Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রী

কক্সবাজারে মেরিন ড্রাইভ সড়ক উদ্বোধন

| প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম


বিএনপি উন্নয়ন করতে জানে না, শুধু লুটপাট আর দুর্নীতি করতে পারে : নৌকা মার্কা জনগণের মার্কা, যখনি নৌকায় ভোট দেয়া হয় তখনি দেশ উন্নয়ন হয়
উমর ফারুক আলহাদী (কক্সবাজার থেকে) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন আওয়ামী লীগের সরকার। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের উন্নয়ন হয়। তাই জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। গতকাল বিকেলে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য লুটপাট ও দুর্নীতি। জনগণের কল্যাণে তাদের কোনো  লক্ষ্য নেই। বিএনপি উন্নয়ন করতে জানে না, জানে শুধু লুটপাট করতে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন করে, বিএনপি করে মানুষ হত্যা। এটি হচ্ছে বিএনপির চরিত্র। বিএনপির পেট্রলবোমা হামলার শিকার হয়ে ২৩১ জন মারা গেছে, ৩ হাজার ৩৬ জন আহত হয়েছে। ৩ হাজার ৫২টি গাড়ি পুড়িয়েছে। ৯টি লঞ্চে আগুন দিয়েছে। আহতের মধ্যে অনেকে মৃত্যুবরণ করেছে। জামায়াত-শিবির-বিএনপির হাত থেকে কোরআন শরীফ, মসজিদ রক্ষা পায়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাধিক মেয়াদে ক্ষমতায় থাকলেও বিএনপি দেশের উন্নয়ন করেনি। তিনি বলেন, বিএনপি দুর্দিনেও নাই উন্নয়নেও নাই। কিন্তু আমি আপনাদের সামনে খালি হাতে আসিনি। অনেক প্রকল্প নিয়ে এসেছি। যে কাজগুলো ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, সেগুলো উদ্বোধন করেছি। যেগুলো করব, সেগুলোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি। শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা মার্কা জনগণের মার্কা, যখনি নৌকায় ভোট দেয়া হয় তখনি দেশে উন্নয়ন হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন করেছি। কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কও চার লেনে উন্নীত করা হবে। বিশ্বসভায় তার সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা উজ্জ্বল হয়েছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণে সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ ও তাদের অবদানের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, কক্সবাজারে সারাবিশ্ব থেকে পর্যটকরা আসেন। সে বিবেচনা করে আমরা এখানে বিমানের বোয়িং চলাচল শুরু করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু এখানে পর্যটক আসে, সেহেতু তাদের যাতায়াতের জন্য বিমান নিয়ে এসেছি। এই বিমান কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রথম অবতরণ করল। আমি এই বিমানের মাধ্যমে এখানে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনার ঘোষণা দিলাম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ কক্সবাজারবাসী অবহেলিত ছিল আমি জানি। যখনই কোনো দুর্যোগ দেখা দিয়েছে আমরা এসেছি, আপনাদের সেবা করেছি।
তিনি আরো বলেন, ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের সময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। এত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিএনপি নেত্রী জানতেন না। আমি সংসদে তোলার পর উনি বলে দিলেন, যত মরার কথা, তত মানুষ মরে নাই। আমি প্রশ্ন করেছিলাম, কত মানুষ মরলে আপনার তত মানুষ হবে? এরপর আমরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ছুটে এসেছিলোম। আসার পথে কঠিন অবস্থায় পড়তে হয়েছিল। রাস্তা ভাঙা ছিল। এরই মধ্যে এসে সমস্ত দ্বীপাঞ্চল ঘুরে