পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশ ও জাতির স্বার্থে আইন, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগ নিয়ে চলমান বিতর্ক এখানে (সংসদে) আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ময়মনসিংহ -৮আসনের জাতীয় পাটির এমপি ফখরুল ইমাম। প্রধান বিচারপতির নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, বিচার বিভাগ থেকে এতো কথা-বার্তা কেন বলা হচ্ছে তা জানি না। এখন যদি বিচার বিভাগ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মর্যাদা চায় তবে প্রধানমন্ত্রী কীভাবে দেবেন তা জানি না। প্রধানমন্ত্রী যদি পারেন তাহলে এই সংসদ উনাকে (প্রধান বিচারপতি) তা দিতে পারে। তারপরে যদি উনি শান্ত হন। এতে বলার কিছু নেই।
গতকাল মঙ্গলবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনের পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি বিচার ও নির্বাহী বিভাগ নিয়ে চলমান বিতর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুঃখ ও ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলতে চাই দেশের মানুষের মধ্যে এখন একটা আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। আমরা ভেবেছিলাম প্রধানমন্ত্রী আইন বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ এবং বিচার বিভাগ নিয়ে যে ব্যবস্থাপনা উনি দিয়েছেন, এরপর এব্যাপারটি নিয়ে আর কেউ কথা বলবে না, হবে না। কিন্তু দুঃখের বিষয় এরপরেও এটা নিয়ে দেশে আলোচনা হচ্ছে।
এ বিতর্ক প্রসঙ্গে বিরোধী দলের এই নেতা বলেন, এটা এমন একটা জিনিস যা মানুষের মধ্যে আস্থাটা হারিয়ে ফেলে। আমি মনে করি কেউ কেউ বলেছেন বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপ চলছে। বিচার বিভাগ স্বাধীন না, দেশে আইনের শাসন নেই। এটা কারা বলেছেন, কিভাবে বলেছেন আমি জানি না। সরকারের উচিত এগুলোকে দেখা।
ফখরুল ইমাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ এবং নির্বাহী বিভাগ রাষ্ট্রের এই তিন প্রধান স্তম্ভ আমাদের। কিন্ত এখানে আর একটু যোগ করতে চাই। এই পার্লামেন্টের (সংসদ) অগ্রাধিকারটা কী? আসলে অথরিটিটা (কর্তৃত্ব) কি? আমার মতে যারা তৈরি করতে পারে এবং ভাঙ্গতে পারে তার কাছেই অথরিটি। যে হায়ার করতে পারে, ফায়ার করতে পারে, তার কাছেই অথরিটি।
তিনি আরো বলেন, এই পার্লামেন্ট সংবিধান উপহার দিয়েছে। বিচার বিভাগ কিন্তু দেয় নাই। নির্বাহী বিভাগ দেয় নাই। আইন বিভাগের দ্বিতীয় প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে এই সংসদ তাদের ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন করে, যিনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি। তৃতীয় প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে, এই সংসদ সংখ্যাগরিষ্ঠ নির্বাহী বিভাগের প্রধান (প্রধানমন্ত্রী) নির্বাচিত করেন। এদিক থেকে বিচার বিভাগ থেকে আমরা তিন পয়েন্ট এগিয়ে আছি।
বিরোধী দলীয় হুইপ ফখরুল ইমাম বলেন, আইন বিভাগে এখানে লিডার অব দ্য হাউজ (সংসদ নেতা) হলো আইন বিভাগের সর্বোচ্চ ব্যক্তি এবং উনি নির্বাহী বিভাগেরও প্রধান। দুটি বিভাগের প্রধানই (প্রধানমন্ত্রী) এখানে আছেন। সুতরাং বিচার বিভাগের যে এতো কথা-বার্তা, এতকথা বলছেন কিসের জন্য বলছেন তা আমি জানি না। আমার এখানে একজন উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন, একদিন ওই ইউএনও বললেন, উনারা মন্ত্রীর স্টাটাস (পদমর্যাদা) চান! এখন যদি বিচার বিভাগ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মর্যাদা চায় সেটা আমি জানি না কিভাবে উনি (প্রধানমন্ত্রী) দেবেন। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) যদি পারেন এই সংসদ উনাকে (প্রধান বিচারপতি) দিতে পারেন, তারপরে যদি উনি শান্ত হন। এতে কিছু বলার নাই। উনি (প্রধান বিচারপতি) কখনও বলেছেন রাষ্ট্রপতিকে ভুল বুঝানো হয়, প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বুঝানো হয়। তারপর নিজেই বলেছেন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপ হয়। আরও বলেছেন যে, বিচার বিভাগ স্বাধীন নয়, দেশের আইনের শাসন নেই। সুতরাং এই জিনিসগুলো নিরীক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী যদি এখানে আলোচনার মাধ্যমে এসব বিতর্ক স্থগিত করা যায় তাহলে দেশ ও জনগণ উপকৃত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।