Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক হতে হবে হৃদ্যতাপূর্ণ -প্রধানমন্ত্রী

মে দিবস পালিত

| প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টাও : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মে দিবসের চেতনাকে ধারণ করে শ্রমিক এবং মালিক পক্ষকে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে এক সঙ্গে কাজ করে দেশকে শিল্পায়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবার আহ্বান জানিয়েছেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সোমবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত মে দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আজকের এই মে দিবসে আমাদের সকল মেহনতি শ্রমিক ভাই-বোনদেরকে এবং মালিক পক্ষকে আমি এটুকুই বলবো, এই মে দিবসের চেতনাকে ধারণ করে বাংলাদেশকে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য সকলে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবেন। শেখ হাসিনা বলেছেন, মালিক শ্রমিক সম্পর্ক হতে হবে হৃদ্যতাপূর্ণ। একে অপরের পরিপূরক হয়ে কাজ করলেই কেবল দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেছেন, আর এটুকু ভরসা রাখবেন যে, আমার রাজনীতি আপনাদের জন্য, বাংলাদেশের কৃষক-শ্রমিক, মেহনতি মানুষের জন্য। কাজেই আমি আছি আপনাদের সঙ্গে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী আমরা পালন করবো একটি দারিদ্রমুক্ত উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্যে। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা  কাজ করে যাচ্ছি। শেখ হাসিনা শ্রমের মর্যাদা এবং শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা যথাযথভাবে মিটিয়ে দেওয়ার আহবান জানিয়ে মালিকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, মুনাফা অবশ্যই করবেন। তবে তা যেন শোষণে পরিণত না হয়। শ্রমিকদের বঞ্চিত করে শিল্পের উন্নয়ন হবে না। কারণ শ্রমিক হচ্ছে কারখানার প্রাণ। প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, শিল্প টিকে থাকলেই কেবল আপনাদের কর্মসংস্থান হবে। দারিদ্র্য দূর হবে। ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শিখতে পারবে। তাই শিল্পের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজে সম্পৃক্ত হবেন না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান এমপি এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা’র (আইএলও) কান্ট্রি অফিসের পরিচালক শ্রীনিবাস বি রেড্ডী। অনুষ্ঠানে মে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুকুর মাহমুদ, তৈরি পোষাক শিল্প মালিকদের পক্ষে বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান এবং কর্মজীবীদের পক্ষে বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি সালাউদ্দিন কাশেম খান বক্তৃতা করেন। স্বাগত বক্তৃতা রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার।
এদিকে অন্য একটি অনুষ্ঠানে পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খান। পরিবহন শ্রমিকদের কথায় কথায় গাড়ি বন্ধ করা অতিরঞ্জিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। মে দিবস উপলক্ষে সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শোভাযাত্রায় তিনি একথা বলেছেন। জাতীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এই শোভাযাত্রার আয়োজন করে।
ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, শ্রমিকরা আজও সবচেয়ে বেশি অবজ্ঞা ও বঞ্চনার শিকার। শ্রমিকদের শ্রম নিয়ে পুঁজিপতিরা আজ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হলেও শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পায়নি। অথচ ইসলাম শ্রমিকদের সর্বাধিক মর্যাদা দিয়েছে। ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন হলে শুধু মানুষ নয়, পশুরা তাদের অধিকার ফিরে পাবে। মে দিবস উপলক্ষে সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলনের শ্রমিক সংগঠন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন ঢাকা মহানগর আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে সারাদেশে বিভিন্ন সংগঠন তাদের কর্মসূচি পালন করেছে।
