেশে ফিরে এসে ঘাত প্রতিঘাতে বিধ্বস্ত, অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জর্জরিত, নানা মত পথে বিভক্ত আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাওয়া, নিষ্ক্রিয় এবং বিভিন্ন দল-উপদলে বিভক্ত নেতাদের আবার দলে ফিরিয়ে আনেন। মাঝি হিসেবে শক্ত হাতে নৌকার হাল ধরে তিনি আওয়ামী লীগকে গণমানুষের দলে রুপান্তর করেন। ব্রিটিশরা চলে যাওয়ার পর ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে জন্ম নেয়া আওয়ামী লীগ ’৭৫ এর ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকান্ডে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। সুবিধাবাদী নেতারা এদল সেদলে চলে যায়। যারা ছিলেন তারাও অভ্যন্তরীণ দ্ব›েদ্ব জড়িয়ে পড়েন। আওয়ামী লীগের পরতে পরতে ছিল বিরোধ-কোন্দল। দেশে ফিরেই শেখ হাসিনা ‘হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা’র মতোই সারাদেশের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এবং দ্ব›দ্ব-সংঘাতে জড়িয়ে পড়া সেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এক নৌকায় তোলেন। শেখ হাসিনার যাদুকরী নের্তৃত্বের বদৌলতে পুনজন্ম লাভ করে আওয়ামী লীগ।
১৭ মে, আজ ঐতিহাসিক দিন। গণতন্ত্রের মানসকন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দীর্ঘ নির্বাসন থেকে ১৯৮১ সালের এদিন ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি জন্মভূমিতে ফিরে আসেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হলে তাঁর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রবাসে থাকায় ঘাতকদের বুলেট থেকে রক্ষা পান। ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে ‘ঐক্যের প্রতীক’ হিসেবে শেখ হাসিনাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ওই বছরের ১৭ মে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের নৌকার হাল ধরেন জননেত্রী শেখ হাসিনা
স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরও নৌকার মাঝি শেখ হাসিনার চলার পথ মোটেই কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। পথের প্রতিটি বাঁকে ছিল বাধা বিপত্তি। মূলত ’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতার পরিবারকে নির্মম হত্যাকান্ডের পর দেশে আওয়ামী লীগের জন্য রাজনীতি কঠিন হয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর লাশ ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের সিঁড়িতে রেখেই জাতির পিতার রক্তের সঙ্গে বেঈমানী করে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাই মোসতাকের সঙ্গে চলে যান। যারা ছিলেন তাদের মধ্যে কাদের সিদ্দিকীর নের্তৃত্বে কিছু তরুণ প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও অন্যান্যরা গর্তে লুকিয়ে প্রাণ বাঁচান। ’৭৬ সালের পহেলা আগস্ট দেশে ‘ঘরোয়া রাজনীতি’ শুরু হলে মহিউদ্দীন আহমেদকে সভাপতি ও সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক করে আওয়ামী লীগ নতুন ভাবে পথ চলা শুরু করে। ’৭৭-এর ৩ এপ্রিল মতিঝিলের হোটেল ইডেনে দলের জাতীয় কাউন্সিলে নের্তৃত্ব নিয়ে নেতাদের মধ্যে চরম মতবিরোধ দেখা দেয়। ‘কেউ কারো নাহি ছাড়ে সমানে সমান’ কবিতার মতোই সবাই চান নের্তৃত্ব-কর্তৃত্ব। দলীয় ঐক্য ও সংহতি রক্ষার্থে সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনকে আহ্বায়ক করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। পরের বছর ’৭৮-এর ৩ মার্চ পুনরায় কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। বিরোধের মধ্যেই আবদুল মালেক উকিলকে সভাপতি, আবদুর রাজ্জাককে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। মিজানুর রহমান চৌধুরীরা পৃথক আওয়ামী লীগ গঠন করলেও মূলশ্রোত আওয়ামী লীগের পরতে পরতে নের্তৃত্ব ও কর্তৃত্ব নিয়ে বিরোধ লেগেই ছিল। সবার ধারণা ছিল ’৮১ সালের কাউন্সিলে ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী লীগ দ্বিখন্ডিত-ত্রিখন্ডিত হয়ে যাবে। ওই বছরের ১৩-১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষার্থে দলীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার ৩ মাস পর প্রবাস জীবনের