ঘুরে রিলিফ ওয়ার্ক করেছি। তখন পর্যন্ত বিএনপি সরকারের কেউ আসেনি। যখন কুতুবদিয়াতে লাশের পর লাশ পড়ে ছিল, নেভির লোক কোনোভাবে লাশ দাফন করেছিল। সেদিনই সেনাবাহিনীর একটি দল এসেছিল। প্রত্যেক এলাকায় ঘুরে ঘুরে মানুষের লাশ, শিশুর লাশ আমি নিজে দেখেছি। মানুষের লাশ, ছোট্ট শিশুর লাশ ভেসে ভেসে আসছে। সেই বীভৎস দৃশ্য। যতটা পেরেছি মানুষকে সহায়তা করেছি। রিলিফ দিতে এসে হুমকির সম্মুখীন হয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অবৈধভাবে যারা ক্ষমতা দখল করে, সংবিধান লঙ্ঘন করে, তারা জনগণের কথা ভাবে না। তারা ক্ষমতা ভোগ করে আর কিছু এলিটকে লুটপাটের সুযোগ করে দেয়। ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে ঘোষণা দিয়েছিলাম, আমি শাসক না জনগণের সেবক হিসেবে বাংলাদেশ পরিচালনা করব। আমার বাবা দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন, আমি জানি এটা আমার জন্য কঠিন পথ। কারণ এই মাটিতে আমার বাবা-মা-ভাইসহ পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘একই দিনে মেজ ফুফুর বাড়ি, সেজ ফুফুর বাড়িতে আক্রমণ করে তার স্বামী ও ছেলেকে হত্যা করেছে, আমার ছোট ফুফুর বাড়িতেও আক্রমণ করে ফুফাকে না পেয়ে ফুফুকে গৃহবন্দি করেছে। এভাবে হত্যাযজ্ঞ চলেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের জন্য কাজ করে, জনগণের জন্য কাজ করে। প্রত্যেক মানুষ সুন্দরভাবে জীবনযাপন করবে। যাদের ঘর নেই তাদের ঘর করে দেয়া হবে।
কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করা হবে। এ লক্ষ্যে প্রকল্পও হাতে নেয়া হয়েছে।
মাদক পাচারের বদনাম থেকে পর্যটন শহর কক্সবাজারকে তুলে আনার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে জনসভাস্থলের পাশে ১৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
জেলায় কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনের পর জনসভায় তিনি বলেছেন, ‘আমি শুনেছি কক্সবাজারের বদনাম রয়েছে, এখান  থেকে নাকি ইয়াবা সাপ্লাই হয়। এটা বন্ধ করতে হবে। যেই এর সাথে জড়িত তাকে শাস্তি পেতেই হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা একটা জিনিসই চাই। শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষক, জনগণ সবার কাছে চাই, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখ দাঁড়াতে হবে, মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
হাজার হাজার নেতা-কর্মী ও দর্শকদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘খালি হাতে আমি আসিনি, উপহারও নিয়ে এসেছি।’  কক্সবাজারের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন,  কক্সবাজার বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে আরো পরিকল্পনার কথা জানান সরকারপ্রধান। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন এবং চার লেনের সড়ক করার আশ্বাস দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন নগরী হিসেবে কক্সবাজার গড়ে উঠবে।
মহেশখালীতে চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানান  শেখ হাসিনা। এই দ্বীপটিকে ডিজিটাল উপজেলা ঘোষণার কথাও বলেন তিনি। সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপন করা হবে।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দও বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৬২ এবং ১৯৬৪ সালে বাবা- মায়ের সঙ্গে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ করতে এসেছিলাম। তখন আমার বাবা সৌর্ন্দযময় এ সমুদ্র সৈকতকে নিয়ে নানা পরিকল্পনার কথা বলতেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে তাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। তবে এরপরও সমুদ্র সৈকতকে আরো বেশি আর্কষণীয় করতে আমার ভেতরে স্বপ্ন তৈরি হয়। এ স্বপ্ন আমি বাস্তবায়ন করতে বদ্ধপরিকর।’
