Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিজ ঘরে ফিরছেন ১৪ স্বতন্ত্র এমপি

সংসদে গোপন বৈঠক

| প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : চলমান জাতীয় সংসদের ১৪ জন স্বতন্ত্র এমপি আবারো আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। সংসদের ১৬ জন স্বতন্ত্র এমপির মধ্যে আর মাত্র দুইজন স্বতন্ত্র এমপি থাকল। এসব এমপি দশশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জিতেছিলেন। এখন আবার তারা নিজ ‘ঘরে’ ফিরলেন।
এর আগেও একাধিকবার তারা আওয়ামী লীগে যোগদানের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তাতে সম্মতি ছিল না। কারণ জাতীয় সংসদ এতে আরও একপেশে হয়ে যেতেন। কিন্তু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলকে কোন্দল মুক্ত রাখতে চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। এ কারণে স্বতন্ত্র এমপিদের আবদার রক্ষা করল দলটি। সূত্র জানায়, বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন এসব এমপিরা। অতি গোপনে সংসদ ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, যদি কোনো স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী কোনো দলে যোগ দিতে চান তবে তার আবেদন এবং ওই দলের নেতার অনুমোদন প্রসঙ্গে প্রধান হুইপ স্পিকারকে জানাবেন। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দিনাজপুরের সংসদ সদস্য খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ১৬ জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যের মধ্যে ১৪ জন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। তারা এখন নিজ ঘরে ফিরে এসেছেন।
১৪ জন এমপিরা হলেন, গাইবান্ধা-৮ আবুল কালাম আজাদ, নওগাঁ-৩ ছলিম উদ্দীন তরফদার, কুষ্টিয়া-১রেজাউল হক চৌধুরী, ঝিনাইদহ-২ তাহজীব আলম সিদ্দিকী, যশোর-৫ স্বপন ভট্টচার্য্য, পিরোজপুর-৩ রুস্তম আলী ফরাজী, ঢাকা-৭ হাজী মো. সেলিম, নরসিংদী-২ কামরুল আশরাফ খান, নরসিংদী-৩ সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, ফরিদপুর-৪ মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, মৌলভীবাজার-২ আব্দুল মতিন, কুমিল্লা-৩ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, কুমিল্লা-৪ রাজী মোহাম্মদ ফখরুল এবং পার্বত্য রাঙামাটির ঊষাতন তালুকদার। স্বতন্ত্র ১৬ জন সংসদ সদস্যের বাকি দুজন হলেন মেহেরপুর-২ আসনের মো. মকবুল হোসেন এবং ফেনী-৩ আসনের রহিম উল্লাহ।
এদের মধ্যে রুস্তম আলী ফরাজী জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। ঊষাতন তালুকদার পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা। কামরুল আশরাফ খান আওয়ামী লীগে ছিলেন না। মকবুল এর আগে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। রহিম উল্লাহ সৌদি আরবের জেদ্দা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