পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল অর্জন ধ্বংস করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র চলছে। এটা আমাদের মনে রাখতে হবে।
দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে আমাদেরকে আবার জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসতে হবে। তাই আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে আপনাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে। দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থাকলে তা নিরসন করতে হবে।
গতকাল রোববার দুপুরে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ৬ মে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার সফর করবেন। ওইদিন বেশ কিছু উন্নয়ন কর্মকাÐের উদ্বোধন ও ফলক উম্মোচনের পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন। ওই জনসভা সফল করতেই এই বর্ধিত সভা করা হয়।
এনামুল হক শামীম হাওরবাসীকে নিয়ে বিএনপি নেতারা তামাশা করছেন। তারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে নয়াপল্টনে এসি রুমে থেকে শব্দবোমা ফাটাচ্ছেন। ক্ষমতায় থাকতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না-এখন মায়াকান্না করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম। কোনো মানুষ দুর্যোগে মারা যায় না। অন্যদিকে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে ১৯৯১ সালে ২৯ এপ্রিল চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড়ে দুই লাখের উপরে মানুষ মারা যায়। যে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় কোনো প্রস্তুতি নেয়নি তৎকালীন বিএনপি সরকার। বরং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তামাশা করে বলেছিলেনÑ যত লোক মারা যাওয়ার কথা ছিল, তত লোক মারা যায়নি। অন্যদিকে ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। সে সময় বিবিসি রিপোর্ট করেছিল না খেয়ে দুর্যোগে এক কোটি লোক মারা যাবে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার তাৎক্ষণিক ত্রাণ তৎপরতা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের ফলে একজন মানুষও মারা যায়নি। একইভাবে বর্তমানে হাওরাঞ্চলে বন্যার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে সরকার রয়েছে। বন্যা শুরু হওয়ার পর থেকেই পর্যাপ্ত ত্রাণ তৎপরতার পাশাপাশি সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই ত্রাণমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করছেন। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল সেখানে গিয়ে ত্রাণ দিয়েছেন। দেশের রাষ্ট্রপতি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ঘুরে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাওরাঞ্চল নিজ চোখে দেখেছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ দিয়েছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, বাধ নির্মাণের সঙ্গে কোনো ত্রæটি পাওয়া গেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের নেত্রী, গণতন্ত্রের নেত্রী। তিনি ক্ষমতায় আছেন বলেই দেশ আজকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের সব শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো এখন বাংলাদেশকে হিসাব করে। বিশ্বের রোল মডেল দেশ হিসেবে পরিচিত পেয়েছে বাংলাদেশ। দেশটাকে উন্নত সমৃদ্ধ করতে হলে আগামীতেও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, জেলা সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, সাইমুন সরোয়ার কমল এমপি, আশিকুল্লাহ চৌধুরী রফিক এমপি, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ও সালাউদ্দিনসহ জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।