পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সাম্প্রতিক পাহাড়ী ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হাওর এলাকার মানুষের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে সরকার পুনর্বাসন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য বেগম লুৎফা তাহেরের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
কৃষিমন্ত্রী জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ইউনিয়নভিত্তিক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে। এসব কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জে ব্রিধান ৪৮ জাতের (আউশ) ১২৫০ কেজি বীজ বিনামূল্যে বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া হাওর এলাকার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সম্ভাব্য সব আউশ এবং আমনের জমিতে ধান রোপন নিশ্চিত করা হবে। নিবিড় শস্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফসলের কাঙ্খিত উৎপাদন নিশ্চিত করা হবে। তিনি জানান, আমন মৌসুমে হঠাৎ পানিতে ডুবতে পারে এমন জমিতে ব্রিধান-৫২ ও বিনাধান-১১ জাতকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাষাবাদের আওতায় আনা হবে। ভাসমান বেডে বীজতলা তৈরী করে ক্ষুদ্র, প্রান্তিকসহ সব কৃষকের আমন জমি রোপনের আওতায় আনা হবে।
সাধন চন্দ্র মজুমদারের প্রশ্নের জবাবে মতিয়া চৌধুরী বলেন, যখন বঙ্গবন্ধুর কন্যা আছেন, তখন আল্লাহর রহমতে আমাদের দেশে কোনো অসুবিধা হবে না। তিনি বলেন, এপ্রিল মাসের ২ তারিখে যখন প্রথম বাঁধটি ভাঙলো, ৩ তারিখেই কৃষি মন্ত্রণালয়ের স¤প্রসারণের ডিজিকে পাঠানো হয় সুনামগঞ্জ, আর নেত্রকোনা পাঠানো হয় সচিবকে। আমি, খাদ্যমন্ত্রী, ত্রাণমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে হাওরে গিয়েছি। সেখানে শুধু পানি আর পানি। হাওর এলাকায় কিছু কিছু স্থানে ধান রক্ষা পেয়েছে, বাকি সব জায়গায় পানির নিচে ধান। কৃষকরা যা চাইলেন, প্রধানমন্ত্রী তো এর চেয়ে বেশি দিয়ে এসেছেন সেদিন। কৃষি ঋণ আদায় আপাতত স্থগিত রাখতে বলেছেন, সুদ মওকুফ করেছেন, বীনামূল্যে সার এবং বীজ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। একইসঙ্গে সেখানে পরবর্তী ফসল না উঠা পর্যন্ত খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখার ঘোষণাও দিয়ে এসেছেন।
তিনি বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে। সারের অভাব হবে না। বীজের অভাব হবে না। উন্নতমানের বীজ সেখানে সরবরাহ করা হবে। ফসল ফলাতে যে মুলধন লাগে সে ব্যাপারেও সরকার উদার থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।