Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চিঠিপত্র : রেমিট্যান্স কমছে কেন?

| প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

প্রবাসীদের কষ্টার্জিত টাকা ব্যাংকিং চ্যানেলে আনতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু প্রতি মাসেই কমছে রেমিট্যান্সের পরিমাণ। বিষয়টি দেশের অর্থনীতির জন্য স্বস্তিদায়ক নয়। মূলত তিনটি কারণে রেমিট্যান্স কমে যাচ্ছে- তেলের দাম কমে যাওয়া ইউরো ও পাউন্ডের বিনিময় মূল্য পড়ে যাওয়া এবং হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ প্রেরণ। এ ছাড়া অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে জনশক্তি রফতানিতে ভাটা, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি ইত্যাদি। সম্প্রতি হুন্ডির প্রবণতা বাড়ছে বিশেষ করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে যেসব রেমিট্যান্স আসছে তার বেশিরভাগই হুন্ডি। এর মাধ্যমে সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়নের সম্ভাবনাও বেশি। বর্তমানে দেশে ৫৬টি তফসিলি ব্যাংকের মধ্যে ২৯টি ব্যাংক মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস লাইসেন্স পেরেও ১৯টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব মতে, গত বছর প্রবাসীর ব্যাংকিং চ্যানেলে এক হাজার ৩৬১ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে। যা ২০১৫ সালে আসা রেমিট্যান্সের তুলনায় ১৭০ কোটি ১৩ লাখ ডলার কম। জানা গেছে প্রযুক্তি ব্যবহার করে এসব হুন্ডি কারবার করা হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকছে এ কাজে। ফলে আশঙ্কাজনক হারে কমছে বৈধ পথে আসা রেমিট্যান্স। উল্লেখ্য, সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব থেকে। অবশ্য প্রবাসীদের অনেকেই রেমিট্যান্স কমার ব্যাপারে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর হয়রানির কথা বলেছেন। এসবের ফলে চলতি অর্থবছরে জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রবাসী আয় কমেছে ১৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ। দুঃখজনক বিষয় হলো, রেমিট্যান্স মন্দাভাবে অব্যাহত রয়েছে। বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স কমেছে গত বছরের তুলনায় ১৪ কোটি ডলারের বেশি। অবশ্য রেমিট্যান্স কমার কারণ অনুসন্ধানে সম্প্রতি একটি বকমিটি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে বিভিন্ন ব্যাংকের অনুরোধে হুন্ডি বন্ধের লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাসে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে যারা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নামে হুন্ডি কারবার পরিচালনা করছে তাদের বিরুদ্ধে অতি দ্রæত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বনি ইয়ামিন, ঢাকা।

মশার উৎপাত
মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলার ছাত্রছাত্রীরা। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের মোট নয়টি এবং মেয়েদের চারটি হলের সব কয়টিতেই মশার উৎপাত দেখা দিয়েছে। সন্ধ্যা হওয়ার আগে হলগুলোতে মশা উৎপাত চরমে ওঠে। মশার ভনভনানি এবং কামড়ের জ্বালায় সন্ধ্যার আগেই ছাত্রছাত্রীদের মশারির মধ্যে ঢুকে যেতে হয়। মশার এই উৎপাতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি রাতের ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটছে। যার ফলে ছাত্রছাত্রীরা ক্লাসে ঠিকমতো মনোযোগ দিতে পারছে না। মশার উৎপাত থেকে রক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীরা বিষাক্ত কয়েল ব্যবহার করছে। বিষাক্ত কয়েলের ধোঁয়ার কারণেও অনেক ছাত্রছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। হলগুলোর আশপাশের আবর্জনা, ময়লা বন্ধ পানি- এসব মশা উৎপাতের প্রধান কারণ। অবিলম্বে এসব ময়লা-আবর্জনা এবং মশা নিধনের উদ্যোগ নেওয়া একান্তই জরুরি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রাকিবুল হাসান
শিক্ষার্থী, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।

ইন্দেরহাটকে উপজেলা করুন
পিরোজপুর জেলার সন্ধ্যা নদীর পশ্চিম পাড়ে ইন্দেরহাট আর পূর্ব পাড়ে উপজেলা শহর স্বরূপকাঠি। ইন্দেরহাট আর স্বরূপকাঠি পিরোজপুর জেলার অধীনে। স্বরূপকাঠী উপজেলার আটঘুর কুড়িয়ানা, বিনয়কাঠি দিয়ে রাস্তা হওয়াতে স্বরূপকাঠি থেকে ঝালকাঠি জেলা শহরের যেতে এখন ১ ঘণ্টা সময় লাঘে। এদিকে স্বরূপকাঠি থেকে পিরোজপুরে আসেম সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা। এ অবস্থায় স্বরূপকাঠি উপজেলাকে ঝালকাঠি জেলার অধীনে দেওয়া হলে যে কোন দাপ্তরিক কাজ অল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারবেন স্বরূপকাঠিবাসী।  এদিকে বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ইন্দেরহাট উপজেলায় উন্নীত হোন। তবে কালিগঙ্গা নদীর ওপরে সেতুন হলে ইন্দেরহাট থেকে পিরোজপুরে ১ ঘণ্টায় যাওয়া সম্ভব হবে। তাই ইন্দেরহাটকে উপজেলায় উন্নীত করে এটিকে পিরোজপুর জেলার অধীনে দেওয়া হোক। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন