পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ভোলায় পুকুরে বিদ্যুতের তার পড়ে মা-ছেলেসহ একই বাড়ির চারজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও দু’জন। গতকাল বিকালে জেলার বাংলাবাজার সংলগ্ন উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বেপারী বাড়িতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ওই বাড়ির শাহজলের স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪০), তার শিশুপুত্র মো. রহমত উল্লাহ (১২), একই বাড়ির আবুল কালামের মেয়ে সুইটি বেগম (১৩) ও আবদুল মালেকের ছেলে মো. ফয়েজ (২০)। আহত শাহাজাদা (১১) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
দৌলতখান থানার ওসি এনায়েত হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এলাকার কলেজশিক্ষক সাখাওয়াত হোসেন ও ওই বাড়ির বাসিন্দা মো. জাবেদ আলম জানান, গরমের কারণে বিকাল ৫টার দিকে পুকুরে গোসল করতে যায় সুইটি বেগম ও রতমত।
এ দু’জন বিদ্যুতায়িত হয়ে চিৎকার করলে ছুটে এসে পানিতে নামেন রতমতের মা সুফিয়া বেগম। তিনিও বিদ্যুতায়িত হন। তাদেরকে বাঁচাতে ছুটে আসেন মো. ফয়েজ। তারও একই পরিণতি হয়।
পরে পল্লী বিদ্যুতের ওই লাইনের বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ করে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। এদের মধ্যে তিনজনকে ভোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তবে সুইটি ঘটনাস্থলেই মারা যাওয়ায় তাকে আর হাসপাতালে নেয়া হয়নি। তার লাশ বাড়িতে রাখা হয়।
সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্র নাথ মজুমদার জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে ৩ জনই মারা যান। বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, দুই পিলারের দূরত্ব বেশি হওয়ায় মাঝে খুঁটি দেয়া তার ছিঁড়ে পড়ে। এর আগে ওই তার পাল্টানোর জন্য বলা হলেও তা পরিবর্তন করা হয়নি।
এদিকে এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেককেই পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। সূত্র : ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।