উল্লেখ্য, ১ মে ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি’ দিবস। শ্রমের উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করা, শ্রমিকদের মর্যাদা রক্ষা করা এবং দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ করার দাবিতে ১৮৮৬ সালের ১ মে শ্রমিকরা তিনদিনের সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেয়। ৮ মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর হে মার্কেট স্কোয়ারে শ্রমিক সমাবেশে গুলিবর্ষণ করা হয়। বহু শ্রমিক মারা যায়। তাদের সেই আত্মত্যাগের মধ্য দিয়েই পরবর্তিতে বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের দাবি অর্জিত হয়। সেই  থেকেই সারাবিশ্বে ১ মে ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস’ বা ‘মে দিবস’ দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।

চট্টগ্রামে মে দিবস পালিত
চট্টগ্রাম ব্যুরো : নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে মে দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, পেশাজীবী, শ্রমিক সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা, র‌্যালি, মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মহানগর আওয়ামী লীগ
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে জাতীয় শ্রমিকলীগ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার উদ্যোগে মে দিবস উপলক্ষে লালদিঘী মাঠে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা শ্রমিকদের রক্তে রঞ্জিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন শ্রমিক বান্ধব সরকার শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরী প্রদান ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করেছেন। সমাবেশে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, শ্রমিক শ্রেণি জাতীয় উৎপাদন, উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান চালিকাশক্তি। তাদের ন্যায্য মজুরী প্রদান ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি বখতিয়ার উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহবুবুল হক চৌধুরী এটলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফর আলী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবদুল আহাদ প্রমুখ।
মে দিবস উপলক্ষে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প কর্মরত শ্রমিকদের সংবর্ধনা প্রদান করেন সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম। নগরীর উত্তর কাট্টলীস্থ নিজ বাড়ীতে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। মোস্তফা হাকিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সীতাকুন্ডের ফেরদৌস স্টিল কর্পোরেশন ইয়ার্ডে পা হারানো পঙ্গু শ্রমিক ইদ্রিসকে নগদ ১০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পরিবহন শ্রমিক সমাবেশ ও লাল পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। রবিউল মাওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রফেডারেশন পূর্বাঞ্চল কমিটির সভাপতি মৃণাল চৌধুরী। এদিকে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম অটোরিকশা-অটোটেম্পো শ্রমিক লীগের মে দিবসের আলোচনা সভা সংগঠনের সভাপতি মো: ইলিয়াসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, শ্রমিকরা দেশের মূল চালিকা শক্তি।
বাংলাদেশ আন্তঃ জিলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের মে দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) দেবদাশ ভট্টাচার্য্য। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিসি ট্রাফিক (উত্তর) সুজায়েত ইসলাম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চল কমিটির সভাপতি মৃণাল চৌধুরী।
মহান মে দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) উদ্যোগে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সিইউজের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সহ-সভাপতি শহীদ-উল আলম, যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী, সিইউজের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
