পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : একাত্তরের মতো ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি আদায়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে ভারত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে এই আশ্বাস মিলেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই বাংলাদেশের পাশে থাকার এই আশ্বাস দেন। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভারত ও ভুটান সফর সংক্রান্ত উপস্থাপিত প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে ভারতের প্রেসিডেন্ট ভবনে শেখ হাসিনার অবস্থানকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনন্য উচ্চতার মাপকাঠি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
কমিটির সভাপতি ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, মুহাম্মদ ফারুক খান, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, কাজী নাবিল আহমেদ, মো. সোহরাব উদ্দিন, সেলিম উদ্দিন এবং বেগম মাহজাবিন খালেদ। এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহিদুল হকসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে গত ৭-১০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। বৈঠকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরকালে ভারতের প্রেসিডেন্ট ভবনে অবস্থান করেন। ভারতের প্রেসিডেন্ট ভবনে অবস্থান করার আমন্ত্রণ খুব কমসংখ্যক বিদেশী সরকার প্রধান পেয়ে থাকেন। বিষয়টি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনন্য উচ্চতার মাপকাঠি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লীস্থ পালাম বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে পৌঁছলে প্রচলিত ভারতীয় রাষ্ট্রাচারের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। এ বিষয়টিও একটি ব্যতিক্রমধর্মী বিষয়। ভারতে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জী, সোনিয়া গান্ধীসহ কংগ্রেসের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি ভারতীয় প্রথিতযশা থিংক ট্যাঙ্ক ‘ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাও করেন। প্রতিবেদনে ভারতের সঙ্গে করা চুক্তিগুলো তুলে ধরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরকালে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে মোট ৩৫টি দলিল (১১টি চুক্তি ও ২৪টি সমঝোতা স্মারক) এবং ২টি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিইর (এ.ও.পি) স্বাক্ষরিত হয় এবং দুই দেশ ৬২ দফা সংবলিত একটি যৌথ ইশতেহার প্রকাশ করে। এদিকে বৈঠকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের আমন্ত্রণে গত ১৮-২০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভুটান সফর নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এ সফর একটি অফিসিয়াল সফর হলেও পরবর্তীতে তাকে রাষ্ট্রীয় সফরে রূপান্তরিত করা হয়। এটিকে বাংলাদেশের জন্য একটি অনন্য মর্যাদা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
কমিটির সভাপতি বৈঠকে বলেছেন, গণহত্যায় কতজন নিহত হয়েছিল, সে সম্পর্কে অনেক জায়গায় যথাযথ তথ্য নেই। প্রকৃতপক্ষে কোথাও কোথাও এই সংখ্যা নিয়ে নানা মতামত রয়েছে। জার্মানির বার্লিনে গণহত্যা বিষয়ক মিউজিয়ামে বাংলাদেশে গণহত্যায় নিহতদের সংখ্যা বলা হয়েছে ১.৫ মিলিয়ন। কিছু কিছু জায়গায় বা কোনো কোনো বইপুস্তকে ভিন্নভিন্ন তথ্য আছে। সেজন্য সরকারি রেকর্ডের সাথে যেখানে সংখ্যা বা তথ্যগত গরমিল আছে, সেখানে যথাযথ তথ্য সন্নিবেশ করার জন্য সঠিক পরিসংখ্যান সন্নিবেশ করার প্রয়োজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।