Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আওয়ামী ওলামা লীগের একটি গবেষণা

| প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

\ দুই \
বক্তারা বলেন, হেফাযতের নাম দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক পাঠ্যপুস্তকে সংশোধিত প্রবন্ধ, কবিতা প্রত্যাহার করা মেনে নেয়অ হবেনা এবং মুসলমানিত্ব তুলে দিয়ে পুনরায় হিন্দুত্ববাদ ঢুকানোর চক্রান্ত দেশবাসী মুসলমান কখনো মেনে নিবেনা। শিক্ষাবিদ নামধারী নাস্তিক্যবাদী ও হিন্দুত্ববাদীদের চক্রান্তে দেশবাসী মুসলমানদের ক্ষেপানোর সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। বর্তমান পাঠ্যপুস্তকে বহাল থাকা হিন্দুত্ববাদসহ সম্মানিত ইসলাম বিরোধী সমস্ত কুফরী বিষয়গুলো বাদ দিতে হবে।
(৩) প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী বারবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বলার পরও সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে প্রধান বিচারক কেন মূর্তি অপসারণ করছে না? পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসের আগে গ্রীক মূর্তি এবং প্রধান বিচারককে অপসারণ করতে হবে। নইলে উদ্বৃত পরিস্থিতির জন্য প্রধান বিচারক দায়ী থাকবে এবং এবারে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ শেষে ঈদগাহে ঈদের নামায মুসল্লীরা বয়কট করবে।
বক্তারা বলেন, দেশের প্রধান নির্বাহী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী পাশাপাশি আইনমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে মূর্তি সরানোর কথা বারবার বলার পরও সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে মূর্তি সরানো হচ্ছে না। গত ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের সামনে স¤প্রতি স্থাপন করা থেমিসের মূর্তি আমিও পছন্দ করিনি। থেমিসের মূর্তিতে আবার শাড়ি পরিয়ে দেয়া হয়েছে। এটাও হাস্যকর হয়েছে। গ্রীক দেবীর মূর্তি সুপ্রিম কোর্টের সামনে কেন থাকবে?- প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী। ১৭ এপ্রিল-২০১৭ প্রধানমন্ত্রী আবারো বলেছেন, ‘হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলতে অথবা জাতীয় ঈদগাহ থেকে যেন দেখা না যায়, তার ব্যবস্থা নিতে এস.কে সিনহার সঙ্গে কথা বলেছেন।’
সেইসাথে তিনি আরো বলেছেন, ‘আমি বলেছি- কাছেই জাতীয় ঈদগাহ ময়দান। সেখানে ঈদের নামায পড়া হয়। ওখান থেকে এ ভাস্কর্য দেখা যায়। ভাস্কর্য ওখান থেকে সরিয়ে নিন।’ প্রধান বিচারককে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘আপনি সুপ্রীম কোর্টের সামনে যে জাস্টিশিয়া তৈরি করেছেন সেটা কোথায় পেয়েছেন?। সেইসাথে ১২ এপ্রিল-২০১৭ প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন- এ মূর্তিটি আমাদের এখানে আসবে কেন? এটা  আমাদের দেশে আসার কথা নয়। গ্রীকদের পোশাক ছিল অন্যরকম। দেশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন- ‘আপনারা ধৈর্য ধরেন। আপনারা ভরসা রাখেন। এটা সরাতে যা যা করা দরকার আমরা তা তা করবো।’
এছাড়া গত ২৫ এপ্রিল-২০১৭ আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও বলেছেন, “সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে স্থাপিত গ্রিক দেবীর মূর্তি সরানোর বিষয়ে প্রধান বিচারককেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে ভাস্কর্য যখন বসানো হয়েছিল তখন আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হয়নি। তাই ভাস্কর্য সরানোর ব্যাপারেও তাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