অবসান ঘটিয়ে স্বদেশ ফিরে ৩৪ বছর বয়সে শেখ হাসিনা ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী লীগের ‘সভাপতির দায়িত্বভার’ গ্রহণ করেন। দীর্ঘ ৩৭ বছর সাফল্যের সঙ্গে নৌকার মাঝি হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে যোগ্যতার সঙ্গে দলকে গণরায়ে অভিষিক্ত হয়ে তিনি ৩ বার সরকারে অধিষ্ঠিত হন এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনায় যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখেন। প্রতিকুল পরিবেশে অত্যাচার-অবিচার সহ্য করে, জেল-জুলুম নির্যাতন ভোগ করে, নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে আওয়ামী লীগকে বাংলার মানুষের হৃদয়ের দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন শেখ হাসিনা
 শেখ হাসিনা দলকে শুধু সুসংগঠিতই নয়; জেল খেটেছেন, জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছেন। নানা প্রতিকূলতা সত্তে¡ও সুদূর প্রসারী পরিকল্পনার মাধ্যমে তিনি দেশকে ধাপে ধাপে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং গণতন্ত্র বিকাশে তাঁর অবদান অপরিসীম। তাঁর সিদ্ধান্ত গ্রহণে দূরদৃষ্টি, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং জনকল্যাণমুখী চিন্তা-চেতনা রাজনীতি বিমুখ মানুষকে রাজনীতি সচেতন করেছে, দলকে করেছে বলীয়ান। তিনি নের্তৃত্বের এক বিস্ময়কর সাফল্য দেখিয়ে দেশ-বিদেশে ঈর্ষণীয় হয়েছেন। দল ও দেশ পরিচালনায় বিচক্ষণতা ও নেতৃত্বের দৃঢ়তায় তিনি এক নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলছেন। তৃর্ণমূলে যেমন তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও তাঁর নাম উচ্চারিত হচ্ছে। দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র ও প্রতিকূলতার মধ্যেও তাঁর হাত ধরে সফলতা এসেছে দেশী ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। কূটনীতি, অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নের মতো সব ক্ষেত্রেই ইর্ষনীয় সাফল্য দেখিয়েছেন। বিশ্বব্যাপী তাঁর নের্তৃত্বে বাংলাদেশ সমাদৃত। বিশ্বরাজনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ১৬ কোটি মানুষের এই বাংলাদেশ। ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে ধর্মীয় সোহাদ্য-সম্প্রীতি বিদ্যমান। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যা অনুসরনীয় অনুকরণীয় হয়ে গেছে। বিশ্বরাজনীতিতে মুখোমুখী অবস্থানে প্রভাবশালী দেশ ভারত ও চীন। দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নের্তৃত্বের মধ্যদিকে তিনি দুই প্রভাবশালী দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব সুদৃঢ় করেছেন। তাঁর যাদুকরী নের্তৃত্বেই বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সম্পর্ক ও উন্নয়ন অংশীদারিত্বে স্থাপিত হয়েছে মাইলস্টোন। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে নজরকাড়া সাফল্য হিসেবে নির্মাণ করছেন পদ্মা সেতু। বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ মিথ্যা প্রমান করে নিজের অর্থে এই উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ এগিয়ে চলছে। ৮ লেন ৪ লেন মহাসড়ক, ফ্লাইওভার এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। বিমান-রেল যোগাযোগে সাফল্য এসেছে। তাঁর পরিকল্পনাতেই বাংলাদেশ এখন প্রায় সব ক্ষেত্রে ডিজিটাল। প্রযুক্তিবান্ধব কৃষিনীতির কারণেই দেশ ইতিমধ্যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতাই শুধু নয়; রপ্তানির সক্ষমতা অর্জন করেছে। উন্নয়নে সবার আগে প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের পরও তিনি দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সৃষ্টির নজীর স্থাপন করেছেন। নানামুখী কৌশল করে নের্তৃত্ব্ দেয়ায় হরতাল অবরোধ দেশ থেকে বিদায় করে দিয়েছেন। প্রার্থী ও ভোটারবিহীন নির্বাচন নিয়ে ঘরে-বাইরে সমালোচিত হলেও সরকার গঠনের পর শেখ হাসিনার ক্ষমতা ও সিদ্ধান্তকে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারেননি পারছে না। তাঁর রাজনৈতিক বিচক্ষণতার কাছে রীতিমতো পর্যুদস্ত হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। বরং তিনিই