পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সৌমিত্র চক্রবর্তী, সীতাকুন্ড থেকে : সীতাকুন্ডের ভাটিয়ারী গলফ ক্লাব সংলগ্ন লেকে যুবক-যুবতী হত্যা রহস্য উন্মোচন হয়নি দেড় মাসেও। শুধু তাই নয়, এখন পর্যন্ত মেলেনি তাদের পরিচয়ও। ফলে চাপা পড়ে যাচ্ছে আলোচিত এ ডাবল মার্ডারের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীতাকুন্ডের সবচেয়ে নিরাপদ এলাকা হিসেবে পরিচয় ভাটিয়ারীর বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি এলাকার প্রাকৃতিক সোন্দর্যমন্ডিত লেকে গত ৬ মার্চ এক যুবতীর লাশ ভেসে উঠে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। নিহত যুবতীর বয়স আনুমানিক ২৮-৩০ বছর বলে ধারণা করা হয়। উদ্ধারের সময় লাশের অবস্থা দেখে পুলিশ ধারণা করে, মেয়েটিকে ৫ মার্চ হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। কিন্তু ঘটনার পর তার পরিচয় মেলেনি। অন্যদিকে এ ঘটনার মাত্র কয়েকদিন পর ৯ মার্চ একই লেকে মাত্র দেড় শ’ গজ দূরে আরো এক যুবকের বস্তাবন্ধী লাশের সন্ধান মেলে। আনুমানিক ৩২-৩৫ বয়সী যুবকের লাশটি ছিল গলিত। তার শরীরেও অনেক আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ লাশটি উদ্ধারকালে পুলিশ ধারণা করে, যুবকটিকে কয়েকদিন আগে অর্থাৎ ৫-৬ মার্চের দিকে হত্যা করা হয়েছে। যেহেতু একই সময়ে লেকে যুবতীটির লাশ পাওয়া গিয়েছিল তাই এ দু’টি হত্যার মধ্যে যোগসূত্র থাকা কিংবা ঘটনাটি ডাবল মার্ডারও হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা যাই হোক, নিহত দুই যুবক-যুবতীর কোনো পরিচয় না মেলায় হত্যাকাÐ রহস্যাবৃত রয়ে যায়।
এদিকে সবচেয়ে নিরাপদ বাংলাদেশ মিলিটারি এলাকায় এ ধরনের হত্যাকাÐ ঘটা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে কৌতুহল ও আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। সাধারণ মানুষ বিস্মিত। এলাকাবাসী জানিয়েছে, এবার একই সাথে এখানে দুই যুবক-যুবতীর লাশ পাওয়া গেলেও মিলিটারি একাডেমির এই লেকে লাশ উদ্ধারের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগেও রাতের আঁধারে সিএনজি অটোরিকশা যোগে এখানে এনে লাশ ফেলে গিয়েছিল দুস্কৃতরা। পরেও ধরাও পড়েছিল। এরপর আবারো এখানে লাশ উদ্ধার হয়েছে। এই এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী মো. আলী প্রতিবেদককে বলেন, ভাটিয়ারী মিলিটারি এলাকার দারুণ সুনাম আছে। পাহাড়ের মাঝে প্রাকৃতিক লেকটি দেখার মতো সুন্দর। তার উপর আর্মি অধ্যুষিত হওয়ায় শান্ত পরিবেশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।