পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের বিহার পুলিশের কর্মকর্তাদের কথা যদি সত্যি হয়, তাহলে ওই রাজ্যের মূষিক, মানে ইঁদুরদের এখন আর সুস্থ থাকার কথা নয়। এমনকি তাদের চলাফেরারও ক্ষমতা থাকার কথা নয়! গত এক বছরে তারা প্রায় ন’লাখ লিটার মদ খেয়ে নিশ্চয়ই এখন ‘ফিলিংস’-এ রয়েছে।
বিহারে গত বছর এপ্রিল মাস থেকে মদ নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পরে সারা রাজ্যে তল্লাশি চালিয়ে বেআইনী মদের বোতল বাজেয়াপ্ত হওয়ার পরে সেগুলো বিভিন্ন থানার ‘মালখানা’য় রাখা হয়েছিল। পরিমাণ নেহাত কম নয়- ৫.১১ লাখ লিটার ভারতে তৈরি বিদেশী ব্রান্ডের মদ, প্রায় তিন লাখ লিটার দেশী মদ আর ১২ হাজার বিয়ারের বোতল। এখন সিনিয়র কর্মকর্তারা বাজেয়াপ্ত হওয়া সেই সব মদের বোতলের হিসাব চাইতেই থানার বড়বাবুরা জানিয়েছেন, বোতলের ছিপি নষ্ট করে ভেতরের মদ খেয়ে নিয়েছে ইঁদুরের দল, আর কিছু বোতল ভেঙ্গে গেছে।
কিন্তু বিভিন্ন থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের দেওয়া এই তথ্য অবিশ্বাস্য লেগেছে শীর্ষ কর্মকর্তাদের। যদিও সংবাদমাধ্যমের সামনে সেই সন্দেহটা প্রকট করেননি তারা, তবে বাজেয়াপ্ত হওয়া ওই বিপুল পরিমাণ মদের বোতল বø্যাক-মার্কেটে চলে গেছে, না-কি সত্যিই ইঁদুরে মদ খেয়ে নিয়েছে - তারই তদন্ত শুরু হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক এসকে সিংঘল জানিয়েছেন, ‘পাটনার আইজিকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই রিপোর্ট দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
ইঁদুর দল মদ খেয়েছে কী-না, তা নিয়ে তদন্ত শুরুর দিনেই দুই পুলিশ কর্মী গ্রেফতার হয়েছেন মদ খাওয়ার দায়ে।
পাটনার সিনিয়র পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট মনু মহারাজ বলছেন, বৃহস্পতিবার একটি পুলিশ ব্যারাকে পরিদর্শন করতে গিয়ে তিনিই দুই পুলিশ সদস্যকে মদ্যপ অবস্থায় দেখতে পান। তাদের ধরতে গেলে মি. মহারাজের ওপরেই চড়াও হন ওই দু’জন। এদের একজন আবার বিহার পুলিশ কর্মী সংগঠনের নেতা। আদালত দু’জনকেই জেল হাজতে পাঠিয়ে দিয়েছে। সূত্র : পিটিআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।