মেরিন ড্রাইভ সড়কটি নির্মাণের জন্য সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি এই সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে পাহাড় ধসে নিহত ছয় সেনা সদস্যের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং পরিবারের প্রতি সমবদেনা জানান।
প্রধানমন্ত্রী সকাল সোয়া ১০টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে  পৌঁছেন। পরে মেরিন ড্রাইভ সড়ক হয়ে ইনানী আসেন। সেখানেই ২৮ কিলোমিটার পয়েন্টের ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে এই সড়কের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় সড়ক পরিবহন ও  সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, গণপূর্তমন্ত্রী মোশারফ হোসেন, পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সেনাবাহিনীর প্রধান আবু বেলাল  মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন মোহাম্মদ, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরারসহ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কক্সবাজারকে সুন্দর করার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন আমার বাবা    
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত তীরবর্তী শহর কক্সবাজারকে নিয়ে ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানিয়েছেন, তার মধ্যে এ স্বপ্ন সৃষ্টি করেছিলেন তার বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গতকাল শনিবার দুপুরে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের উদ্বোধন শেষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক উদ্বোধন
এর আগে প্রধানমন্ত্রী সকাল সোয়া ১০টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে একপি ফ্লাইটে সুপরিসর বিমান বোয়িং-৭৩৭-৮০০-এ কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। পরে মেরিন ড্রাইভ সড়ক হয়ে ইনানী আসেন। সেখানেই ২৮ কিলোমিটার পয়েন্টের ফলক উন্মোচনের মধ্যদিয়ে এই সড়কের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। মেরিন ড্রাই সড়ক উদ্বোধনকালে কক্সবাজারকে একটি অবহেলিত এলাকা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে  দেখেছিলাম। তখন দেখেছি এই এলাকার জীবনমান কত খারাপ।  যোগাযোগ ব্যবস্থার ভয়াবহতা।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্বের দীর্ঘতম ১২০ কিলোমিটার বালুকাময় সৈকত এখানে। এর সৌর্ন্দয আরো আকর্ষণীয় করতে যা যা করার দরকার তাই করা হবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী রেজুখাল ব্রিজ নির্মাণে ও সৈকতের কলাতলী  থেকে দুই কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘মেরিন ড্রাইভ সড়ক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে কেবল পর্যটনের বিকাশ নয়, সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের জীবনমানের ও আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন হবে।’
তিনি কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ উদ্বোধনের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপভোগ করেন।
সড়কটি নির্মাণের জন্য সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি এই সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে পাহাড় ধসে নিহত ছয় সেনা সদস্যের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং পরিবারের প্রতি সমবদেনা জানান।
