পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে জরুরি বিচারিক বিধান সংক্রান্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের কয়েকটি ধারা অবৈধ বলে ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষরঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। ফলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন মামলার আইনজীবীরা। এ সংক্রান্ত তিনটি পৃথক রিট আবেদনের ভিত্তিতে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত এই রায় দেন।
আদালতের রায়ে ২০০৯ সালের ভ্রামমাণ আদালত আইনের মোট ৯টি ধারা আদালত অবৈধ ঘোষণা করেছেন। এসব ধারাগুলো হলো- ৫, ৬ (১) (২) (৪), ৭, ৮ (১), ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩ ও ১৫। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
আদালত বলেছেন- মোবাইল কোর্ট আইনের এসব ধারাকে মাসদার হোসেন মামলার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে উল্লেখ করেছেন। একইসঙ্গে সংবিধানের মৌলিক দুটি স্তম্ভ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ক্ষমতার স্বাতন্ত্রীকরণ নীতির পরিপন্থী ঘোষণা করেছেন। তাই এ ধারাগুলোকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন। এসব ধারা অবৈধ ঘোষণা করায় কার্যত মোবাইল কোর্ট আইনের প্রয়োগই এখন আর সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার হাসান এসএম আজিম। তিনি বলেন, মোবাইল কোর্ট আইনের বিধান সম্পর্কে আজকে হাইকোর্ট বিভাগ বলেছেন, এটা অসাংবিধানিক। সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন আইন করলে বিচারিক ম্যাজেস্ট্রেটদের দ্বারা তখন করতে পারবে বলেও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা করতে পারবেন। সেটা মোবাইল কোর্ট লাগবে না। নরমাল আইনেই সেটা বলা আছে।
তবে ইতোমধ্যে যেসব মামলা নিষ্পত্তি হয়ে গেছে সেগুলোর মধ্যে যেগুলো চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে মামলা চলছে তা রায় অনুযায়ী কাজ করবে। আর বাকি রায় যেগুলো হয়ে গেছে আদালত তা মার্জনা করে দিয়েছেন। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। প্রায় অর্ধযুগ আগের তিনটি পৃথক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রুল জারি করা হয়েছিল। রুলের ওপর গত মার্চে শুনানি শেষে আদালত আবেদনগুলো রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিলেন। #####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।