বক্তারা বলেন, দেশের মালিক সংবিধানের মালিক জনগণ। আর দেশের জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হচ্ছেন জনপ্রতিনিধি। প্রধানমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রী উভয়েই জনপ্রতিনিধি। মূর্তিস্থাপনে সেই জনপ্রতিনিধিদের মতামত নেয়া হয়নি। অথচ শুধু জনপ্রতিনিধিই নন; উনারা প্রজাতন্ত্রের প্রধান কার্যনির্বাহী। এছাড়া জনগণেরও কোনো মতামত নেয়া হয়নি। তবে প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণের মনের অভিব্যক্তি বলে দিয়েছেন, ‘তিনিও মূর্তি পছন্দ করেন না।’ কারণ দেশের জনগণ এই মূর্তি পছন্দ করে না। সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদও বলেছেন, ‘গ্রিক মূর্তি ইসলামী মূল্যবোধকে আঘাত করেছে।’ সিলেট-২ আসনের এমপি ইয়াহিয়া চৌধুরীও এই মূর্তি উচ্ছেদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। অর্থাৎ এই মূর্তির বিরুদ্ধে দেশের সর্বস্তরের জনগণ ও জনপ্রতিনিধিরা। তারা সুপ্রিম কোর্ট থেকে এই মূর্তির উচ্ছেদ চান। দেশের জনগণ ও জনপ্রতিনিধিরা যেখানে এই মূর্তি পছন্দ করে না, সেখানে জনগণের সরকারের চাকরি করে প্রধান বিচারক জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মূর্তি স্থাপন করেছে কাদের স্বার্থে? সেটা জনগণ জানতে চায়। জনগণের সরকারের নির্বাহীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ আদেশ নির্দেশ দেয়ার পরও মূর্তি না সরানো মূলত জনগণের সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রমূলক ও সন্দেহজনক।
বক্তারা আরো বলেন, গ্রীক মূর্তি না সরানোর বোন কারণই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ গ্রীক দেবী থেমিস/জাস্টিসিয়া গ্রীক পুরানোর কল্পিত দেবী, বাঙ্গালীদের তো নয়ই এমনকি বাঙ্গালী হিন্দুদের কোনও মূর্তি নয়। বাঙ্গালী সংস্কৃতিরও কোন অংশও নয়। বরং সম্পূর্ণ বিদেশী সংস্কৃতি যা এদেশের সংবিধান বিরোধী। তাছাড়া গ্রীকরা শাড়ি পড়ে না কিন্তু থেমিসের মূর্তিকে শাড়ি পড়ানো হয়েছে। আর থেমিসকে শাড়ি পড়ালেই বাঙ্গালী হয়ে যাবেনা।
বক্তারা বলেন, গ্রীকরা বিশ্বাস করে থেমিস/জাষ্টিশিয়া তাদের ন্যায় বিচারের প্রতীক। যা এদেশের সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানদের বিশ্বাসের সম্পূর্ণ বিরোধী। তাছাড়া ঐতিহ্যগতভাবেই বাংলাদেশে সুপ্রিমকোর্টের বিচারের প্রতীক দাড়িপাল্লা। সেখানে দাড়িপাল্লা বাদ দিয়ে তথাকথিত গ্রীক ন্যায় বিচারের প্রতীক থেমিসের মূর্তি স্থাপন করে প্রধান বিচারক সুপ্রিমকোর্টের ঐতিহ্যে আঘাত হেনেছে।
বক্তারা বলেন, ৪৭-এ দেশ ভাগ হয়েছিল মুসলিম এবং হিন্দু ধর্মেরভিত্তিতে। মুসলমানরা থাকবে পাকিস্তান তথা বাংলাদেশে আর হিন্দুরা থাকবে ভারতে। সুতরাং মুসলমান দেশ হিসেবে এদেশের সবকিছু মুসলমানদের পবিত্র দ্বীন ইসলাম অনুযায়ী হবে এটাই স্বাভাবিক। এটা যারা মানবেনা তাদের জন্য তাদের ধর্ম প্রধান দেশ ভারত রয়েছে, সেখানে চলে যেতে পারে। মুসলমানের হিসেবে দেশ প্রতিষ্ঠিত এদেশের সর্বক্ষেত্রে মুসলমানদের প্রাধান্য থাকবে। এদেশের কোথাও কোন স্থাপনা বা স্থাপত্য তৈরী হলে সেখানে মুসলিম ঐতিহ্য, স্থাপত্য ও শিল্পকলা থাকতে হবে। এর বিপরীত কোন সংস্কৃতি এদেশে গ্রহণযোগ্য নয়।
