Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উচ্চমানের গণতন্ত্র নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ -ঢাকায় সুধী সমাবেশে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কূটনৈতিক সংবাদদাতা : ঢাকা সফররত ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, কেবল নির্বাচন নয়, উচ্চমানের গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং রাজনীতিকে দুর্নীতিমুক্ত রাখাই এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার আয়োজিত এক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন।
বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ বিষয়ক ওই বক্তৃতায় তিনি মোটা দাগে ৩টি চ্যালেঞ্জকে চিহ্নিত করেন। প্রথমত হাই কোয়ালিটি অব ডেমোক্রেসি বা গণতন্ত্রের উচ্চমান। দ্বিতীয়ত দুর্নীতি, বিশেষত রাজনীতিকে দুর্নীতিমুক্ত রাখা। তৃতীয় এবং সর্বশেষ চ্যালেঞ্জ হল ইসলামের নামে চরমপন্থার উত্থান। এটাকে আদর্শিক সংঘাত হিসেবে চিহ্নিত করেন তিনি। গুলশানের তারকা হোটেল ফোর পয়েন্টস- শেরাটন-এ জনাকীর্ণ ওই বক্তৃতা অনুষ্ঠানে সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধিরা, সাবেক ও বর্তমান সংসদ সদস্য, কূটনীতিক, অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তৃতার সমাপনীতে অনুষ্ঠিত প্রশ্নোত্তর পর্বে ডেভিড ক্যামেরন সুধীজনের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সেখানে তিনি তার দৃষ্টিতে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলোর ব্যাখ্যাও দেন।
ক্যামেরন বলেন, গণতন্ত্রের কোনো সংক্ষিপ্ত পথ নেই। নামমাত্র গণতন্ত্র ভালো সরকার এবং ব্যবসার অন্তরায়। গণতন্ত্র শুধু ভোটের উপর নির্ভর করে না। গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত, মানবাধিকার, আইনের শাসন, বিচার পাবার স্বাধীনতা। আর দুর্নীতি হলো একটি ক্যান্সার। যা রাজনীতিকে কলুষিত করে। ডেভিড ক্যামেরন বলেন, রাজনীতি হলো দেশ ও জাতির জন্য, নিজের জন্য নয়।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিষয়ে বলেন, এতে আক্রান্ত পুরো বিশ্ব। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সামরিক নয়, আদর্শিক লড়াই জরুরী। তিনি বলেন, যদি সব ধর্মের মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে এই সন্ত্রাসবাদকে সহজেই পরাজিত করা সম্ভব।
ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সীপ্রশংসা করে বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ ধারা ধরে রাখতে অবকাঠামো ও জ্বালানি খাতে দরকার আরো বেশি বেশি বিনিয়োগ।
উল্লেখ্য, ২৪ ঘণ্টার কম সময়ের এক ঝটিকা সফরে গত বুধবার রাতে ঢাকায় পৌঁছান ব্রিটেনের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। গতকাল দিনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। দুপুরে একটি তৈরী কারখানা পরিদর্শন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। গতকাল রাতেই তার ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা।



 

Show all comments
  • Nur- Muhammad ২৮ এপ্রিল, ২০১৭, ১০:০৭ পিএম says : 0
    গণতন্রের সু সজ্ঞার জন্য ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্রী ডেভিড ক্যামেরনকে অশেষ ধন্যবাদ। তার সজ্ঞানুযায়ী, নির্বাচন নামে খেলা খেলে, গণতন্রের মুখুশ পড়লে, গণতন্র হয় না। গণতন্রের মুখুশ বলতে, ২০১৪ এর নির্বাচনকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে। তাই ত তার কথায় প্রকাশ পেল, শুধু নির্বাচন দিয়ে গণতন্র হয় না। ১মঃ উচ্চমান গণতন্র হলো, সকল জনগণের মতামতের প্রতিফলন। ২য়ঃ দুর্নীতি মুক্ত রাজনীতি হলো, রাজনীতিবিদরা জনগণকে শোষন না করে, সেবা দিবে। জনগণের সাথে মিথ্যা অথবা প্রতারনা করবে না। কিন্ত আমাদের নেতারা জনগণকে শোষন করছে। জনগণের উপর গুলি ছুরছে। ঘরে ঘরে চাকরী না দিয়ে, ৫, ১০, ২০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে জনগণের সাথে প্রতারনা করছে। ঘুষ ছাড়া জনগণ চাকরীর কথা চিন্তা ও করতে পারছে না। এমপিরা সেবক নয়, এলাকার স্বঘোষিত রাজা। কথা ছিল জনগণকে ১০ টাকায় চাউল খাওয়ানো হবে। এটা ও জনগণের সাথে প্রতারনা। ৩য়ঃ ইসলামের নামে চরম পন্থার উত্থান। এটা আমরা মোকাবেলা করতে আনকটা সফল হয়েছি। তবে পুরাপুরি সফল হওয়া যায় নাই। কেননা সরকার এখানে ও বিরুধীদের দমনের পথ খুঁজছে। সরকার সকলের সহযোগীতা নিলে, আমাদের এই সমস্যা থাকবে না। ক্যামরন নামে মাত্র গণতন্র সরকার ও ব্যবসায় র জন্য অন্তরাল বলছে। যা আমাদের জন্য প্রযোজ্য হলো। তাই আমাদের দেশী বিদেশী বিনোয়গে বাটা পড়ছে। সরকার জনগণ ও বিরুধীদের কাছ থেকে অনেক দূরে সরে আছে। তাই বিরাট অন্তরালে দেশ চলাচ্ছে। ক্যামেরন আর ও বলছে, গণতন্রের সংক্ষিপ্ত পথ নাই। মানবধিকার, আইনের শাসন, বিচার পাওয়ার স্বাধীনতা এই গুলি হলো গণতন্রের মূল উপাদান। গণতন্রের জন্য অবশ্যই দুর্নীতি দূর করতে হবে। গণতন্রের আর একটি খাঁটি কথা হলো, রাজনীতি নিজের জন্য নয়, দেশ ও জাতির জন্য। তাই ত ক্যামেরন নিজের সুখ সাচ্ছন্দ পরিত্যাগ করে, দেশ ও জাতির সন্মান ও কল্যানে পদত্যাগ করছিল। আমরা ক্যামেরনের এই ত্যাগকে স সন্মানে ছালাম করি। কিন্তু আমাদের মন্রীরা আদালত কতৃক তিরস্কিত হয়ে ও পদ ত্যাগ করছে না। জনগণের উপড় বোঝা হয়ে বসে আছে। ক্যামেরনের উপমা টেনে আমাদের নেতারা আগালে, জনগণ অবশ্যই স্বাগতম ও শুভেচ্ছা জানাবে। ধন্যবাদ। সবায়কে ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