গফরগাঁওয়ে মে দিবস উদযাপিত
গফরগাঁও উপজেলা সংবাদদাতা ঃ গফরগাঁও পৌরসভাসহ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে দিনব্যাপী মহান মে দিবস বিভিন্ন কর্মসুচীর মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে । সকালে র‌্যালীর মধ্য দিয়ে মে দিবসের  সুচনা ঘটে । আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন  উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডাঃ শামীম রহমান  । এতে আরও বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার ভুমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  শেখ শামছুল আরেফীন  ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রেশমা আখতার প্রমুখ ।                  



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ৩ মে, ২০১৭, ৭:৪৮ এএম says : 0
    জননেত্রী বলেছেন মালিক শ্রমিক এক হয়ে কাজ করলেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব এটা কঠিন সত্য কথা কিন্তু এটাকে বাস্তবায়িত করা এতটা সহজ নয় যতটা সহজে বলা যায় এটাও কঠিন সত্য। আমাদের দেশে বাম দল গুলো যতদিন না সত্য কথা বলবে এবং সততার পথে চলবে ততদিন শ্রমিকদেরকে নিয়ে এরা ক্ষমতা দেখাবে এবং মালিকের সাথে অন্ধকারে হাত মিলাবে তারপর শ্রমিকদেরকে (অশিক্ষত মূর্খদেরকে) রাস্তায় ফেলে এসব বাম নেতা ঢুব মারেন ফলে অঘঠন ঘটায়ে ফেলে সঠিক নেতৃত্ব না পেয়ে এবং সে সুযোগে মালিকরা শ্রমিকদের দেয় চরম ধোলাই আর দাবীর আন্দলোন যায় ভিতরে। এটাই আমি কয়েক বছর ধরে দেখে আসছি। শুধু মাত্র সরকারের সাথে সমঝতা করতে না পারলেই শ্রমিক নিয়ে এমন আন্দলন করেন যে সেখানেই সরকার কুবকাত হয়ে বামের কথায় সাড়া দেয়। এএল এবার কায়দা করে কিছু বাম দলকে হাতে নিয়ে শ্রমিকদের বড় ধরনের আন্দোলন করতে দেননি এটা সত্য কিন্তু আবার বামের বাইরেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি এটাই সত্য। আমি দেখেছি আরএমজি শ্রমিক সেক্টরে একটা বৃহত্তর স্যংখক এএল এর নেতারা থাকলেও তারা বামের সাথে হাত মিলিয়ে কাজ করে এটাও আমি দেখেছি আমার পর্যাবেক্ষনে। কাজেই যেপর্যন্ত না সরকারের পরিচালক শ্রম দপ্তর সত্য পথে না আসবে ততক্ষণ শ্রমিক ফেডারশনও সঠিক ভাবে গঠিত হবে না এবং নানা রকম বিশৃঙ্খলা বন্ধ হবে না। এখানে শ্রমিক দপ্তর তাদের পকেট বানিজ্য করতে গিয়ে যারা শ্রমিক দরদী নয় তাদেকেও শ্রমিক দরদী বানিয়ে ফেডারেশনের নেতা বানায় যদিও তাদের সবরকম শর্ত পূরন হয়নি তারপরও তাদেরকে রেজিষ্ট্রেশন দেয় আবার তাদের মন মত ভাল মানুষ শ্রমিক দরদীর যদি ফেডারেশন জমা দেয় সঠিক ভাবে তারপরও তাদের রেজিষ্ট্রেশন হয়না এটাই মহা সত্য কথা। কাজেই আমি মনে করি নেত্রী হাসিনা নিজে এদেকে যতক্ষন খেয়াল না দিচ্ছেন ততক্ষণ এই মালিকরা তাদের জমিদারী কায়দা এবং শ্রমিকদের কৃতদাস বানিয়েই রাখবে। মালিকরা এদেরকে দুই পয়সার কোন মূল্য দেয় না এটা আমি প্রত্যক্ষ করেছি। মালিকদেরকে যতদিন শ্রম দপ্তর তুলু তুলু করবে ততদিন শ্রমিকরা এভাবেই ক্রীতদাসের মত থেকে যাবে তাদের কোন মূল্যায়ন বাঁ কোন রকম সুযোগ সুবিধা ঐ কাগজেই থাকবে তারা পাবে না। এটা আমার নিজের করা পর্যাবেক্ষন এর প্রতিবেদনে বলে। মাঝে মাঝে আমেরিকা চেচায় যে বাংলাদেশের পোষাক শ্রমিকদেরকে ক্রীতদাসের মত ব্যবহার করে তাই তাদের কাপড় কেনা সঠিক নয়। আমি মনে করি প্রতি মন্ত্রী মজিবুল হকের উচিৎ তিনি যে বেতন ভাতা ও সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন সেটাকে হালাল করে নেয়া উচিৎ নয়ত আমার হিসাবে তিনি হারাম খাচ্ছেন এর জবাব ওনাকে দিতেই হবে এমনকি নেত্রী হাসিনাও যদি ওনাকে সহযোগিতা করেন তার জন্য তাকেও জবাব দিতে হবে এটাই ইসলাম। আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে ইসলাম বুঝার ও সেইভাবে কাজ করার ক্ষমতা দিন। আমীন
    Total Reply(0) Reply
  • কামাল ৩ মে, ২০১৭, ১১:০৩ এএম says : 0
    শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