বক্তারা বলেন, এদেশের প্রধান নির্বাহী রাষ্ট্রপতির কার্যালয় বঙ্গভবন যেমন ইসলামী স্থাপত্যকলা তথা মিনার এবং গম্বুজ দ্বারা নির্মিত ও সৌন্দর্যমন্ডিত অনুরূপভাবে এদেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক বিচারালয় সুপ্রিমকোর্টও সম্মানিত ইসলামী স্থাপত্য মিনার ও গম্বুজ দ্বারা নির্মিত ও সৌন্দর্যমন্ডিত। এর মাধ্যমে প্রমাণিত যে, মুসলিম দেশ হিসেবে এদেশের সর্বোচ্চ অঙ্গনে মুসলিম স্থাপত্য আগে থেকেই বহাল রয়েছে। সুতরাং চক্রান্ত করে মুসলিম আদর্শ ও বিশ্বাসের বিরোধী মূর্তিপূজকদের গ্রীক মূর্তি স্থাপন এদেশে কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বক্তারা বলেন, মূর্তি স্থাপনে যেভাবে সরকারের অনুমোদন নেয়া হয়নি একইভাবে মূর্তি স্থাপনে কোন ধরণের টেন্ডারও আহ্বান করা হয়নি। টেন্ডার আহ্বান না করায় গুরুতর আইন লংঘন করা হয়েছে। ফলে এই কাজে যথেষ্ট দুর্নীতির সুযোগ থেকেছে। দুদক কর্তৃক অবিলম্বে এটা তদন্ত করতে হবে।
বক্তারা বলেন, আমরা বলতে চাই, জনগণের দাবি অনুযায়ী, আসন্ন পবিত্র রমাদ্বান শরীফের আগে সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে যদি এই মূর্তি ও প্রধান বিচারককে পদত্যাগ না করানো হয়, তাহলে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরে জনগণ জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত বয়কট করবে। পাশাপাশি হাইকোর্ট মাজার মসজিদে জনগণ তারাবীহ নামাযও বয়কট করবে। এবং উদ্বৃত পরিস্থিতির জন্য জনগণ দায়ী থাকবে না।
বক্তারা বলেন, আমরা যেখানেই সভা করতে যাই সেখানেই মুছুল্লী এমনকি সাধারণ মুসলমানের কাছ থেকে পবিত্র ১লা রমাদ্বান শরীফ উনার আগে মূর্তি ও প্রধান বিচারকের পদত্যাগের দাবি শুনতে পাই। আমরা আর্শ্চান্বিত, প্রধান বিচারক প্রকাশ্যে এতো কথা বলে কিন্তু জনগণের অনুভূতি গ্রীক মূর্তির বিরুদ্ধে একটা কথাও বলছে না। তাহলে কী জনগণের অভিমতকে থোরাই কেয়ার করা হচ্ছে? দেশের মালিক, সংবিধানের মালিক জনগণের সাথে জনবিচ্ছিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে দেশের মালিক সুপ্রিম কোর্টের মালিক জনগণের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে?
(৪) পাঠ্যপুস্তকে সম্মানিত ইসলামী ভাবধারা অক্ষুন্ন রাখার বিরোধিতাকারীদের সংখ্যা ৫%ও নয়। এসব বামপন্থী নাস্তিক্যবাদী ও তথাকথিত প্রগতিবাদীরা ১% ভোটের যোগান দিতে পারে না। পক্ষান্তরে দ্বীনদার মুসলমান ৯৫%ও বেশি ভোটের যোগান দেয়। কাজেই বামপন্থীদের সমালোচনায় গা না করে দ্বীনদার মুসলমানদের দাবিতেই অটল থাকতে হবে।
বক্তারা বলেন, বামপন্থী নাস্তিক্যবাদী ও প্রগতিবাদীরা আ’লীগকে কখনোই কিছু দেয়নি। বরং আওয়ামী লীগের কাঁধে ভর করে ফায়দা লুটেছে। আওয়ামী লীগকে শোষণ করেছে। এরা আওয়ামী লীগকে ১% ভোটেরও যোগান দিতে পারে না। জামানত হারানো ছাড়া ভোটে ওদের কোনো অবদান নেই। আওয়ামী কাঁধে না চড়লে এমপি-মন্ত্রীর পদ জীবনেও জুটতো না। কেউ ওদের ভালো চোখে দেখে না। এজন্য এদের কেউ ভোটও দেয় না। বরং বাকী ৯৫% দ্বীনদারদের ভোটেই আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে। সুতরাং গুটিকয়েক নাস্তিক্যবাদী বামপন্থীদের সমালোচনার ভয়ে ৯৫% দ্বীনদারদের মতামতকে প্রাধান্য না দেয়া কখনোই জ্ঞানীর কাজ নয়। এদের কারণে ৯৫% দ্বীনদারদের মতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পাঠ্যপুস্তক থেকে ইসলামী চেতনা সম্বলিত প্রবন্ধ কবিতা বাদ দেয়া কখনোই ঠিক হবে না। বরং উচিত হলো- ৯৫% দ্বীনদারদের মতকে প্রাধান্য দিয়ে পাঠ্যপুস্তকে সম্মানিত ইসলামী চেতনা সম্বলিত প্রবন্ধ কবিতা বহাল রাখা। পাশাপাশি জামাত-জোট-হেফাজতের বিরোধিতা করতে গিয়ে কখনোই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধিতা করাও ঠিক নয়। অতীতে কোন আওয়ামী লীগার নামধারী দলের চরম ক্ষতি করেছে। দ্বীনদারদের ভোটে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করেছে।
