Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

২৪ ঘণ্টায় দু’টি সন্ত্রাসী হামলা নস্যাৎ করেছে ব্রিটেন

| প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম


ইনকিলাব ডেস্ক : ব্রিটেনের পুলিশ দাবি করেছে, তারা ২৪ ঘণ্টায় দু’টি সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা নস্যাৎ করেছে। উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় লন্ডনের উইলসডেনের একটি বাড়িতে অভিযান চলাকালে এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়। এ অভিযানে আটক করা হয় মোট ছয়জনকে। এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, একটি সক্রিয় সন্ত্রাসবাদী হামলা নস্যাৎ করা হয়েছে। তারও কিছুক্ষণ আগে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কাছ থেকে ছুরিধারী এক লোককে আটক করা হয়। সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী গোয়েন্দাদের এক অভিযানের অংশ হিসেবে তাকে আটক করা হয়। ওই লোকটিও ছুরি দিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালাতে চেয়েছিল বলে দাবি করছে পুলিশ। একই দিন ঘটলেও পুলিশ বলছে দুই ঘটনার মধ্যে কোনো স¤পর্ক নেই।
খবরে বলা হয়, পার্লামেন্টের কাছে আটককৃত ছুরিধারী ব্যাক্তির বয়স ২৭ বছর। তাকে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী হিসেবে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, তিনি ঘটনাস্থলে দুইটি ছুরি পড়ে থাকতে দেখেছেন। এর মধ্যে একটি বড় ছুরি। ওই লোককে জোর করে পুলিশ মাটিতে ফেলে নিরস্ত্র করে। মেট্রোপলিটন পুলিশ বলেছে, এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।
অপরদিকে উইলসডেনের দ্বিতীয় অভিযানে গুলিবিদ্ধ ওই নারীর বিরুদ্ধে আগে থেকেই তদন্ত চলছিল। তার অবস্থা গুরুতর, তবে স্থিতিশীল। কর্মকর্তারা বলেছেন, এই অভিযানের সঙ্গে পার্লামেন্টের কাছে এক সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে আটকের সঙ্গে স¤পর্কিত নয়। পুলিশ বলেছে, উইলেসডেনের যে বাড়িতে এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, সেই বাড়িটি আগে থেকেই নজরদারিতে ছিল। ১৬ বছর বয়সী এক ছেলে, ২০ বছর বয়সী এক পুরুষ ও নারীকে আটক করা হয়। ৪৩ বছর বয়সী এক নারীকে কেন্টে আটক করা হয়। উইলেসডেনের বাড়িটিতে পরে আরও এক পুরুষ ও নারী ফিরে এলে তাদেরকেও আটক করা হয়। তাদের উভয়ের বয়স ২৮ বছর।
মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-সহকারী কমিশনার নিল বসু বলেন, আমরা বৃহস্পতিবার যে গ্রেফতারগুলো করেছি, তার ফলে আমি মনে করি যে, তাদের হুমকি আমরা নস্যাৎ করেছি। সাংবাদিকদের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ একটি সক্রিয় সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করেছে।
অপরদিকে পার্লামেন্টের কাছ থেকেও এক সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে ছুরি সমেত আটক করেছে পুলিশ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কিছুটা দূরেই এই গ্রেফতারের ঘটনা ঘটে। প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে অবশ্য এদিন ডার্বিশায়ার ও লিডসে নির্বাচনী প্রচারাভিযানে ব্যস্ত ছিলেন। এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এই ঘটনা প্রমাণ করে, আমাদের পুলিশ, গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো সতর্ক রয়েছে, যেমনটা তারা সবসময়ই থাকে।’ বিবিসির স্বরাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিবেদক জুন কেলি বলেন, এটি বোঝা যাচ্ছে যে, স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সন্ত্রাসবাদবিরোধী কমান্ডের নেতৃত্বাধীন চলমান এক অভিযানের অংশ হিসেবেই এই লোককে আটক করা হয়। আগে থেকেই তথ্য ছিল কর্মকর্তাদের কাছে। হোয়াইট হলের কাছে এলেই ওই লোককে কর্মকর্তারা চেক করেন ও গ্রেফতার করেন।
ফরাসি একজন পর্যটক গোটা ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন। তিনি বলেন, সন্দেহভাজনকে বেশ শান্ত মনে হচ্ছিল। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, লোকটি চিৎকার করছিল না। আক্রমণাত্মক আচরণ করছিল না। পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী কার্যালয়ের গোয়েন্দারা তাদের তদন্ত অব্যাহত রেখেছেন। এই গ্রেফতারের পর আর কোনো জ্ঞাত হুমকি নেই।’ উল্লেখ্য, মার্চের ২২ তারিখ ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কাছে ছুরিধারী এক ব্যক্তি গাড়ি দিয়ে পিষে ও ছুরিকাঘাত করে কয়েকজনকে হত্যা করে। পরে পুলিশের গুলিতে ওই সন্ত্রাসী নিহত হয়। সূত্র : বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