পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : নরসিংদী কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর অফিসে ড্রাগন ফল গাছে দৃষ্টি নন্দন ফুল ফুটেছে। সবুজ ক্যাকটাস লতার মধ্যে সাদা ও হলুদ ফুল দৃষ্টি আকর্ষণ করে। হলুদ বৃন্তের মাঝখানে সফেদ সাদা পাঁপড়ি, এর মাঝখানে হলুদ পরাগের সমাহার এক মোহনীয় দৃশ্যের অবতারণা ঘটায়। হালকা মিষ্টি গন্ধের ফুলগুলো দেখার জন্যে প্রায় প্রতিদিনই উৎসুক লোকজন বাগানে ভিড় জমাচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যেই ফুল থেকে ফল ধরবে এবং এক মাসের মধ্যেই সে ড্রাগন ফল খাওয়ার উপযোগী হবে। এ তথ্য জানিয়েছেন কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর, নরসিংদীর উপ-পরিচালক লতাফত হোসেন। তিনি জানিয়েছেন ড্রাগন মূলত ভিয়েতনামের ফল। তবে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, কম্বোডিয়া, লাওস প্রভৃতি দেশেও প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হয়। ফলটি ঔষধি গুণ এবং স্বাদের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান থাকায় এই ফল এখন বাংলাদেশে চাষাবাদ হচ্ছে। বাংলাদেশ কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর এই ফল দেশে আমদানী করে তা চাষাবাদের জন্য জনগণকে উৎসাহিত করছে। নরসিংদী জেলার বিভিন্ন স্থানে পারিবারিক পর্যায়ে কমবেশী ২০টি বাগান রয়েছে। বাগানগুলোতে উৎপাদিত ড্রাগন ফল পারিবারিক চাহিদা মিটাচ্ছে। একটি ফল বাজারে ৫০ থেকে ১০০ টাকা ক্ষেত্র বিশেষে ২শ’ টাকায় পর্যন্ত বিক্রি হয়। ডায়াবেটিক রোগে ফলটি খুবই উপকারী বলে অনেকেই এই ফলটি আগ্রহ সহকারে কিনে থাকে। ফলটির স্বাদ হালকা মিষ্টি বলে ডায়াবেটিক রোগীরা অনায়াসেই খেতে পারে।
তিনি আরো জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের জুলাই মাসে তিনি ৩টি ড্রাগন ফলের চারা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের বাগানে রোপণ করেন। গত বছরই গাছ ৩টিতে ৩/৪টি ফল ধরে। এবছর ৩টি গাছে ১৫/১৬ টি ফুল ধরেছে। এখন থেকে জুলাই-আগস্ট মাস পর্যন্ত ফুল ও ফল ধরতে থাকবে। উপ-পরিচালক লতাফত হোসেন জানান, ভিয়েতনামের ফল হলেও আমাদের দেশের আবহাওয়ায় এই ড্রাগন ফল চাষাবাদে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। চারা রোপণের এক বছরের মধ্যেই গাছে ফুল ও ফল ধরতে শুরু করে। গত বছর বেলাব উপজেলার পোড়াদিয়া গ্রামে বোরহান উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি ড্রাগন ফল চাষাবাদ করে ব্যাপক মুনাফা অর্জন করেছে। এবছর তার বাগানটি আরো বড় হয়েছে। এবছর আরো বেশী ফলনের আশা করছে বোরহান উদ্দিন। তাছাড়া ফল চাষ কর্মসূচীর অধীনে কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর এ বছর আরো অধিক সংখ্যক ফলের চারা বিতরণ করবে বলে জানিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।