পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : পূর্বের ধারাবাহিকতায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হারে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা; যদিও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে অবস্থান সমানে সমান। গতকাল প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ১০টি বোর্ডে ছাত্রীদের পাসের হার ৮০ দশমিক ৭৮ শতাংশ; অন্যদিকে ছাত্রদের মধ্যে পাস করেছে ৭৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। সার্বিকভাবে এবার পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
দশ বোর্ডে এবার মোট ১৭ লাখ ৮১ হাজার ৯৬২ জন মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে পাস করেছে ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৭২২ জন। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ছিল ৯ লাখ ১০ হাজার ৩৭৩ জন, আর ৮ লাখ ৭১ হাজার ৫৮৯ জন ছাত্রী। তাদের মধ্যে পাস করেছে ৭ লাখ ২৭ হাজার ৬৮৮ জন ছাত্র এবং ৭ লাখ ৪ হাজার ৩৪ জন ছাত্রী। ছাত্রদের মধ্যে ৫৩ হাজার ৪৮৮ জন এবং ৫১ হাজার ২৭৩ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির পাল্লায় দুই পক্ষই সমান। উত্তীর্ণ ছাত্র ও ছাত্রীদের ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ করে পূর্ণ জিপিএ-৫ পেয়েছে।
পাসের হারের দিক দিয়ে ঢাকা, রাজশাহী, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, দিনাজপুর ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে ছাত্রীরা এগিয়ে থাকলেও কুমিল্লা, সিলেট ও মাদ্রাসা বোর্ডে পিছিয়ে আছে। ঢাকা বোর্ডে ছাত্রীদের পাসের হার ৮৭ দশমিক শূন্য ৬, ছাত্রদের ৮৫ দশমিক ৭৩, রাজশাহী বোর্ডে যথাক্রমে ৯১ দশমিক ৪৪ এবং ৯০ দশমিক শূন্য ১, যশোর বোর্ডে ৮২ দশমিক ১৪ এবং ৭৮ দশমিক শূণ্য ১, চট্রগ্রাম বোর্ডে ৮৪ এবং ৮৩ দশমিক ৯৮, বরিশাল বোর্ডে ৭৯ দশমিক ৮২ এবং ৭৪ দশমিক ৭৩, দিনাজপুর বোর্ডে ৮৫ দশমিক ৭৬ এবং ৮২ দশমিক ৩০, কুমিল্লা বোর্ডে ৫৮ দশমিক ৬৩ এবং ৫৯ দশমিক ৫১ এবং সিলেট বোর্ডে ৭৯ দশমিক ৭৯ এবং ৮০ দশমিক ৮৫শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এছাড়া বোর্ডে ছাত্রীদের পাসের হার ৭৫ দশমিক ১৭, ছাত্রদের ৭৭ দশমিক ১৮ এবং কারিগরি বোর্ডে ৮২ দশমিক শূণ্য ৬ এবং ৭৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ারিং গার্লস কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করেছেন মাইশা মাকসুদ সারা। পাসের হারে মেয়েদের এগিয়ে থাকার ব্যাপারে সারা বলেন, মেয়েদের পড়াশোনার ব্যাপারে সরকার ও বিভিন্ন সংস্থা থেকে অনেক তাগিদ দেয়া হচ্ছে। মেয়েদের পড়াশোনার উপযোগী পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে করে অভিভাবকদের মধ্যেও সচেতনতা বেড়েছে।
মিরপুরের মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল ফরহাদ হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, ছেলেরা বন্ধু, সোস্যাল মিডিয়ায় এবং বাইরে সময় বেশি ব্যয় করে। অপরদিকে মেয়েরা সাধারণত বাসায়ই থাকে। একই সঙ্গে মা-বাবার শাসনটা একটু বেশি মেনে চলে, তাই পড়াশোনায় বেশি মনযোগ দিতে পারে। এসব কারণে মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে সবসময় এগিয়ে থাকে। তিনি জানান, মনিপুর স্কুলে মেয়ে শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।