এখন ঘোষণা দিয়েছেন ৫ জানুয়ারীর মতো ভোটারবিহীন প্রার্থী বিহীন নির্বাচন আর দেশে হবে না। সব মিলে রাজনীতির মাঠে বর্তমানে শেখ হাসিনা আছেন চালকের আসনে। দেশ পরিচালনায় তাঁর সাফল্যের মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১৫ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশে পৌঁছানো, ৫ কোটি মানুষকে মধ্যবিত্তে উন্নীতকরণ, প্রতি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন, মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত বিনামূল্যে ৩৫ কোটি পিছ পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, কৃষকদের জন্য কৃষিকার্ড, ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলার ব্যবস্থা, ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন, দারিদ্রের হার ২৪.৩ শতাংশে হ্রাস, আন্তর্জাতিক আদালতে সমুদ্র সীমানা নিষ্পত্তি, বাংলাদেশকে নিম্নমধ্য আয়ের দেশে উন্নীতকরণ, ভারতের পার্লামেন্টে স্থলসীমা চুক্তির অনুমোদনের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ৬৮ বছরের সীমানা বিরোধের অবসান, ছিটমহল বিনিময়, মাথাপিছু আয় দেড় হাজার ডলারে উন্নীতকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন এবং শিশু-মাতৃমৃত্যুর হার কমানোর সূচকে শেখ হাসিনার সাফল্যে বিশ্ব রীতিমতো বিস্মিত।
 শেখ হাসিনা কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য এমডিজি-৪ পুরস্কার, আইটি খাতে সাফল্যে ২০১৩ সালে সাউথ-সাউথ পুরস্কার এবং ২০১৪ সালে সাউথ-সাউথ লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। ২০১৫ সালে জাতিসংঘ শেখ হাসিনাকে জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাব মোকাবিলায় সফলতার জন্য ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার এবং টেলিযোগাযোগ খাতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন সংস্থার পুরস্কার বা ‘আইটিইউ অ্যাওয়ার্ড’ দেয়। শুধু কী তাই! বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ২৭টি পুরস্কার ও পদক অর্জন করেছেন।
দেশের নের্তৃত্বের সাফল্যের পাশাপাশি বিশ্ব নের্তৃত্বেও তিনি এগিয়ে গেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন অ্যাফেয়ার্স সাময়িকীতে মানবজাতির উন্নয়ন ও কল্যাণের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মৌলিক চিন্তা, গবেষণা, উদ্ভাবন, সৃষ্টি এবং দৃষ্টি আকর্ষণমূলক কাজের জন্য সারাবিশ্ব থেকে ১০০ জন শীর্ষ ব্যক্তির মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান ১৩তম। এটা শেখ হাসিনার বিশ্বময় নেতৃত্বের স্মারক। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নিউ ইয়র্ক টাইমস সাময়িকীর জরীপে বিশ্বের সেরা প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর নারী নেতৃত্বের ১২জনের তালিকা করা হয়। ২০১১ সালে করা ওই তালিকায় ৭ম স্থানে রয়েছে শেখ হাসিনার নাম। অবশ্য ২০১০ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমস সাময়িকীর অনলাইন জরীপে তিনি বিশ্বের সেরা ১০ ক্ষমতাধর নারীদের মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থানে ছিলেন। ২০১৫ সালে বিশ্বের ক্ষমতাধর নারীদের তালিকায় শেখ হাসিনা ৫৯তম স্থানে অবস্থান করেন। ২০১৪ সালে এই তালিকায় শেখ হাসিনার অবস্থান ছিল ৪৭তম। ২০১০ সালের ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবসের শতবর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বখ্যাত সংবাদ সংস্থা সিএনএন ক্ষমতাধর ৮ এশীয় নারীর তালিকা প্রকাশ করে। ওই তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে ছিলেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের নের্তৃত্বে থেকে এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে যিনি এতো সাফল্য দেখিয়েছেন;  সেই শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তাঁকে অভিনন্দন।



 

Show all comments
  • ১৭ মে, ২০১৭, ১২:৫৭ এএম says : 1
    কি আর বলব ? সবতো আপনারাই বলে ফেলেছেন
    Total Reply(0) Reply
  • ইফতেখার আজাদ ১৭ মে, ২০১৭, ১:১২ এএম says : 1
    শেখ হাসিনা রাজনীতির যাদুকর বটে,তবে ..........................
