পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সুপেয় পানি ও কৃষি কাজে ভ‚-গর্ভস্থ পানির উপর অধিকহারে নির্ভরশীলতার কারণে ইতোমধ্যে ভ‚-গর্ভস্থ পানির স্তর ৩ মিটার হতে ১০ মিটার পর্যন্ত নীচে নেমে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য আমেনা আহমেদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী জানান, পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে নলক‚পে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পাওয়া যায় না। এ অবস্থা হতে উত্তরণের জন্য সরকার ৩৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ৮০৯টি পুকুর পুনঃখনন করা হবে। এছাড়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর সুপেয় পানির সঙ্কট দূর করার জন্য বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, পন্ড স্যান্ড ফিল্টার ও পাতকুয়া ব্যবহারে জনসাধারণকে সহযোগিতা ও উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় ঢাকা ওয়াসা পরিবেশ-বান্ধব, টেকসই ও গণমুখী পানি ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সে লক্ষ্যে ঢাকা ওয়াসা একটি ওয়াটার মাস্টার প্লান প্রণয়ন করেছে। মাস্টার প্লানের সুপারিশ অনুযায়ী ২০২১ সাল নাগাদ রাজধানী ঢাকায় শতকরা ৭০ ভাগ পানি ভ‚-উপরিস্থ পানির উৎস থেকে সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ঢাকা ওয়াসা কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা ওয়াসা এ লক্ষ্যে তিনটি বৃহৎ পানি শোধনাগার প্রকল্প গ্রহন করেছে।
সরকারী দলের সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দারিদ্র বিমোচনে টেকসই অগ্রগতি নিশ্চিত করতে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মেয়াদ ইতোমধ্যেই ২০২০ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। সরকার এই প্রকল্পকে স্থায়ী রূপ দিতে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে। উপজেলা পর্যায়ে পল্লী ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি জানান, প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে ই-লানিং-কাম-মার্কেটিং সেন্টার (অফিস ঘর) স্থাপন/নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। আর প্রতিটি গ্রামে একটি করে পুকুর তৈরি করারও পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, ২০২১ সালের মধ্যে সারাদেশে স্যানিটেশন ব্যবস্থা শতভাগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে স্যানিটেশন কভারেজ উন্নয়নে বাংলাদেশ প্রভর্‚ত সাফল্য অর্জন করেছে। বর্তমানে ৯৯ ভাগ জনগণ মৌলিক স্যানিটেশনের অন্তভর্‚ক্ত। তন্মধ্যে ৬১ ভাগ জনগণ উন্নত ল্যাট্রিনের আওতাভ‚ক্ত রয়েছে। অবশিষ্ট ২৮ ভাগ জনগণ যৌথ ল্যাট্রিন এবং ১০ ভাগ অনুন্নত ল্যাট্রিন ব্যবহার করেন। বিশেষ করে খোলা স্থানে মলমূত্র ত্যাগের হার প্রায় শুণ্যের কোটায় নেমে এসেছে, যা ২০০৩ সালে ছিল প্রায় ৪২ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।