Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ওসি স্বামীর কোটি কোটি টাকার সম্পদ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন স্ত্রী

নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম


বিশেষ সংবাদদাতা, খুলনা : চোরাকারবারি, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের সাথে সখ্যতা গড়ে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন চট্টগ্রামের পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী। একই সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন একাধিক পরকীয়া। এসব অন্যায়ের প্রতিবাদের জের ধরে দু’কন্যা সন্তানের জননী নাছরিন আক্তার রুমাকে সীমাহীন নির্যাতন করেছেন তিনি। কেড়ে নেয়া হয়েছে দুই কন্যাকে। গতকাল শনিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অশ্রæসিক্ত কণ্ঠে এসব বর্ণনা দেন ওই পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী খুলনার মেয়ে নাছরিন আক্তার রুমা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৯৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার লাকসাম থানার সাতবাড়িয়া গ্রামের রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরীর সাথে বিয়ে হয় তার। বিগত দু’বছর আগে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানার ওসি হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় রেফায়েত চৌধুরী মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করে এবং হ্যাপী চৌধুরী নামে এক নারীর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। এসবের প্রতিবাদ করায় তাকে দিনের পর দিন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। হ্যাপী চৌধুরীও হয়রানি শুরু করে। একপর্যায়ে সে বলে, ১৮ বছর সংসার করেছেন এখন স্বামী ছেড়ে দিন, আমি সংসার করব। হ্যাপী ও রেফায়েত চৌধুরীর সম্পর্কের বিষয়ে সারা চট্টগ্রামবাসী জানে। এসবের প্রতিবাদ করায় রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী তার  বৃদ্ধ বাবাকে (শ্বশুর) নির্যাতন করে মেরে ফেলে। শুধু তাই নয়, আমার কাছ থেকে আমার দুই মেয়ে রাইসা ও নানজীবাকেও কেড়ে নেয়। আমার সব গহনা ও অর্থ প্রতারণার মাধ্যমে কেড়ে নিয়ে আমাকে মারধর করে, পরে কুমিল্লার পুলিশ সুপারের কথার প্রেক্ষিতে আমি এক কাপড়ে চলে আসতে বাধ্য হই।
রুমা আরও বলেন, আমার স্বামী এতই লম্পট যে, আমাদের বিয়ের আগেও সে বহু নারী কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ছিল। যশোর কোতয়ালি থানায় এসআই পদে চাকরি করা অবস্থায় নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা আমি নিজে উপস্থিত থেকে মিটিয়ে দেই। সন্তানদের কথা চিন্তা করে মুখ বুজে সব সহ্য করি। কিন্তু তাতেও রেফায়েত শান্ত না হওয়ায় বাধ্য হয়ে গত ১৮ জানুয়ারি খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করি। মামলা দায়েরের পর থেকে রেফায়েত আমাকে ও আমার ভাই মোঃ মনিরুজ্জামানকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এমনকি সন্ত্রাসীও ভাড়া করেছে ৫ লাখ টাকা দিয়ে। এই মামলায় ৩০ এপ্রিল দিন ধার্য রয়েছে। এই মামলা তুলে নেয়ার জন্য সে খুলনায় এসে হুমকি দিয়ে চলেছে। সে বলেছে আজ যদি জেলে যাই তাহলে বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুর কাহিনি বানিয়ে ছাড়ব।
রুমা দুদক’র প্রতি আহŸান জানিয়ে বলেন, স্বল্প সময়ের চাকরি জীবনে সে কিভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদ, ফ্ল্যাট বাড়ি ও অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছে তা খতিয়ে দেখুন।
মুঠোফোনে ওসি রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী (০১৮১২৯৩৫১৬৭) বলেন, “আমি চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনে রয়েছি। মাদকসেবী ও পরকীয়ায় আসক্ত হওয়ায় নাছরিন আক্তার রুমাকে তো গত জানুয়ারিতে ডিভোর্স দিয়েছি। চাকরি জীবনে আমি একটি পয়সাও ঘুষ খাইনি; তাহলে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়লাম কি করে? আসলে ডিভোর্স দিয়েছি তো, তাই ওর মাথা খারাপ হয়ে গেছে।”



 

