পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : পাহাড়ি ঢল আর অতিবর্ষণে সর্বস্বান্ত হওয়া হাওরবাসীর কৃষকের পাশে দাঁড়াবে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। এ লক্ষ্যে তিন মাস মেয়াদি (এপ্রিল থেকে জুন) একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে যাচ্ছে আরইবি।
এই পরিকল্পনার মধ্যে থাকবে সংশ্লিষ্ট এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিল পরিশোধে তিন মাস সময় প্রদান। এ ব্যপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আগামী রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্লাবিত হাওর এলাকার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা সরজমিনে দেখতে সুনামগঞ্জ যাবেন। সেখানে তিনি অকাল বন্যায় সর্বস্বান্ত হওয়া মানুষের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেটের হাওরগুলো অসময়ে প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে এসব এলকার প্রতিটি হাওরের হাজার হাজার একর ধান খেত। পানিতে অ্যামোনিয়া গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়ায় হাওরের মাছে মড়ক ধরেছে। পরিবেশেরও মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে এসব অঞ্চলে। হাওরের দুর্গত এলাকার মানুষেরা মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
প্লাবিত হাওর এলাকায় দেখা দিয়েছে পানিবাহী রোগ। সুপেয় পানির অভাব প্রকট হয়ে উঠেছে। পানির দুর্গন্ধে মানুষ এলাকায় টিকতে পারছে না। অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সেইসাথে প্লাবিত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্যভাব। হাওর এলাকাকে দুর্গত ঘোষণা না করায় বিস্তীর্ণ হাওরবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আরইবি’র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন ইনকিলাবকে বলেন, হাওর এলাকায় এখন মানবিক বিপর্যয় চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে যাচ্ছেন। তিনি সেখানকার মানুষের কল্যাণার্থে অনেক ঘোষণা দেবেন। বিদ্যুৎ নিয়ে তিনি কি কোন ঘোষণা দিলে আমরা তা বাস্তবায়নে প্রস্তুত।
আরইবি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই হিসাব কষেছিÑ হাওর এলাকার ৬টি জেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিল আদায় নিয়ে সমস্যা দেখা দেবে। এসব এলাকার খেতের ফসল প্লাবিত হওয়ায় তাদের পক্ষে বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করাটা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এজন্য সেখানকার বিল আদায়ে কি করা যায়Ñ আমরা তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি।
আরইবি সূত্রে জানা যায়, প্লাবিত ৬টি জেলার হাওর এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাসিক বিলের পরিমাণ প্রায় ৫২ কোটি টাকা। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত বিল পরিশোধে সময় দিলে বকেয়া বিলের মোট পরিমাণ দাঁড়াবে ১৫০ কোটি টাকার ওপরে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।