পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার ঃ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন, হাওর অঞ্চলে ৫০ হাজার জেলেকে ভিজিএফ দেওয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের সভাকক্ষে হাওর অঞ্চলের চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভায় তিনি এ তথ্য জানান। ত্রাণমন্ত্রী বলেন, হাওর অঞ্চলে ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করবে। ত্রাণ বিতরণে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ বা দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, হাওর অঞ্চলে কৃষকদের পাশাপাশি জেলেরাও কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাই কৃষকদের পাশাপাশি ৫০ হাজার জেলেকে ভিজিএফ দেয়া হবে এবং তাদের সকলের বিকল্প কর্মসংস্থান করা হবে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য জেলাভেদে ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ৪০ দিনের কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় এ কর্মসংস্থান করা হবে। আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, অর্থ সচিব হেদায়েত আল মামুন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মোঃ শাহ্ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহাম্মদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, প্রাথমিকভাবে হাওর অঞ্চলের ৩ লক্ষ ৩০ হাজার প্রান্তিক দরিদ্র লোককে ভিজিএফ সহায়তা দেয়া হবে। এ সংখ্যা বাড়তে থাকলে বাড়তি লোকদেরও সহায়তা করা হবে। এর পাশাপাশি সুলভ মূল্য ও ওএমএস কার্যক্রম চলমান থাকবে। সভায় সকল ক্ষতিগ্রস্ত লোককে খাদ্য সহায়তার আওতায় আনার লক্ষ্যে জিআর, ভিজিডি, ভিজিএফ, সুলভ মূল্যের চাল ও ওএমএস চাল বিতরণে সমন্বয় সাধনের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়াও ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট চুড়ান্ত করতে প্রত্যেক মন্ত্রণালয় থেকে উর্ধতন কর্মকর্তা প্রেরণ করার জন্য সভায় অনুরোধ করা হয় এবং সেই আলোকে ক্ষতিগ্রস্ত হাওরবাসীর পুনর্বাসনে দ্রæত সময়ের মধ্যে কার্যকর ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে প্রত্যেক মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলা ও মদন উপজেলায় খাদ্যশস্য বিতরণের মাধ্যমে ১০০ দিনের কর্মসূচি শুরু করেন। সরকারি কর্মকর্তাদের বন্যাকবলিত এলাকায় গ্রামে গ্রামে ঘুরে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেন,নেত্রকোনা জেলায় সাধারণ ত্রাণ হিসেবে ১৪৮ মেট্রিক টন চাল এবং ৩৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্য থেকে ৫০ হাজার দরিদ্র পরিবারকে বিশেষ ভিজিএফের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেওয়াা হচ্ছে। গ্রামীণ কর্মসংস্থানের জন্য ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।একই সঙ্গে ১০ টাকা কেজি দরে চাল ও ১৫ টাকা কেজি দরে ওএমএস চালু থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।