কক্সবাজার বিমানবন্দরে বাণিজ্যিকভাবে সুপরিসর বোয়িং বিমান চলাচল উদ্বোধন
এর আগে কক্সবাজারে বাণিজ্যিকভাবে বোয়িং বিমান চলাচলের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা থেকে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমান ‘মেঘদূত’-এ করে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। এর পরপরই প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিমান চলাচলের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন শহর কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক বিমানের চলাচল শুরু হলো।
প্রধানমন্ত্রী সমুদ্র সৈকতে সাগরের পানিতে হাঁটলেন
কক্সবাজারের উখিয়ায় ইনানী সৈকতে খালি পায়ে হাঁটলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশাল সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে বেশ উচ্ছ¡সিত দেখাচ্ছিল।
গতকাল সকালে কক্সবাজার যাওয়ার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে  সৈকতে নামেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি কিছুক্ষণ খালি পায়ে হাঁটেন, নামেন পানিতেও। সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন সেনাসদস্য ও অন্যান্য সফরসঙ্গী।
 গতকাল বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের প্রধান পর্যটন শহর কক্সবাজারকে আরো আকর্ষণীয়ভাবে গড়ে  তোলার কথাও বলেন তিনি।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ৭ মে, ২০১৭, ৭:৫৫ এএম says : 0
    এই সংবাদের শিরনাম থেকে শুরু করে একে সুন্দর্য দান করার জন্য যাদের অবদান রেয়েছে যেমন কক্সবাজার থেকে সাংবাদিক উমর ফারুক আলহাদী, ইনকিলাব পত্রিকার ফট সাংবাদিক, পত্রিকার সম্পাদক বাহাউদ্দিন সাহেবকে সহ সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আমি প্রথমেই বলতে চাই জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবিটা দেখলেই বাংলাদেশের একজন আদর্শ বাঙ্গালী মুসলমান রমণীর প্রতিক ছবি হিসাবে ফুটে উঠে এবং তার প্রতি শ্রদ্ধা আরো বৃদ্ধি পায় এটাই কঠিন ভাবে সত্য। তাই আমি আনন্দের সাথে নেত্রী হাসিনাকে জানাই আমাদের রক্ত দিয়ে অর্জিত লাল সবুজের সালাম। জননেত্রী শেখ হাসিনা এখানে যা যা বলেছেন এসব কঠিন সত্য। আমি নেত্রীকে আমার বিভিন্ন মন্তব্যে বার বার অনুরোধ করেছি ওনার কর্মকান্ড প্রকাশ করার জন্য কিন্তু তিনি বলতেন দলের কর্মকান্ড প্রকাশ করতে। প্রকৃত সত্য হচ্ছে দল কোন কাজ করেনি করেছেন আপনি হয়ত বলবেন দলের হয়ে করেছি......... কিন্তু সেটা মনে হয় জনগন গ্রহণ করেনি বা করতেও চাইবে না। কিন্তু আপনি যদি জনগণকে দেখান আপনার কাজ এতে কোন দোষনেই কারন আপিন আগেই বলেছিলেন সরকারের উন্নয়ন প্রচার করতে ওরা সেটা করে নি। এই সংবাদ পড়ার পর এটাই প্রতিমান হয় যে, আমি সবসময় যে কথা বলে এসেছি জননেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। কিন্তু এখানে বার বার আমার একটা বলা কথা জননেত্রী গ্রহণ করছেন না সেটা হচ্ছে দলের কর্মীদের লাটাই উনি নিজ হাতে এখনও নিচ্ছেন না। তাই আমার ভীষন ভয় হয় উনার মত একজন বলতে এএল দলে একমাত্র দেশ প্রেমিক ও জন দরদী নেত্রী যেন হোঁচট খেয়ে রাস্তায় পরে না যান। সুযোগ পেয়ে আজ আমি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বলতে চাই কয়দিন আগেই পত্রিকায় এসেছিল এএল বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে নিজ দলের নেতা নেত্রীদের মধ্য থেকে যোগ্যতা সম্পন্ন নেতা বা নেত্রী বার বার বাছাই করছেন। আমি আশাকরি এখানে নেত্রী হাসিনা নিজেই একক ভাবে সময় লাগে