(৫) জমি অধিগ্রহণের নামে কোনো মসজিদ ভাঙ্গা চলবে না। মুহম্মদপুর ও মালিবাগে মসজিদ ভাঙ্গার হোতাদের গ্রেফতার করতে হবে। এসব কিসের আলামত তা দ্বীনদার মুসলমান জানতে চায়।
বক্তারা বলেন, মুহাম্মদপুর ও মালিবাগে দুটি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সম্প্রতি মুহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন নিজস্ব ও সরকারি খাস জমির উপর দীর্ঘ ২৫ বছর পূর্বে পঁচিশ বছর পূর্বে ১৯৯২ সালে নির্মিত বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদ ও মাদরাসা কমপ্লেক্স উচ্ছেদ করে উন্নয়নের নামে ‘সুরের ধারা’র ব্যানারে একটি নাট্যশালা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মালিবাগ এলাকায় গণপূর্ত অধিদপ্তর অনুমোদিত ‘মালিবাগ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ’ যাতে ২০০৬ সাল হতে পাঞ্জেগানা নামাযসহ জুমুয়ার নামায আদায় হচ্ছে। কিন্তু সেই মসজিদও কুচক্রীমহল ভাঙ্গার উদ্যোগ নিয়েছে। তাছাড়া কথিত উন্নয়নের নামেও স¤প্রতি মসজিদ-মাদরাসা অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যা সম্পূর্ণ শরীয়তবিরোধী ও উস্কানীমূলক। সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করতে কিছু ইসলামবিদ্বেষী কুচক্রী মহলের কারসাজি।
বক্তারা বলেন, কিছুদিন পূর্বে মিরপুর ৬০ ফুট রাস্তা সম্প্রারনের রাস্তার মধ্যে পড়া খ্রিস্টানদের ধর্মীয় স্থাপনা অক্ষত রেখে রাস্তা ঘুরিয়ে নেয়া হয়েছে। অথচ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপালে ফ্লাইওভারের জন্য মুসলমানদের মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। যদিও তা অক্ষত রেখে করা যেতো। এসবের মাধ্যমে প্রতীয়মান হচ্ছে, ইসলামবিদ্বেষীদের হাতে মুসলমানদের দ্বীনী স্থাপনাও নিরাপদ নয়। মূলত, মসজিদ হলো মহান আল্লাহ পাক উনার ঘর। এটা পরিবর্তন বা স্থানান্তরের ক্ষমতা মুসলমানদের নেই। কিন্তু পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুশাসন না মেনে গায়ের জোরে মুসলমানদের দ্বীনী স্থাপনা অপসারণ করা হচ্ছে। এটা কোনো মুসলমান মেনে নিবে না। কুচক্রী মহলের এসব ধৃষ্টতা গ্রহণযোগ্য নয়। আর কোনো মসজিদ অপসারণ করা হলে দেশের মুসলমানরা তা সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করবে। অবিলম্বে মুহাম্মদপুর ও মালিবাগ এবং ফেনীর মহিপালে মসজিদ ভাঙ্গার হোতাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে এবং মসজিদ-মাদরাসা অধিগ্রহণের ইসলামবিরোধী বিতর্কিত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।
(৬) গরুর গোশত খাওয়া নিয়ে বাংলাদেশেও ধারাবাহিকভাবে ষড়যন্ত্র চলছে। ইদানীং রহস্যজনকভাবে অনেক হোটেলে ‘নো বিফ’ লেখা দেখা যাচ্ছে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গরুর গোশতের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। গরুর গোশত বিরোধী এসব চক্রান্ত বন্ধ করতে হবে।
বক্তারা বলেন, ভারতের মতো বাংলাদেশেও গরুর গোশত খাওয়া নিয়ে ধারাবাহিকভাবে ষড়যন্ত্র চলছে। অথচ গরুর গোশত খাওয়া হালাল, যা মহান আল্লাহ পাক উনার বিধান।(চলবে)



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন