Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

চিঠিপত্র : লোকসংগীত রক্ষা করুন

| প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বাঙালি ঐতিহ্যে লোকসংগীত অনেকটা জায়গাজুড়ে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের লোকসংগীত ছড়িয়ে আছে। উদাহরণ হিসাবে দক্ষিণবঙ্গের ভাটিয়ালি গান, উত্তরবঙ্গের  ভাওয়াইয়া গান, দুঃখের বা শোকের গান-জারি গান, বৃষ্টির গান, লালনগীতি প্রভৃতির কথা বলা যায়। এসব গান আমাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যে এক অমূল্য সম্পদ। একদিন বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের মুখে মুখে শোনা যেত এসব গান। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রভাবে আজ এই অমূল্য লোকসংগীত হারানোর পথে। বর্তমান যুবসমাজ পাশ্চাত্য সাংস্কৃতির প্রতি এতটাই আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে যে তারা আর লোকসংগীতের চর্চা করে না। এভাবে বাঙালি জাতি হারাচ্ছে তার হাজার বছরের সাংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য। অতএব, এই লোকসংগীত রক্ষার জন্য আমাদের যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। লোকসংগীতগুলো যেন হারিয়ে না যায় সে জন্য আমাদের এগুলো বেশি বেশি চর্চা করতে হবে।
রাকিবুল হাসান
শিক্ষার্থী, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।

এমপিওভুক্তির আবেদন
১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ও সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ২ নম্বর রামদিয়া এবতেদায়ী মাদ্রাসা স্থানীয় সহৃদয় ব্যক্তিবর্গের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা শিক্ষাদান করে যাচ্ছেন। এবতেদায়ী মাদ্রাসাটি স্মারক নম্বর প্রশাসন-২৪৪২০/(এব) তারিখ- ০৭/০৮/১৯৮৪ ইং। এই মাদ্রাসা থেকে ২০১৬ সালের পিএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ১০০%। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে এমপিওভুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এম. রহমান
সভাপতি, ম্যানেজিং কমিটি, স্বতন্ত্র ২ নম্বর রামদিয়া
এবতেদায়ী মাদ্রাসা, মধুখালী, ফরিদপুর।

গাছ কাটার আগে সরকারি অনুমোদন নেয়ার ব্যবস্থা থাকা উচিত
রাজশাহীর আমের বৈচিত্র্য, স্বাদ এবং আকার সব দিক দিয়েই আলাদা এবং এ কারণেই এর গ্রহণযোগ্যতাও বেশি। অবাক হওয়ার মতো ঘটনা হলো মুকুল ধরা আমগাছ কর্তন এবং তাও আবার ২০০টি একবারে। সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো আমগাছগুলো কাটা হয়েছ ইটবাটি তৈরির জন্য। ইতোমধ্যেই রাজশাহী শহরকে সবচেয়ে সবুজ শহর হিসেবে আখ্যায়িত করা হলেও আগামীতে এর ব্যবস্থা কী হতে পারে তা বলা মুশকিল। ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি হলেই অনেক গাছ একবারে কেটে ফেলা যাবে- এই নিয়মের পরিবর্তন প্রয়োজন। এক বছর বা এক সিজনে একজন মালিক তার মোট গাছের কত অংশ কাটতে পারবেন বা কতটি গাছ কাটলে কতটি গাছ লাগাতে হবে- এই বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে এখনই। শুধু তাই নয়, একটি বাড়িতে সদস্য সংখ্যা হিসেবে ন্যূনপক্ষে কয়টি গাছ থাকলে ঐ বাড়ির কার্বন নিঃসরণ গ্রহণযোগ্য মাত্রার নিচে নিয়ে আসা সম্ভব তাও নির্ধারণ করে দেওয়া যেতে পারে। প্রসঙ্গত, গাজীপুরে বাওয়াল গড়ে বৃক্ষ নিধন চলছেই। স’মিলগুলোতে গেলে দেখা যাবে গাছ আর গাছ! বন বিভাগের হিসেব অনুযায়ী বৃক্ষ নিধনের হার কম হলেও স’মিলগুলোর চিত্র ভিন্ন! আর তাই বেশিসংখ্যক বৃক্ষ কাটার জন্য সরকারের অনুমোদন নেবার ব্যবস্থা থাকা উচিত। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
সাঈদ চৌধুরী
শ্রীপুর, গাজীপুর



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন