Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কেরানীগঞ্জে সরকারি খালের মাটি কেটে বিক্রি করার অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কেরানীগঞ্জ(ঢাকা)উপজেলা সংবাদদাতা ঃ ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে সরকারী খালের মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ইউপি মেম্বরের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন যাবত বিনা অনুমতিতে মাটি কাটার ফলে খালের পাড়ের বিভিন্ন মানুষের ব্যক্তিগত জমিজমা এখন ভেঙ্গে পড়ছে খালে। এতে মারাত্বক ক্ষতির সন্মুখিন হচ্ছে খালের পাড়ের অনেক জমির মালিকগন। অপরদিকে বিনা অনুমতিতে সরকারী খালের মাটি কেটে নেয়ায় সরকার হাজার হাজার টাকা রাজস্ব হাড়াচ্ছে ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের ব্রাম্মনগাও এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর একটি খালের মাটি ভেকু দিয়ে কাটা হচ্ছে। এই মাটি কাটার কাজে পাহাড়া দিচ্ছে দুইজন ব্যক্তি । তাদের মধ্যে চল্লিশোর্ধ বয়সের লোকটিকে মাটি কাটার মালিকের নাম জ্জ্ঞিাসা করা হলে তিনি কৌশলে তা এড়িয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গেই খালের পাড়ে দাঁড়ানো দুইহাতে গামছা দিয়ে মোড়ানে এক উঠতি বয়সের তরুন কাছে এসে দাঁড়ালো । এসময় তার নাম জানতে চাইলে সে নিজেকে অমিত পাল বলে পরিচয় দিলো। কিছুক্ষন পরেই সে গামছায় মোড়ানো দুইটি হাতের একটি হাত বের করে পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করে কারো সাথে যেন কথা বলতে থাকে এবং এক পর্যায়ে দুইজন সাংবাদিক এসেছে বলেও তাকে জানায়। কিন্তু তখনো তার অন্য একটি হাত গামছা দিয়ে মোড়ানো অবস্থায়ই ছিল। হাজী আবুল হোসেন নামে একজন জমির মালিক জানান, খালের পাড়ে আমার ১৬’শ শতাংশ জমি রয়েছে। কোন্ডা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ রাসেল দীর্ঘ এক মাস যাবত একটি ভেকু দিয়ে এই খালের মাটি কাটছে। সে এই মাটি কেটে ট্রাক প্রতি আট’শ টাকায় পাশের ইট ভাটায় দেদারসে বিক্রি করছে। এইভাবে সরকারী খালের মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করে প্রতিদিন হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে । আমরা তার মাটি কাটার কাজে বাধা দিলে সে আমাদের বলে খালটি ইউনিয়ন পরিষদের । তাই খালটি সচল করার জন্য মাটি কেটে খালটি খনন করা হচ্ছে। সে কখনো বলে যে উপজেলা থেকে পারমিশন নিয়েই খালটি কাটা হচ্ছে। এই খালের মাটির টাকা বিভিন্ন লোকের মধ্যে ভাগভাটোয়ারা করে দেয়া হয়। তাই মাটি কাটার কাজে বাঁধা দিয়ে কোন লাভ হবে না। আমি এই ব্যাপারে কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরীর মোবাইল ফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও সে আমার ফোনটি রিসিভ করেনি। দীঘদিন যাবত খালের মাটি অবৈধভাবে কাটার কারণে জমির অন্তত ১০ফুট ভেঙ্গে খালের ভিতরে চলে গিয়েছে। আশেপাশের মানুষের জমিও ভাঙ্গছে।এই বিষয়ে রাসেল মেম্বরের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে চাওয়া হলে তিনি এই প্রতিনিধিকে জানান, এলাকাবাসীর প্রয়োজনে বদ্ধ ও ভরাট খালটি সচল করার জন্য মাটি কেটে খালটি খনন করা দরকার। তাই আমরা কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদে বসে ১২জন মেম্বর ও চেয়ারম্যান একত্রিত হয়ে রেজিলেশন করে খালটি খনন করার স্বিদ্বান্ত নেই। এছারা উপজেলা থেকে অনুমতি নিয়েই খালটি কাটা হচ্ছে। এব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ সার্কেল ভ‚মি সহকারী কমিশনার মোঃ রাকিব হাসানের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, মাটি কাটার বিষয়টি আমাদের নজরে নেই । আমরা কাউকে অনুমতি দেইনি। কেউ খাল থেকে মাটি কেটে থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