পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বর্তমান সরকার নয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। গতরাতে গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের এক মতবিনিময় সভায় বিএনপি চেয়ারপার্সন এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমরা বার বার বলেছি, এদের (বর্তমান সরকার) অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আমরা বলছি, অবশ্যই আমরা নির্বাচনে যাবো, নির্বাচনে যেতে চাই। তবে সেই নির্বাচনে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। আপনার অধীনে আমরা অনেক নির্বাচন দেখেছি। সেগুলো কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবে না। সেজন্য আমরা পরিস্কারভাবে জাতিকে সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতি ইংগিত করে তিনি বলেন, এখন তারা তাদের সম্পদ ঘুটাতে ব্যস্ত। কাজেই তারা পালাবার জন্য তৈরি হোক আর আমরা জনগণকে নিয়ে দেশ রক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেই।
একই সঙ্গে দল ও অঙ্গসংগঠনকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়ে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, আমাদের সব সংগঠনকে শক্তিশালী হচ্ছে, শ্রমিক দলকেও পূর্ণগঠন করতে হবে। যতই আমাদের সংগঠন শক্তিশালী হবে ততই এই লুটেরাদের ভয় বাড়বে। এজন্য ভয় বাড়বে, মানুষ দেখে তারা ভয় পাচ্ছে। তারা জানে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণ তাদেরকে ভোট দেবে না।
শ্রমিক দলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাতে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাথে এই মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে পুস্পস্তবক নিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
সকালে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রমিক দলের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজাওে পুস্পস্তবক অর্পন করেন।
ক্ষমতাসীন দলের বেপরোয়া কর্মকান্ডের কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, তারা (ক্ষমতাসীন দল) এতোই বেপরোয়া হয়ে গেছে, তারা মানুষকে মানুষ মনে করে না। তারা মনে করে পুলিশ বাহিনী আছে আমাদের। তাদের দিয়ে যা ইচ্ছা তাই করবো। গুম, খুন, হত্যা নির্যাতন এসব কাজ করছে।
এসব হত্যাকান্ডের জন্য দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সরাসরি দোষারোপ না করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, সরকার তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে এই সব অন্যায় কাজ করার জন্য। র্যাব বা পুলিশ বাহিনী তারাও মানুষ, তারাও বুঝতে পারবে, তাদেরও পরিবার আছে, আত্বীয়-স্বজন আছে। তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) নিশ্চয় জানে যে, আমাদেরকে দিয়ে এসব কাজ জোর করে করাচ্ছে। পালাবার পর আমাদের ওপরই এর অন্যায়-অপরাধের দোষ পড়বে। আমরা জানি যে, পুলিশ বাহিনী বা র্যাব বা অন্যান্যরা তারা নিজের উদ্যোগে কিছু করছে, নির্দেশে করছে। সবাই নয়, বেশিরভাগই ভালো। এরা সবাই দোষী নয়। কাজেই এদের সবাইকে একাতারে ফেলে অন্যায়ভাবে শাস্তি দেয়া উচিৎ হবে না বা বিচার করা ঠিক হবে না।
শ্রমিক দলকে নতুনভাবে পুনর্গঠন কওে ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনের পরামর্শ দেন বেগম খালেদা জিয়া।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বক্তব্য রাখেন।
##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।