Show all comments
  • s.a.hossain ৩০ এপ্রিল, ২০১৭, ৮:১৭ এএম says : 0
    সঠিক উপযুক্ত বিচার দেখতে হিউক??
    Total Reply(0) Reply
  • Faysal Ahmed ৩০ এপ্রিল, ২০১৭, ১:৩৯ পিএম says : 0
    jodi shob wife amn lov lalosha dure rakhto tahol e amdr deshta shonar desh hoto
    Total Reply(0) Reply
  • Joynal Hussain ৩০ এপ্রিল, ২০১৭, ১:৪০ পিএম says : 0
    উনি বুঝছেন,এই হারমের কুটি টাকা দিয়ে কি হবে,,কি হবে এই মিথ্যা প্রাচুর্য দিয়ে,
    Total Reply(0) Reply
  • S. Anwar ৩০ এপ্রিল, ২০১৭, ৭:৫৭ পিএম says : 1
    আমাদের সেবক পুলিশদের সেবা ধর্মের আড়ালে বাম হস্তের গোপন কর্ম সম্পর্কেতো আমরা কমবেশী সবাই অবগত আছি। সুযোগ পেলে তাদের কেউ কেউ কখনো আবার অপরাধীর চেয়েও অনেক ডিগ্রী নিচে নেমে যেতেও দ্বিধাবোধ করে না। এমন নজিরও দেশে ভুরি ভুরি আছে। তাই জনাবা নাসরীন রুমার অভিযোগটি একেবারে ফেলনা নয়। যেহেতু একজন স্ত্রী তাঁর স্বামীর অনেক সঠিক তথ্য জানেন। তাই দুদকের প্রতি আমাদের অনুরোধ রইলো, ভদ্র মহিলার দেওয়া তথ্যমতে একটু তদন্ত করে দেখা হোক। হয়তো কেঁচো খুঁড়তে সাপও বেরিয়ে আসতে পারে এবং সম্ভাবনাই বেশী।
    Total Reply(0) Reply
  • Nur- Muhammad ৩০ এপ্রিল, ২০১৭, ১০:৪৩ পিএম says : 0
    অন্যায়ের প্রতিবাদ করার ২ টি পথ আছে। একটি হলো আইনের কাছে প্রতিকার চাওয়া অন্যটি হলো আইন নিজ হাতে তুলে নেওয়া। রুমা অবৈধ কোটি কোটি টাকার লোভ লালসা পরিত্যাগ করে আইনের কাছে প্রতিকার চাইলো। আইন তথা জাতী রুমার পাশে দাড়নো উচিৎ। তাকে বীরুচিত সন্মানসূচক খেতাব দেওয়া উচিত। আশা করি আমাদের মানবধিকার সংগঠন গুলি আগায়ে আসবে। রুমাকে সামনে নিয়া শ্লোগানের বানী শুনাবে। দেশ ও বিশ্বকে জানাবে। রেফাত উল্লার অপকর্ম যে ভাবে প্রকাশ পেল, এখন তার গায়ে গর্বিত পুলিশ বাহিনীর পোশাক থাকতে পারে না। দ্রুত আইনের হাতে নেওয়া হউক। বিচারের ব্যবস্থা করা হউক। পুলিশের ঘুষের কথা আসছে। তাই এখন একটু পিছনে যাই। ঐশি আইন নিজ হাতে তুলে নিয়েছিল। এটা তার অপরাধ। ঐশি মাসে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করছিল। এই টাকা সে কোথা থেকে পেল। অবশ্য তার মা বাবা দিয়েছিল। এই অপ্রসাঙ্গিক টাকা বা অপরাধের প্রতিবাদ করতে যেয়ে হয়ত খুনের ঘটনা ঘটছে। ঐশি ঐ দিন রুমার মত আইনের আশ্রয় নিলে, জাতীয় ইতিহাস সৃষ্ঠি হতো। ঐশির প্রতিবাদের বিষয়টি হয়ত আদালতের বিবেচনায় আসে নাই, তাই ফাঁসির মন্ঞ্চের ধারে দাড়ায়ে আছে। কোন মৃত্যুই আমি সমর্থন করি না, তাই ঐশির পাশে মানবধিকার সংগঠনগুলিকে দাড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি। আশা করি ন্যায় অন্যায়ের সঠিক পরিমাপ হবে। সঠিক বিচার হবে। ধন্যবাদ। সবায়কে ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • S. Anwar ১ মে, ২০১৭, ১১:৪৬ পিএম says : 0
    ঐশীর পাশে কোন মানবিক সংগঠন দাঁড়ানোর কোন প্রশ্নই আসে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Nur- Muhammad ৩ মে, ২০১৭, ১০:১২ পিএম says : 0
    জনাব এস, আনোয়ার, পিতা মাতকে যে হত্যা করে, তার জন্য মানবিক বিবেচনা করা যায় না। এটা হয়ত আপনার মতামত। এই ক্ষেত্রে আমি ও আপনার সাথে এক মত। কিন্তু যে বা যারা কিশোরী ঐশিকে মাসে মাসে লাখ লাখ টাকা খরচ করতে দিলো। নেশা করতে দিল। বিপদ পথে প্রবাহিত করলো, তাদের কি কোন দোষ নাই এস, আনোয়ার ভাই? কিশোর বয়সে ত মানুষের বুদ্ধি পরিপক্কতা পায় না, কিশোর কিশোরীরা ভুল করে থাকে। তাই এই বয়সের দায়দায়িত্ব তার অভিবাবকে নিতে হয়। ঐশি বিপদগামী হওয়ার দায় শুধু ঐশির নয়। তাই দায়ের অংশি তার অভিবাবকে ও নিতে হবে। এ ছাড়া খুব কম বয়সে সে এই অপরাধ করছে। পাপের সংশোধ কি সে কিছুই বুঝল না। তাই এস, আনোয়ার ভাই সহ সকল বিবেকবান মানুষকে বিবেচনার জন্য অনুরোধ করছি। ধন্যবাদ। সবায়কে ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • ইউসুফ ফারুক্বী ৪ মে, ২০১৭, ৫:২৫ পিএম says : 0
    আল্লাহ তা'য়ালা সবাইকে কুরআ'ন হাদীসের আলোকে আলোতে জীবন ধারণ করার তাওফীক দান করুক। (আসুন সবাই দরুদ শরীফ পড়ি--" আচ্ছলাতু অচ্ছালামু আলাইকা ইয়া রাছূলাল্লাহ। ")
    Total Reply(0) Reply
  • MD Jamir molla ৫ মে, ২০১৭, ৭:২৩ পিএম says : 0
    Amar mote oi police officer er kotin beser hoa dorkar karon see deser onek khoti korsa and ..................
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওসি

২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