Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বকেয়া সোয়া ৩ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে না টেলিটককে

| প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপাটের টেলিটকের বকেয়া প্রায় সোয়া তিন হাজার কোটি টাকা দিতে হচ্ছে না সরকারকে। প্রতিষ্ঠানটির এই বকেয়া অর্থ সরকারের ইক্যুইটি হিসেবে বিবেচিত হবে। পরবর্তীতে তা টেলিটকের মূলধনে পরিণত হবে। গত মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। গতকাল (বুধবার) সচিবালয়ে এক সভা তারানা হালিম বলেন, রাষ্ট্রীয় এ প্রতিষ্ঠান ব্যবসা নয়, সেবা দেবে বলে গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন সরকারের কাছে টেলিটকের যে বকেয়া আছে সেগুলো সরকারের ‘ইক্যুইটি’ হিসেবে বিবেচনার জন্য। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠিও দিতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ওই নির্দেশনার প্রেক্ষিতে টেলিটকের যে বকেয়া আছে, সেগুলো সরকারের ইক্যুইটি হিসেবে বিবেচনা করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে আমরা খুব দ্রæত চিঠি পাঠাব, যেন সেভাবে বিবেচনা করা হয়। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি) সূত্রে জানা যায়, বিটিআরসির তরঙ্গ বরাদ্দ বাবদ এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা এবং থ্রিজি প্রকল্পে ঋণ হিসেবে নেয়া আরো এক হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা রাজস্ব বাবদ প্রতিষ্ঠানটির কাছে সরকারের পাওনা রয়েছে। সব মিলে এ দেনার পরিমাণ দাঁড়ায় তিন হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, টেলিটকের নেটওয়ার্ক স¤প্রসারণে একনেক অনুমোদিত ৬৭৫ কোটি টাকা খুব দ্রæত ছাড় করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ১ শতাংশের নিচে যে সুদ দেয়ার কথা আছে, সেভাবে টেলিটককে এ টাকা নেটওয়ার্ক স¤প্রসারণে দেয়া হবে, পরবর্তীতে সরকার গ্রান্টে পরিণত করবে। নেটওয়ার্ক স¤প্রসারণে ৬৭৬ কোটি টাকার একটি ঋণ প্রস্তাব প্রায় ৯ মাস ধরে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে। গত বছর জুনে একনেক সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়া হয়। স¤প্রতি টেলিটকের গ্রাহক ছয় লাখ বাড়ার কথা জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, টেলিটক জনগণকে সেবা দেবে, টেলিটককে ব্যবসা করার জন্য সরকার সেইভাবে রাখেনি, প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে নেটওয়ার্ক নেই সে সব অঞ্চলে সেবা দেবে টেলিটক। একনেকের সভায় প্রধানমন্ত্রী টেলিটকের সঙ্গে জয়েন্ট ভেঞ্চারের জন্য বিদেশি একটি কোম্পানি অনুসন্ধানের নির্দেশনার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সভার শুরুতে একথা বলা হয়েছিল, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক সময় ঠিকমতো রান করতে পারে না, একটি বিনিয়োগকারী আসলে তখন সেটা রান করতে পারে। এটি ইন জেনারেল বক্তব্য দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন টেলিটকের জন্য বিদেশি বিনিয়োগ আনতে হবে, তাহলে সেই নির্দেশনা অবশ্যই মেনে নেব। ৬৭৫ কোটি টাকা দিয়েছেন নেটওয়ার্ক উন্নয়নে, আমরা যে আবেদন করেছি আস্থার জায়গা থেকেই এ টাকা দিয়েছেন। টেলিটক বড় অপারেটরদের সাথে প্রতিদ্ব›িদ্বতায় আসতে না পারলেও টেলিটকের সার্ভিস উন্নত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারানা হালিম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