পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব রিপোর্ট : রাজধানীর বনানীতে রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই তরুণী ধর্ষণের মামলায় সিলেটে গ্রেফতার হওয়া দুই আসামি সাফাত আহমেদ (২৬) ও সাদমান সাকিফকে (২৪) ঢাকায় আনা হয়েছে। তাদেরকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) হেফাজতে তাদের গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে (ডিবি) রাখা হয়েছে। দুপুরে তাদেরকে আদালতে হাজির করানো হতে পারে।
গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, সিলেটে গ্রেফতারের পর ওই দুই আসামিকে বৃহস্পতিবার রাতেই ঢাকায় আনা হয়েছে। ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের তত্ত্বাবধানে তাদের দুজনকেই গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। সেখানে তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষেই তাদের ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালতে নেওয়া হতে পারে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সিলেটের জালালাবাদ এলাকার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পাশের একটি দোতলা বাড়ি থেকে সাফাত ও সাদমানকে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা থেকে পুলিশ সদর দফতরের বিশেষ একটি টিম সিলেটের স্থানীয় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গ্রেফতার অভিযান চালায়।
ঘটনার প্রায় ৪০দিন পর গত ৬ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ছাত্রী ঢাকার বনানী থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করে ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৮ মার্চ পূর্বপরিচিত সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওই দুই তরুণীকে জন্মদিনের দাওয়াত দেয়। এরপর তাদের বনানীর ‘কে’ ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বরে রেইনট্রি নামক হোটেলে সেই জন্মদিনের পার্টি ছিল।
এজাহারে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, সেখানে দুই তরুণীকে হোটেলের একটি কক্ষে আটকে রেখে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণ করে সাফাত ও নাঈম। এ ঘটনা সাফাতের গাড়িচালক বিল্লালকে দিয়ে ভিডিও করানো হয় বলেও উল্লেখ করা হয় এজাহারে। ধর্ষণ মামলার আসামিরা হলো- সাফাত আহমদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী (অজ্ঞাতনামা)।
গত বৃহস্পতিবার (১১ মে) ওই দুই তরুণী বিচারকের সামনে জবানবন্দি দিয়েছেন। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে এই জবানবন্দি নেওয়া হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় এই জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে বলে পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।