পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ব্যাংকিং খাতের সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে অর্ধেকের বেশি ব্যাংক কর্মকর্তার কোন ধারণা নেই। তারা এ বিষয়ে পুরোপুরি অজ্ঞ। বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং খাতের সাইবার নিরাপত্তা বিষয়্যে ২৮ শতাংশ ব্যাংক কর্মকর্তা খুবই অজ্ঞ এবং ২২ শতাংশ অজ্ঞ। এছাড়া সামান্য ধারণা রয়েছে ২০ শতাংশ কর্মকর্তার।
গতকাল রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটোরিয়ামে ‘ব্যাংকিং খাতে সাইবার নিরাপত্তা’ শীর্ষক কর্মশালায় বিআইবিএমের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। কর্মশালার প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী। বিআইবিএম এর মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। ব্যাংকিং খাতে সাইবার নিরাপত্তা শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাজডাক টেকনোলজি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজ আহমেদ। অ্যান এক্্রপ্লোরেশন অব দ্যা ডিজিটাল ব্যাংকিং রেভ্যুলুয়েশন ইন বাংলাদেশ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান আলম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ব্যাংকগুলোতে সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে খুবই ভালো ধারণা রয়েছে ৪ শতাংশ, ভালো ধারণা ১০ শতাংশ এবং মোটামুটি ধারণা রয়েছে ১৬ শতাংশ ব্যাংক কর্মকর্তার। ২১ টি ব্যাংকের উপর এ জরিপ চালায় বিআইবিএম। যার মধ্যে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ১৪ টি, রাষ্ট্রায়াত্ত¡ বাণিজ্যিক ব্যাংক ৩ টি এবং বিদেশী ব্যাংক ৩ টি। গ্রাহকদের মধ্যেও একই জরিপ চালিয়েছে বিআইবিএম। এতে দেখা গেছে, ৫৪ শতাংশ গ্রাহক সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে অজ্ঞ। বিআইবিএমের প্রতিবেদনের তথ্য মতে, ৯০ শতাংশ ব্যাংক কর্মকর্তা জানিয়েছে, ব্যাংকিং খাতে সাইবার ঝুঁকি বাড়ছে। ব্যাংকিং খাতের তথ্য নিরাপত্তা বাধায় আরও কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- নতুন প্রযু্িক্ত সম্পর্কে ব্যাংক কর্মকর্তাদের অজ্ঞতার অভাব, গ্রাহকদের অসচেতনা, ব্যাংকগুলোর বাইরের আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর অতি নির্ভরশীলতা, ব্যাংকিং খাতে আইটি এক্সপার্টের অভাব, প্রশিক্ষণ না থাকা এবং বাজেটের স্বল্পতা থাকার কারণে ব্যাংকিং খাতে সাইবার ঝুঁকি বাড়ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেন, সাইবার নিরাপত্তার জন্য গত কয়েক বছরে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। প্রতিবছর আইটি নিরাপত্তায় রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ আরও দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। এর পরও দেশের অনেক ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গাইডলাইন অনুযায়ী নিরাপত্তার মানে পৌঁছাতে পারেনি। এ কারণে ব্যাংকিং খাতে সাইবার ঝুঁকি এখনও রয়েছে।
তিনি বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপর সাইবার আক্রমণ প্রায়ই ঘটছে এবং সেগুলো খুব বড় ধরণের ও জটিল। আর্থিক খাতের পুরো ব্যবস্থাকে নষ্ট করে ফেলেছে। এ অপরাধীরা সাইবার আক্রমণ করে বড় অংকের তহবিল হাতিয়ে নিচ্ছে। একই সঙ্গে এটিএম জালিয়াতির মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে।
বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরী বলেন, সাইবার ঝুঁকিকে অবহেলা করার সুযোগ নেই। এ ধরণের একটি বড় ঝুঁকি ব্যাংকিং খাতে থাকলেও দক্ষ কর্মীর অভাব রয়েছে। তাই ভারতের মতো আলাদা প্রতিষ্ঠান গড়ে ব্যাংকারদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এটি করতে না পারলে আরও ঝুঁকিতে পড়বে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক দেবদুলাল রায় বলেন, সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে গাইডলাইনে বেশকিছু পরিবর্তন আনা হবে। আইটি নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাংক কর্মকর্তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। পূবালী ব্যাংকের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ আলী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংককে আইটি নিরাপত্তা খাতে আরও জোর দিতে হবে। কোনো সংকেত আসলেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু অধিকাংশ ব্যাংকে অ্যালার্ট ম্যাসেজ দেখলেও ঠেকানোর জন্য দক্ষ জনবল নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।