    Total Reply(0) Reply
  • ফারজানা শারমিন ১৭ মে, ২০১৭, ১২:০০ পিএম says : 0
    শেখ হাসিনা রাজনীতির যাদুকর- একদম যথার্থ উপাধি
    Total Reply(0) Reply
  • সাইফুল ইসলাম ১৭ মে, ২০১৭, ১২:০২ পিএম says : 0
    আশা করি, তিনি সামনের নির্বাচনে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং মানুষের পুর্ণ ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দিবেন।
    Total Reply(0) Reply
  • ফিরোজ খান ১৭ মে, ২০১৭, ১২:০৪ পিএম says : 0
    তাকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গণের উজ্জ্বল নক্ষত্র বলা যেতে পারে।
    Total Reply(0) Reply
  • সোলায়মান ১৭ মে, ২০১৭, ১২:০৬ পিএম says : 1
    শেখ হাসিনা যেমন উঁচু মানের নেত্রী, লেখক স্টালিন সরকারও তেমনি উঁচু মানের লেখক। না হলে এত সুন্দর ও তথ্যবহুল লেখা আমরা পেতাম না।
    Total Reply(0) Reply
  • saif ১৭ মে, ২০১৭, ১২:২৬ পিএম says : 1
    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ নেত্রী আপনাকে সাধু বাদ এবং অশেষ ধন্যবাদ অন্তিম কালে দেশের হাল ধরার জন্যে। তবে একজন সফল নেতার আরও একটা গুন আছে বলে মনে করি আর তা হল এই যে তিনি তার যোগ্য উত্তর শুরি তৈরি করা, আশা করি আপনিও তাই করবেন।আল্লাহ সকলকে রক্ষা করুন।
    Total Reply(1) Reply
    • Mohammed Shah Alam Khan ১৮ মে, ২০১৭, ৭:০৪ এএম says : 4
      আপনাকে সুন্দর কথা বলার জন্য জানাই অশেষ ধন্যবাদ। আপনার কথা আশাকরি শেখ হাসিনার দরবার পর্যন্ত পৌছাবে। আল্লাহ্‌ ভরসা
  • মোঃ মাহমুদ হাসান ১৭ মে, ২০১৭, ১:০৯ পিএম says : 1
    এটাই বাস্তব যে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশে জননেত্রী শেখ হাসিনা শুধু রাজনীতির নন তিনি একজন দেশ গড়ার যাদুকর।
    Total Reply(0) Reply
  • Zahir H Maruf ১৭ মে, ২০১৭, ১:৪১ পিএম says : 0
    শেখ হাসিনা রাজনীতির বিশ্ব জাদুকর।
    Total Reply(0) Reply
  • Sumon ১৭ মে, ২০১৭, ১:৫৩ পিএম says : 0
    arokom netri History khub kom e hoy, Allah'r kase dua kori Allah jeno takey dirgo hayat dan koren.
    Total Reply(0) Reply
  • MOHD KAMAL PARVEZ ১৭ মে, ২০১৭, ৭:৪৮ পিএম says : 0
    Dear, I would like to see Sheikh Hasina five years of Prime Minister's Bangladesh. She is my Mother.
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ১৭ মে, ২০১৭, ৮:০৪ পিএম says : 0
    প্রথমেই আমি এই সংবাদের উপর এই শিরনাম দেয়ায় বার্তা সম্পাদক সাহেবকে জানাই ধন্যবাদ। সাংবাদিক স্টালিন সরকারকে তার এই সুন্দর উপস্থাপনের জানাই আমি আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। তিনি তার দক্ষ হাতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয় ও রাজনীতি নিয়ে লিখে তার মেধার পরিচয় দিয়েছেন। আমি ওনার লিখা পড়ে খুবই খুশি হয়েছি; তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার সঠিক চিত্র তুলে ধরেছেন এটা প্রশংসনীয়। শেখ হাসিনা যেভাবে দলকে ধরে রেখেছেন সেটা খুবই সত্য এবং আজকের এই দিনে তিনি দেশে প্রত্যাবর্তন করায় আজ দল এই যায়গায় এসেছে তাই এই দিনটা দলের জন্য খুবই একটা তাৎপর্য পূর্ন দিন এটা অনস্বীকার্য। তাই আমি এই দিনে মহান আল্লাহ্‌র দরবারে নেত্রী হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুসাস্থ কামনা করছি। আমীন
    Total Reply(0) Reply
  • আবুল কাশেম ১৭ মে, ২০১৭, ১০:২৬ পিএম says : 0
    খুব ভালো।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