লাগুক তারপরও তিনি নিজেই একক ভাবেই কাওর পরামর্শ না নিয়ে নিজের মত করে সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থি নির্বাচন করবেন। এবং তিনি গোপনীয়তার সাথে এসব প্রার্থির সাথে কথা বলে তাদের যোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে এদেরকে তৃন মূল দলের কাছেই নিজের প্রতিদন্দিতার কথা ঘোষনা দিয়ে এগুতে বলবেন। এরপর যদিও এলাকার দল তাদের তালিকায় এদেরকে বাদ দেন তখন দলের সাধারন সম্পদকে দিয়ে এর কারন জানতে চাইবেন এবং আমি নিশ্চিত তাদের ব্যাখা যুক্তিতে টিকবে না কাজেই নেত্রী হাসিনা এদেরকে প্রার্থি বানাতে অসুবিধায় পরবেন না। এতে গণতন্ত্রও মানা হবে আবার যোগ্য লোকও প্রার্থি হিসাবে জনগণের কাছে গ্রহণ যোগ্য হবে। এতে প্রার্থি যদি আর্থিক ভাবে তেমন মজবুত না হয় তখন দল থেকে তাকে সহযোগিতা করতে হবে। তাহলেই নীরব ভোট আর হারাতে হবে নে কারন জনগণ এটা জানে জননেত্রীর বিকল্প নেই তবে জনগণ এএল এর নেতা, নেত্রী ও কর্মীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে নীরব ভোটার হয়ে গেছে। আবার এই নীরব ভোটাররা যদি দলকে জেতানোর কথা না ভেবে উপযুক্ত প্রার্থিকে ভোট দেয় তাহলে অবশ্য এএল এর ভয় নেই কিন্তু নীরব ভোটারা সেটা মনে হয় করবে না তারা চাইবে এএলকে হারিয়ে অত্যাচারের প্রতিশোধ নিতে। তাই তারা বলতে গেলে বলতে হয় তারা বিএনপিকেই ভোট দিবে। এদেকে আবার দাতা দেশ গুলোও এএল এর ব্যবসায়ী ও এএল এর নেতা নেত্রীদের ব্যবহারে অতিষ্ট এটা আমার ধারনা এবং বিশ্বাস। আমি আরো বলতে চাই যে ইতিমধ্যে দাতা দেশ গুলো বিএনপিকে মাঠ দেবার জন্য ভীষন ভাবে এএল এর উপর চাপ প্রয়োগ করছে যদিও তারা জানে জনগণ এখন প্রকাশ্যে বিএনপিকে সমর্থন দেয় না। কিন্তু তারা এটাও জানে যে দেশে এখন প্রচুর নীরব ভোটারের সৃষ্টি হয়েছে যারা বিএনপি-জামাতকে মোটাও পছন্দ করে না কিন্তু এরা এএল এর অত্যাচার থেকে বাচার জন্য বিএনপি-জামাতকেই জিতিয়ে দিবে। একই সাহে দাতে দেশগুলো যে সুযোগ সুবিধা এএল থেকে পাচ্ছে তারচেয়ে বেশী সুযোগ সুবিধা বিএনপি-জামাত থেক পাবে। কারন দাতাদেশ পূর্বে বিএনপি-জামাত থেকে যে সুযোফ পেয়ে আসছিল সেটা এএল এর কাছ থেকে পাচ্ছে না। কাজেই এর এদের দালাল যারা এদের জন্য বাংলাদেশে কাজ করে তাদের মাধ্যমে বিএনপি-জামাতকে সহযোগিতা করিয়ে আবার ১৯৯১ বা ২০০১ সালের অবস্থা করায়ে বিএনপি-জামতকে ক্ষমতা পাইয়ে দিবে এটাই কঠিন সত্য কথা। পরিশেষে আমি বলতে চাই, জননেত্রী হাসিনা যদি এএল এর ক্ষমতা একক ভাবে নিজ হাতে না নেন তবে বিপদ যে ঘাড়ে খুবই সন্নিকটে এটা কঠিন এক সত্য ভবিষত। এরবেশী আমার আর কিছু বলার থাকবে না । আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে বুঝার ক্ষমতা দিন এবং সেই ভাবে চলারও ক্ষমতা দিন এটাই আমার প্রার্থনা আমাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে। আমীন
    Total Reply(0) Reply
  • সুরমা ৭ মে, ২০১৭, ১১:৩০ এএম says : 0
    জনগণ সেটা ভালো করেই জানে এবং বুঝে
    Total Reply(0) Reply
  • Farjana ৭ মে, ২০১৭, ১২:৫৫ পিএম says : 0
    Thanks a lot to the PM
    Total Reply(0) Reply
  • S. Anwar ৯ মে, ২০১৭, ৮:৫০ এএম says : 0
    মুদ্রা বড় হলেও তার দুই পৃষ্ঠে অনুমোদিত ছাপ না থাকলে তা মুল্যহীন।
    Total Reply(0) Reply
  • S. Anwar ৯ মে, ২০১৭, ১১:৫৫ এএম says : 0
    মুদ্রা যতো বড়ই হোক্ উভয় পৃষ্ঠাতেই যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত ছাপ না থাকলে সেই মুদ্রা মুল্যহীন। এইক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষ হলো জনগন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