পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিখোঁজ তিন যুবকের সন্ধান মেলেনি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংবাদদাতা : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় শিবনগরে জঙ্গি আস্তানায় নিহত নব্য জেএমবি নেতা রফিকুল আলম আবু ওরফে আবু কালামসহ চার জঙ্গির লাশ দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার গভীররাতে পুলিশী পাহারায় জেলা শহরের চুনারীপাড়াস্থ পৌরসভার গোরস্থানে তাদের দাফন হয়।
এর আগে শুক্রবার রাতে জঙ্গি আবুর লাশ তার চাচা ইয়াসিন আলীর কাছে হস্তান্তর করেও তা ফিরিয়ে নেয় পুলিশ। এদিকে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জঙ্গি আবুর অন্তঃসত্ত¡া স্ত্রী সুমাইয়াকে। এদিকে এই ঘটনায় নিহত অপর তিনজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
শুক্রবার দুপুরে শিবনগরের ওই জঙ্গি আস্তানা থেকে চারজনের লাশ উদ্ধারের পর সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এরপর রাত ৯ টার দিকে চাচা ইয়াসিন আলীর কাছে নিহত জঙ্গি আবুর লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। শিবনগর এলাকায় আবুদের পারিবারিক একটি জায়গায় তার লাশ দাফন করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়। সদর হাসপাতাল মর্গ থেকে লাশ নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাস্তা থেকে আবুর লাশ আবারো হাসপাতালে ফিরিয়ে আনে পুলিশ। পরে রাত দুইটার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার তত্ত¡াবধানে চুনারীপাড়া পৌর গোরস্থানে নিহত চার জঙ্গির লাশ দাফন করা হয়। শিবগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুল ইসলাম জানান, আবুর পরিবার তার লাশ নিতে না আসায় অজ্ঞাতনামা তিন জঙ্গির সাথে তার লাশও বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। এদিকে জঙ্গি আস্তানায় হামলার ঘটনায় শুক্রবার রাতে শিবগঞ্জ থানার এসআই আব্দুস সালাম বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় নিহত আবুসহ চার জঙ্গি ও আবুর স্ত্রী সুমাইয়াসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরই মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জঙ্গি আবুর অন্তঃসত্তা স্ত্রী সুমাইয়াকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিবগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুল ইসলাম। এদিকে আইশৃঙ্খলা রক্ষায় শিবনগরে জারি করা করা ১৪৪ ধারা এখনো বলবৎ রয়েছে জানিয়েছেন শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।
এর আগে গত বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে শিবগনগর ত্রিমোহনী এলাকার সাইদুর রহমান জেন্টু বিশ্বাসের ওই বাড়িটি ঘিরে ফেলে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। সেখানেই স্ত্রী ও দুই কন্যাকে নিয়ে ভাড়া থাকতো নব্য জেএমবি নেতা আবু। এসময় বাড়ি থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হলে বিকেলে অভিযানে যোগ দেয় পুলিশের বিশেষায়িত টিম সোয়াত। ওই দিন সন্ধ্যা পৌনে ৭টা থেকে রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক গুলিবিনিময় হয় জঙ্গিদের। এক পর্যায়ে কৌশলগত কারণ দেখিয়ে রাতের দিকে অভিযান সাময়িক বন্ধ করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে অভিযান শুরু করে পুলিশের বিশেষায়িত টিম সোয়াত, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও এপিবিএন সদস্যরা। এরপর থেকেই ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে গোলাগুলির মধ্যে ওই বাড়ি থেকে জেএমবি নেতা আবুর স্ত্রী সুমাইয়া ও চার বছরের কন্যা সাঞ্জিদাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি খুরশীদ হোসেন অপারেশন ঈগল হাণ্টের সমাপ্তি ঘোষণা করে বলেন, ওই বাড়িতে জঙ্গি নেতা আবুসহ চারজনের লাশ রয়েছে। নিহতরা আত্মঘাতী বিস্ফোরণে মারা গেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।