পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা, খুলনা : চোরাকারবারি, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের সাথে সখ্যতা গড়ে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন চট্টগ্রামের পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী। একই সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন একাধিক পরকীয়া। এসব অন্যায়ের প্রতিবাদের জের ধরে দু’কন্যা সন্তানের জননী নাছরিন আক্তার রুমাকে সীমাহীন নির্যাতন করেছেন তিনি। কেড়ে নেয়া হয়েছে দুই কন্যাকে। গতকাল শনিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অশ্রæসিক্ত কণ্ঠে এসব বর্ণনা দেন ওই পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী খুলনার মেয়ে নাছরিন আক্তার রুমা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৯৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার লাকসাম থানার সাতবাড়িয়া গ্রামের রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরীর সাথে বিয়ে হয় তার। বিগত দু’বছর আগে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানার ওসি হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় রেফায়েত চৌধুরী মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করে এবং হ্যাপী চৌধুরী নামে এক নারীর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। এসবের প্রতিবাদ করায় তাকে দিনের পর দিন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। হ্যাপী চৌধুরীও হয়রানি শুরু করে। একপর্যায়ে সে বলে, ১৮ বছর সংসার করেছেন এখন স্বামী ছেড়ে দিন, আমি সংসার করব। হ্যাপী ও রেফায়েত চৌধুরীর সম্পর্কের বিষয়ে সারা চট্টগ্রামবাসী জানে। এসবের প্রতিবাদ করায় রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী তার বৃদ্ধ বাবাকে (শ্বশুর) নির্যাতন করে মেরে ফেলে। শুধু তাই নয়, আমার কাছ থেকে আমার দুই মেয়ে রাইসা ও নানজীবাকেও কেড়ে নেয়। আমার সব গহনা ও অর্থ প্রতারণার মাধ্যমে কেড়ে নিয়ে আমাকে মারধর করে, পরে কুমিল্লার পুলিশ সুপারের কথার প্রেক্ষিতে আমি এক কাপড়ে চলে আসতে বাধ্য হই।
রুমা আরও বলেন, আমার স্বামী এতই লম্পট যে, আমাদের বিয়ের আগেও সে বহু নারী কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ছিল। যশোর কোতয়ালি থানায় এসআই পদে চাকরি করা অবস্থায় নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা আমি নিজে উপস্থিত থেকে মিটিয়ে দেই। সন্তানদের কথা চিন্তা করে মুখ বুজে সব সহ্য করি। কিন্তু তাতেও রেফায়েত শান্ত না হওয়ায় বাধ্য হয়ে গত ১৮ জানুয়ারি খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করি। মামলা দায়েরের পর থেকে রেফায়েত আমাকে ও আমার ভাই মোঃ মনিরুজ্জামানকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এমনকি সন্ত্রাসীও ভাড়া করেছে ৫ লাখ টাকা দিয়ে। এই মামলায় ৩০ এপ্রিল দিন ধার্য রয়েছে। এই মামলা তুলে নেয়ার জন্য সে খুলনায় এসে হুমকি দিয়ে চলেছে। সে বলেছে আজ যদি জেলে যাই তাহলে বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুর কাহিনি বানিয়ে ছাড়ব।
রুমা দুদক’র প্রতি আহŸান জানিয়ে বলেন, স্বল্প সময়ের চাকরি জীবনে সে কিভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদ, ফ্ল্যাট বাড়ি ও অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছে তা খতিয়ে দেখুন।
মুঠোফোনে ওসি রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী (০১৮১২৯৩৫১৬৭) বলেন, “আমি চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনে রয়েছি। মাদকসেবী ও পরকীয়ায় আসক্ত হওয়ায় নাছরিন আক্তার রুমাকে তো গত জানুয়ারিতে ডিভোর্স দিয়েছি। চাকরি জীবনে আমি একটি পয়সাও ঘুষ খাইনি; তাহলে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়লাম কি করে? আসলে ডিভোর্স দিয়েছি তো, তাই ওর মাথা খারাপ হয়ে গেছে।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।