পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অনলাইন ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেছেন, বিএনপি দল ক্ষমতায় গেলে সংবিধান সংশোধন করে ক্ষমতায় ভারসাম্য আনবে।
প্রধানমন্ত্রীর ‘একক নির্বাহী ক্ষমতা’ দেশে ‘একনায়কতান্ত্রিক শাসনের’ জন্ম দিয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন, তার দল ক্ষমতায় গেলে সংবিধান সংশোধন করে ক্ষমতায় ভারসাম্য আনবে।
আজ বুধবার ৪টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে বিএনপি কীভাবে দেশ পরিচালনা করবে তার রূপকল্প ‘ভিশন ২০৩০’ দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, পুলিশ বাহিনীকে স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক সমাজের উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সেই সঙ্গে যুগোপযোগী জনপ্রশাসন গড়ে তোলা হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, “গণতন্ত্রের চেয়ে উন্নয়ন শ্রেয় এই ধারণা নিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপচেষ্টা বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করবে।”
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে যে ‘বিতর্কিত ও অগণতান্ত্রিক বিধান’ যুক্ত করা হয়েছে, সেগুলো সংস্কার করার অঙ্গীকারের কথাও বলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সংবিধান সংশোধন করে গণভোট ব্যবস্থা পুনর্প্রবর্তন করবে এবং জাতীয় সংসদকে সকল কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করবে। ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে জাতীয় সংসদে প্রতিষ্ঠা করবে উচ্চ কক্ষ।
তিনি বলেন, “বিএনপি জনগণের হাতেই রাষ্ট্রের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে চায়। আমরা ওয়ান ডে ডেমোক্রেসিতে বিশ্বাসী নই। জনগণের ক্ষমতাকে কেবল ভোট দেওয়ার দিনে আবদ্ধ রাখতে চাই না। ”
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতাদের মধ্যে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, তরিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহবুবুর রহমান, এম কে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ যোগ দেন।
ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আবদুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, রুহুল আলম চৌধুরী, সেলিমা রহমান, শামসুজ্জামান দুদু, মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, আবদুল মান্নান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, হারুন উর রশিদ ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর প্রমুখ।
উপদেষ্টাদের মধ্যে ছিলেন আমান উল্লাহ আমান, আতাউর রহমান ঢালী, ড. সুকোমল বড়ুয়া, অধ্যাপক তাজমেরী ইসলাম, এ জেড মোহাম্মদ আলী, হাবিবুর রহমান হাবিব, জয়নাল আবেদীন ফারুক, আবুল খায়ের ভুঁইয়া প্রমুখ।
২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাগপার শফিউল আলম প্রধান, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ প্রমুখ।
অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ, অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিসহ ২১টি দেশের দূতাবাসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।