Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র : ডিপ্লোমা ডেন্টিস্টদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের অনুমতি দিন

| প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম


স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের অধীনে ৪ বছরের ডেন্টাল ডিপ্লোমা কোর্স শেষ করেন ডিপ্লোমা ডেন্টিস্টরা। ডেন্টাল ডিপ্লোমা সনদধারীগণ প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন বারবার। এই শিক্ষার সার্টিফিকেট পেয়েও সামান্য মর্যাদাটুকু পান না তারা। চিকিৎসাবিজ্ঞানে বিভিন্ন বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্স রয়েছে হোমিওপ্যাথি, ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক, অ্যালোপ্যাথিক মেডিক্যাল অ্যাসিসটেন্ট, ডেন্টাল টেকনোলজি । প্রথম তিনটির ডিপ্লোমা সনদধারীগণ দেশের প্রচলিত আইনে প্র্যাকটিস করার রেজিস্ট্রেশন পেলেও ডেন্টাল ডিপ্লোমা সনদধারীগণ এই অধিকার থেকে বঞ্চিত। শুধু কিছুসংখ্যক বিডিএস ডেন্টাল ডাক্তারের কারণে। সারা দেশে সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে ১০০টির বেশি ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি থেকে প্রতি বছর প্রায় সাড়ে তিন হাজার ডিপ্লোমা ডেন্টিস্ট বের হচ্ছেন। নেই কোনো প্রাইভেট প্র্যাকটিসের চ‚ড়ান্ত অনুমতি। এতে ডিপ্লোমা ডেন্টিস্টরা হতাশ। মহামান্য উচ্চ আদালত কোর্স কারিকুলাম, জব ডেসক্রিপশন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ মতামতের ভিত্তিতে ১০টি কাজের সার্কেল নির্ধারণ করে প্রাইভেট প্র্যাকটিসের অনুমতি প্রদান করে বিএমডিসিকে তা দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন। কিন্তু বিএমডিসি মহামান্য উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন না করে কালক্ষেপণ করছে। বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ধারা ২ এর (৪) ও (১৫), ধারা ৫ এর (১) এবং ধারা ১৪ এর (১) পাওয়ার অধিকার রাখেন ডিপ্লোমা ডেন্টিস্টরা। তাই ডিপ্লোমা ডেন্টিস্টদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের অনুমতি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আশীষ শীল শ্রাবণ
বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট পরিষদ, চট্টগ্রাম।

বেতারের নিজস্ব শিল্পীরা কেন উপেক্ষিত?
সরকারি কর্মচারীরা বৈশাখী ভাতা পেয়েছেন। ব্যতিক্রম কেবল বেতারের নিজস্ব শিল্পীদের বেলায়। বেতারের একজন সর্বনিম্ন কর্মচারী মারা গেলেও তাঁর স্ত্রী স্বামীর ভাতা উত্তোলন করেন। অথচ নিজস্ব শিল্পী জীবিত থেকেই তা পান না। তাঁদের সংখ্যা সারা দেশে ১০০-এর বেশি নয়। এই অল্প ক’জন কি পেনশনের আওতায় আনা যায় না? অথবা কারো কাছে সাহায্যের হাত বাড়ানোর লজ্জা থেকে রেহাই দিয়ে দেশের এই গুণী মানুষ ক’জনকে সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার ন্যূনতম ব্যবস্থা করা কি খুবই কঠিন? আশা  করি, সরকার বিষয়টি নিয়ে ভাববে এবং অবসরপ্রাপ্ত নিজস্ব শিল্পীরা বঞ্চিত হবেন না।
খন্দকার আবুল মাহামুদ
অবসরপ্রাপ্ত মুখ্য নাট্য প্রযোজক
বাংলাদেশ বেতার, রংপুর-৫৪০০।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চাই
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় গোটা উত্তরবঙ্গের জন্য একটি অন্যতম বিদ্যাপীঠ। রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ছাত্রছাত্রীরা এখানে অধ্যয়ন করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কয়েকটি বাস ছাত্রছাত্রীদের জন্য থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। যে কয়েকটি বাস চলাচল করে তা রংপুর শহর বা তার আশপাশেই সীমাবদ্ধ। রংপুর-বগুড়া মহাসড়কে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বাসই এক কিলোমিটার পর্যন্তও চলে না। অথচ মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ থেকে অনেক ছাত্রছাত্রী যাতায়াত করে তাকে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করব- পীরগঞ্জ পর্যন্ত দ্রুত বাস সার্ভিস চালুসহ আশপাশের কয়েকটি উপজেলা পর্যন্ত বাস চলাচলের ব্যবস্থা করুন।
মো. আবু তাহের
সদরা কুতুবপুর (কুঠিপাড়া)
পীরগঞ্জ, রংপুর।

লিচু চাষিদের জন্য হিমাগার প্রয়োজন
গ্রীষ্মকালে দেশের ছোট-বড় প্রায় সকল হাটবাজারেই পাওয়া যায় দিনাজপুরের লাল টুকটুকে লিচু। কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে প্রতি বছর অর্ধ লক্ষাধিক মেট্রিক টন লিচু উৎপাদিত হয় এই জেলা থেকে। প্রতি মৌসুমে বাম্পার ফলন ও ন্যায্য দামের পরও এখানকার কৃষকদের মুখে হাসি ফোটে না। কারণ লিচুর শহর হিসেবে খ্যাত এই জেলাটিতে নেই কোনো সংরক্ষণাগার কিংবা হিমাগার! তাই প্রতি মৌসুমে লিচু পচে যাওয়ার আতঙ্কে দিন কাটে ৫ হাজার লিচু চাষির। তাই খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে সবিনয় আবেদন, অবিলম্বে লিচু চাষিদের জন্য হিমাগার তৈরির যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
মো. সাব্বি রহমান
রাজাবাসর, পার্বতীপুর, দিনাজপুর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন